হয়তো বা আমার মনে নেই
কে কখন ,কত আগে
প্রথম ঝরনা কে বলে ছিলো পাহাড়ের কান্না
বৃষ্টিকে বলে ছিল আকাশের করুণ অশ্রু
চোখ ও নাকি সাগরেরই ছায়া ।
কে যেন এ ও বলে ছিলো নদী ও মরে যায়
বাঁক নিতে গিয়ে প্রায়-ই
ভাগ হয়ে যায় ।
সন্ধ্যা-মুখো বাড়ালেই নদীর বুক চিরে
উঠে আসে তপ্ত বাতাস
নদী নাকি এভাবেই ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।
কে যেনো দেখতে চেয়ে ছিলো
ছেলের কাছে বাবার ছায়া
মেয়ের কাছে মায়ের ছায়া
প্রিয় ভাইয়ের কাছে বন্ধুর ছায়া
থৈ থৈ আলোহীন অন্ধকারে।
কে যেন নক্ষত্রের পতন দেখতে গিয়ে
দেখে ছিলো গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের
মতো পিণ্ড পিণ্ড জলন্ত আগুন ।
কারা যেন ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে বরাবর
ভুলে যায় ঈশ্বর এবং গির্জার পথ।
কি চমৎকার প্রিয়তমা কি চমৎকার
এই কোলাহল
উত্থান ,পতন,নিত্যদিনের ঠোকাঠুকি ।
তার চেয়েও ভয়ানক অবাক বিস্ময়
কত স্মৃতি বিভ্রাট এই আমি
জন্মের পর থেকে জমা রেখেছো
হাত আমারই হাতে
অথচ আমি অবিরাম খুঁজি শুধুই একটি হাত।