somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরার চিন্তাঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাইরে এসে মূলত ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য দেশে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে সরকার সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করা বিষয়ে আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের স্থানে সেক্যুলারিজম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু দেশের জনগনের মনো্ভাব্ এবং শরিক জাতীয়পার্টিকে খুশি রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ জানুয়ারি মহাজোটের বৈঠকে জানিয়েছেন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলেও তার মুখবন্ধে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যেভাবে ছিল সেভাবেই সেটা রাখা হবে। তাছাড়া অষ্টম সংশোধনীতে যেভাবে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছিল সেটাও বহাল থাকবে। এ প্রসঙ্গে জোটের কোন এক নেতা তাকে বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং সেক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ রাখা কতদূর সঙ্গত। এর জবাবে হাসিনা বলেন, বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে কারণ এটি বাস্তবসম্মত। তিনি তার শরিকদের বাস্তবতা স্বীকার করে নিতে বলেন। কারণ এর মধ্যে জনগণের বিশ্বাসের প্রতিফলন আছে।এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, প্রধানমন্ত্রী আর এক ঘোষণায় বলেন, তারা দেশে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করছেন। যারা সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখার সিদ্ধান্ত করেন এবং সে সঙ্গে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখাও স্থির করেন, তারা কিভাবে দেশে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন এবং কেন করবেন এটা বোঝা সাধারণ বুদ্ধিতে সম্ভব নয়।
তাছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সন্ত্রাসী ও্ জংগিবাদী হিসেবে প্রমান করে তাদের নিষিদ্ধ করার অজুহাত তৈরী করার জন্য প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। গত ১৭ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রামে পরিকল্পিত ভাবে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের মেস থেকে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল তারা দেশে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ছাত্র সংগঠনটি ঘটনা সাজানো বলে তাদের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবী করছে। শুধুমাত্র এসব ঘটনা নয় সরকার যুদ্ধাপরাধ, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযোগ এনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার প্লাটফর্ম তৈরীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বোদ্ধা মহলের মতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধকরণ প্রচেষ্টার মূল কারণ হল, বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ছোট হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে ইস্পাত কঠিন ঐক্য, যার ফলে তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে মূল ভূমিকা পালন করতে পারে। যা সরকারের জন্য একটি কার্যকর হুমকি (Effective Threat)। এছাড়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পূণরায় ক্ষমতায় আসার অন্যতম প্রতিবন্ধক হতে পারে ইসলামপন্থী দলগুলো। তাই সব দিক বিবেচনা করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত করার লক্ষ্যে তাদের পথের কাটা দূর করার জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য এ ব্যপারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ, যার জনসংখ্যার প্রায় ৯০ ভাগ (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ৮৮%) সেদেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার চিন্তা পুরোপুরি অমূলক। এ দেশে ইসলামের রয়েছে প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস। ১৩১৩ সালে সূদুর ইয়েমেন থেকে হজরত শাহজালাল (র) ও তার শিষ্যদের মাধ্যমে আগত ইসলাম গত আট শতাধিক বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে দৃঢ় ভিত্তি গেড়েছে। ধর্ম তা ইসলাম হোক বা হিন্দু হোক এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে এর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। মানুষর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে। ঐতিহাসিকভাবে এ অঞ্চলের মানুষ দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছে ধর্মের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, তিতুমীর, শরিয়তুল্লাহ্র আন্দোলন, ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ এমনকি আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ (যা ১৯৭১ পর্যন্ত ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের অংশ ছিল)তার উত্তম প্রমাণ।
মানুষকে একজন নৈতিক তথা মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ধর্মের ভূমিকা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তা যে ধর্মই হোক না কে, একথা অনেক বিখ্যাত চিন্তাবিদ সরাসরি স্বীকার করে গেছেন । বিখ্যাত মনীষী J B Hull এ পসংগে চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন “If you give your children the three ‘R’s that are Reading, Writing and Arithmetic and don’t give them the fourth ‘R’ that is ‘Religion’ they must become the Fifth ‘R’ that is ‘Rascal’.
