somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন, সংঘবদ্ধভাবে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই (রুয়েট - সমানুপাতিক)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাবলাম রুয়েটীয় সমানুপাতিকের এর উদ্যোগে নেওয়া এই আয়োজনে লিস্টে থাকা সব ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করব...

এতো বিপুল সংখ্যক বন্ধুদের একজন একজন করে ইনভাইট করাটা একটু কষ্ট সাধ্য...আর আমাদের মজ্জায় তো মিশেই আছে নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াবার ক্ষেত্রে এলার্‌জি রোগের নিদারুণ ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব...

যাই হোক, শুরু করে দিলাম...কিন্তু আমি তো চমকে গেলাম...ইতিমধ্যেই আমার অন্তত ৩০ শতাংশ বন্ধু ইভেন্টে জয়েন দিয়েছে...আমি আসলেই সবসময় লেইট...সম্ভবত তাহলে আমার সাবান স্লো রে...

ইনভাইট করার পর থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টার মধ্যে এ পর্যন্ত আমার ফ্রেন্ডলিস্টের ৮০ জনের উপরে জয়েন দিয়েছে...ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে...যারা পাশে থাকবার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছেন...অন্তত আপনাদের মানবতার জন্য নৈতিক সমর্থন পাবো, পাবো শুভাশিস...এও কম কী আমাদের মত কিছু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে...

কিন্তু কাজ এখানেই শেষ নয়...চাই সত্যিকার অর্থে কিছু করতে...আমরা একারা না...এই জন্য চাই সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ...পারস্পারিক সাহায্য-সহযোগিতা...রুয়েট - সমানুপাতিক এখানে উপলক্ষ্য মাত্র...মূল উদ্দেশ্য মানবতা, সাম্যবোধ, বৈষম্যহীনতার প্রজ্বলিত শিখার অলঙ্কারে যে বীণার ঝংকার বাজিছে পদতলে-ফুটপাতে তার সুর প্রতি প্রাণে আলোড়নেচ্ছায় ছড়িয়ে দেওয়া...বৈষম্যের যে জুজুবুড়ি তাকে হাতে হাত রেখে প্রতিহত করাই আমাদের প্রাণের পণ...একা আমি বা আপনি, আমরা বা আপনারা পারবো না তা রুখতে...চাই সকল তরুণ রক্তশিরায় একই উষ্ণ থেকে উষ্ণতর উষ্ণতা...

একটি মোমের শিখায় হয়ত পুরো আঙ্গিনা আলোকিত করতে পারব না...কিন্তু ৫ টি মোমের প্রদীপ্ত আলোকে এ আঙ্গিনা আলোক মেলায় উদ্ভাসিত করতে পারি...প্রাণে প্রাণে বইয়ে দিতে পারি আলোক বন্যা...সৃষ্টি করতে পারি আলোক স্পন্দন...

সমানুপাতিক আগের বছরও এই উদ্যোগে সামান্য পদক্ষেপ নেয়...তাতে অভূতপূর্ব সাড়া, সহযোগিতা, সহকর্মিতা পায়...সামান্য এ উদ্যোগ রূপ নেয় বিশাল সাফল্যে...ভাবলে অবাক লাগে - চট্টগ্রাম থেকে একদল তরুণ ৯ বস্তা পুরাতন কাপড় পাঠায়...ভাবতে শিহরণ জাগে এক ভাই তার পড়নের নতুন জিন্স প্যান্টটিও দিতে দ্বিধামন্যতায় ভোগেন নি...

হ্যাঁ, নিশ্চয় এটা ঠিক যে আপনার বাসার কাজের মানুষটিকে সাহায্য না করে অবশ্যই আমাদের উদ্যোগে নাম ফুঁটাতে আসাটা অমানবিক...তবুও আপনার ৫ টি পুরাতন কাপড়ের একটির কি দাবী করতে পারি না...

আপনি কখনোই আপনার দালান ঘরে কম্বলের নিচে শুয়ে রাজশাহীতে তথা উত্তরবঙ্গের খোলাকাশের নিচে ফুটপাতের বস্ত্রহীন দিন মজুরী মায়ের শরীরের কাঁপুনি টের পাবেন না...আপনি কখনই অনুভূতিতে ঠায় দিতে পারবেন না শৈত প্রবাহে শত ছিন্ন কাপড়ের ফাঁক দিয়ে যখন বাতাস শরীরকে জাপটে ধরে তখন দোযখের আগুণকেও কতটা শীতল মনে হয়...আপনি বুঝবেন না সারা রাত্রি শিশিরের স্নানে কী ভয়ানক যন্ত্রণা...বুঝব না আমিও...

আপনার আমার এক টুকরো পুরাতন কাপড়ই পারে 'জন্মই যাদের আজন্ম পাপ' তাদের অন্তহীন কষ্টের আগুণের পদপৃষ্ঠে খানিকটা পানি ঢালতে...আমাদের গ্লানির বোঝার দায় ঘোচাবো আমরাই...কারণ আমরাই অরুণোদয়ের তরুণ দল...

আমরা এক হাজার কম্বল কেনারও লক্ষ্য নিয়েছি...যারা কাপড় পাঠানোকে কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ বা বিড়ম্বনা মনে করছেন...অথবা কাপড়ের সহিত কিছু আর্থিক সহযগিতার হাতও বাড়াতে চান তারা চাইলেই বিকাশের মাধ্যমে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন...

আমরা রাজশাহী মূল শহরের বাইরেও প্রত্যন্ত এলাকায় আমার-আপনার সহযগিতার হাত পৌঁছে দিতে চাই...আশা করি, বিশ্বাস করি, যারা নিষ্পলক বসে আছে ন্যুনতম মানবতার পথটি চেয়ে তাদের নিরাশ করব না...আগেও যেমন আশাতীত সাড়া পেয়েছি, এবারো পাবো....

আমরা চাই,
''একটি শীতবস্ত্র হোক, একজন অসহায় শীতার্ত মানুষের অস্ত্র''

জয় হবে তারুণ্যের, মানবতার, সাম্যের...
জয় হবে শীতের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত আমাদের...

ইভেন্ট লিঙ্কঃ Click This Link

পোষ্ট লিঙ্কঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×