গত কয়েক দশক ধরে বিশেষত গত শতকের শেষ দশক এবং বর্তমান দশকে বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে অনৈসলামীকরণের (De islamization) দিকে ধাবিত হচ্ছ। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও চিন্তাচেতনার দিকে প্রগতিশীলতার নামে ধর্মবিরোধী মনোভাব বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। ফলে সামাজিক আচরন, পোশাক পরিচ্ছেদসহ অনেক ক্ষেত্রে নানা অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন আসছে। গত এক দশক পূর্বেও সকাল বেলা ছেলেমেয়েদের মক্তবে মক্তবে ক্বোরআন-হাদীস, নামাজ-রোজা ইত্যাদি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক মূল্যবোধ যেমন বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ছোটদের ভালবাসা, মিথ্যার অনুসারী না হওয়া অপরের সুখ-দুঃখে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি শেখানো হত্। ফলে ঐসব শিক্ষার্থী শহরে আসলেও এসব নৈতিক শিক্ষা তাদের মন থেকে মুছে যায়না। যা তাদের পরবর্তী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কারনে ছোট বাচ্ছারা মক্তবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যেতে হচ্ছে, আবার স্কুল থেকে ফিরে প্রাইভেট পড়া ও পরবর্তী দিনের পড়া তৈরি ইত্যাদি ব্যস্ততার কারনে মক্তবের শিক্ষা তথা ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করতে পারছেনা। এ দিকে সরকার আবার ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে দিচ্ছে। ফলে আগামী প্রজন্ম নৈতিকতা শিক্ষা পাবেনা।এর ফলে নৈতিকতার অভাব সম্পন্ন একটি প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশে যেসব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে তারা রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি তাদের কর্মীদের ধর্মীয় এবং নৈতিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে একটি আদর্শ কর্মী বাহিনী সৃষ্টির প্রয়াস চালায় যার মাধ্যমে যুব সমাজের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অনেকটাই পূরণ হয়। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে যুব সমাজের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম দলটি হল একটি ধর্মভিত্তিক দল যার কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বিশাল বা নিতান্ত কম নয়। এত বিশাল জনশক্তি সম্পন্ন দল যদি নিষিদ্ধ হয়ে যায় তাহলে এর নেতা-কর্মীদের অবস্থা কী হবে, তারা তাদের উপর সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা সহজে মেনে নেবে না বলে সহজেই অনুমান করা যায়, ফলে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হবে যাতে ব্যপক প্রাণহানি ঘটতে পারে। সমাজে তাদেরকে অন্যচোখে দেখা হবে, পুরো রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থা বিভক্ত হয়ে যাবে, ফলে মারাত্বক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সমাজে অনেকটা দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে এসব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের একটি ক্লিন ইমেজ রয়েছে। যা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অনেক ইসলামপন্থী নেতাকে গ্রেফতার করলেও তাদের দুর্নীতি প্রমাণ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ হয়, এমনকি ইসলামপন্থী একটি রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত এক সাবেক সংসদ সদস্যকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করে তার দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পেরে দুর্নীতি দমন কমিশন তার কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়। এসব কারনে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার যে প্রয়াস এসব ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো চালাচ্ছে তা ব্যহত হবে।
বাংলাদেশে যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদ আঘাত হানে তখন এসব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মী এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকরেন এবং এর নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যার ফলে জঙ্গীবাদিরা জনগনকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে নিয়তান্ত্রিক ইসলামের বিকল্প হিসেবে এবং অনেকে ধর্মের উপর আঘাত হানার প্রতিবাদে চরমপন্থার দিকে ঝুকে যেতে পারে ফলে জঙ্গীবাদ প্রভাব বিস্তার করবে। যার প্রমাণ বাংলাদেশেই রয়েছে। স্বাধীনতার পর বামপন্থী রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে তখন থেকেই গোপন চরমপন্থী রাজনীতির শুরু হয়।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আদর্শিক কারনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ভাল সম্পর্ক রয়েছে, তারা অনেক সময় এ দলগুলোর মাধ্যমে এদেশে তাদের সাহায্য পাঠায়, বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত বৈদেশীক মুদ্রার অধিকাংশ আসে মধ্যপ্রাচের দেশগুলো থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে এরা ক্ষুদ্ধ হবে, যা বাংলাদেশের শ্রমবাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার বেশীরভাগ উন্নত দেশেই ধর্মীয় রাজনীতি চালু রয়েছে। এমনকি ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশ জার্মানির ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক ঈযৎরংঃরধহ উবসড়পৎধঃরপ টহরড়হ হল খৃস্টান ধর্মীয় আদর্শ লালনকারী একটি দল। বর্তমান পৃথিবীর উদারনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ডেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, এমনকি বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরীক হল রক্ষণশীল ক্যাথলিক রাজনৈতিক দল Christian Democratic People’s Party of Switzerland, এ দলটি হল সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।অবশ্য সুইজারল্যান্ডের উদারনৈতিকতার মুখোশ কিছুদিন আগে খসে পড়ে তাদের খৃস্টবাদী চরিত্রের মুখোশ পরিস্ফুটিত হয়ে গেছে গণভোটের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিক মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করার মধ্যদিয়ে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি একটি হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল। বিজেপি ছাড়াও ভারতে জাতীয় ও প্রাদেশিক বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। এমনকি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট ভারতে বহু ইসলামী রাজনৈতিক দল ও রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের এত আয়োজন, সেই জামায়াতে ইসলামী ভারতেও রয়েছে, যা ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পূর্বে একই সংগঠন ছিল। জাময়াতে ইসলামী শুধুমাত্র ভারতেই নয় স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে পাকিস্থান ও শ্র্রীলংকাতেও মূলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত।
মুসলিম বিশ্বের একমাত্র তুরস্ক ছাড়া অন্যকোন দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। তুরস্কে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন একেপি প্রকাশ্যে ধর্মনিরপেক্ষ কিন্তু বাস্তবে অনেকটাই ইসলামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত, এবং পর্যায়ক্রমে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দিকে এগিয়ে যা্চ্ছে, তাদের কার্যক্রমে জনসমর্থনও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষ যখন তাদের নিজস্ব ধর্মের দিকে আরও বেশী পরিমান অগ্রসর হয়ে তাদেরে জাতীয় ঐক্যের বন্ধন আরও মজবুত করছে। সেখানে নিজেদের মধ্যে ধর্মের নামে বিদ্ধেষ উস্কে দিয়ে জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া কখনই কল্যাণকর হবেনা ।তাই শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক জোটকে দুর্বল করার জন্য ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মত একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×