অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলাও এক প্রকার জিহাদ।
জিহাদ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে বশ পাওয়াও।
আজ আমাদের দেশে কি হচ্ছে রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম বানিয়ে? আমরা কি মহা শান্তিতে আছি? নানা রকম ঘটনা আর কথা বার্তা শুনলে মাঝে মাঝেই মনে হয় আমরা মুসলিম রা মনে হয় মাইনরিটি। তাই এই শিরনাম দিলাম।
"মাইনরিটি"==বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি? সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়। তো কি সমস্যা মাইনরিটি দের? তারা সংখ্যায় কম বলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাদের ভাব প্রকাশে সমস্যা, তাদের আচার অনুষ্ঠান পালনে সমস্যা, চাকরি-বাকরি না না ক্ষেত্রে সমস্যা, নানা রকম ভাবে সুবিধা বঞ্চিত বা নিগৃহীত হয়। তাই দুনিয়ার সব দেশেই মাইনরিটি বলে একটা সম্প্রদায় দেখা যায়। তারা না না রকম সংগঠন গড়ে তোলে। না না রকম মুভমেন্ট করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।
তো? বাংলাদেশে তো ৯০% এর উপর মুসলিম? এরা কিভাবে মাইনরিটি?
এরা মাইনরিটি এভাবে যে মাইনরিটির যে যে সমস্যা থাকে তার প্রায় সব গুল এদের মাঝে বিদ্যমান।
আমাদের দেশ মুসলিম দেশ কিন্তু সরকারী ভাবে সুদ ব্যবস্তা বিদ্যমান, যেখানে ইসলাম কঠোর ভাবে এর বিরোধিতা করে। খুব কঠিন ভাবেই ইসলামে বলা আছে, যে সুদ খেল সে যেন আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল। তাও এই সুদ সরকারী ব্যবস্তার অংশ।
সরকারী চাকরিজীবী দের ১টা অংশ চলে যায় জিপি ফান্ডএ, যা চাকরি শেষে যখন পায় আর সাথে থাকে বিশাল এক সুদের অংশ।সারাটা জীবন সততার সাথে খেটে, ঘুষ না খেয়ে হালাল উপার্জন করে,শেষ কালে যেয়ে নিতে হয় সুদের টাকা। এ এক নির্মম পরিস্থিতি।যারা সততার সাথে চাকরি করে শেষ জীবনে তেমন কিছুই থাকে না। চাকরি ছেড়ে বেশীর ভাগ ই থাকে অনিশ্চয়তা ও আর্থিক কষ্টে। এ অবস্থায় অনেকেই সুদের অংশটি বাদ দিতে পারে না, পরিস্থিতির কারনে। কিন্তু এ তো সত্য যে এ সুদ হারাম। তবে কি সরকার এ মুসলিম চাকুরেদের জন্য অন্য কোন, শরীয়াহ সম্মত কোন ব্যবস্তা করতে পারে না???অন্তত মুসলিমরা নিজের ধর্ম টাতো মনতে পারতো।
এবার আসেন দারি-টুপি নিয়া।
এটা মুসলমানদের লেবেল।তাই মুসলমানরা কম বেশী দাড়ি, রাখা টুপি পরা, খুব খারাপ কিছুতো হওয়ার কথা না। কিন্তু ব্রিটিশ প্রশিক্ষিত র্যাব, এদের ট্রেনিং ই মুসলিম মৌলবাদী দের নির্মূল কল্পে ।ফলে স্বভাতবতই শিখান হয়েছে ব্রিটিশ রা যা ভাবে মুসলিম সম্পর্কে, দাড়ি-টুপি এগুলো মৌলবাদীর লক্ষন।
প্রয়াসী একটা কথা এই মুসলিম সংখ্যা গড়িষ্ট দেশেও শুনতে পাওয়া যায়, " জিহাদি বই সহ আটক"।
কেন? বলাত যায় উস্কানি মূলক বই সহ আটক করা হয়েছে, মুসলিম দেশেও যদি জিহাদ খারাপ কথার মত গালির মত ব্যবহার করা হয় , তবে ব্রিটিশ আর আমেরিকার সাথে আমাদের মন মানসিকতার কি বা পার্থক্য থাকল।
আর দারি-টুপি টাটনুর উপর প্যান্ট, সাথে জোব্বা গায়ে নাই। খাইসে আমারে, মহা ধরা। এখন আপনে শিবির , হুজিবি বা হিজবুল-তাহরির কেউ না। এটা প্রমান করা আপনার দায়িত্ব।
আমাদের দেশে আমার এখন এমন লাগে, ( নেতাদের কথা শুনলেই বুঝবেন) হয় তুমি আওয়ামিলীগ নয়ত বি এন পি, আর ২ এর বাহিরের যদি হস তবে তুই কুত্তা হলেও হতে পারিস, মানুষ তো অবশ্যই না, নাগরিক- বা বাংলাদেশী এ গুলো তো বহু পরে।
আর যদি দাড়ি থাকে তবে হয় জামাতী বা তাবলীগ, যদি এই ২ এর কেউ না হন তবে সিউর কোন জঙ্গি দলের সদস্য। আমি যুবকদের কথা বলছি। বলছি নিজ অভিজ্ঞতা থেকে।
নিজ দেশে নিজেই যেন পরজীবী। আমি প্যান্ট সার্ট পরি, সাথে দাড়ি আছে, ব্যস হয়ে গেছে, তাবলীগ ইংগিত দেয় জোব্বাটা
ধর আর চিল্লা চল, জামাতীরা আসে কাছে, যখন বুঝে মুক্তিজুদ্ধার সন্তান, রাজাকার তার কাছে নিকৃষ্ট গালি। তখন সটকে পরে।আর দূর থেকে টেরা চোখে দেখে।
হিজবুল তাহ-রির ইংরেজি বলা এক বিশাল স্মার্ট হুজুরের সাথে বাসে কথা হচ্ছিল। চিকন করে কাটা স্টাইলিশ দাড়ি। খুবি উচ্চ-মার্গের ইংরেজি এক্সেন্ট, দেখলেই বুঝা যায় বিশাল ধনী বা ধনীর স্নতান।আমাকে বুঝাতে চাইল মুসলমানদের কোন না কোন জোটে একজোট হতে হবে,আর যেহেতু জামাতের না না সমস্যা ও কু-ইতিহাস অপর দিকে শিক্ষিতদের সংগঠন হিজবুল তাহ-রির, তাই আমার হিজবুলে যোগ দেয়া উচিত। আমি কোন উত্তর দেই নি , শুধু এক বিশেষ হাসি হেসেছিলাম, যার অর্থ স্মার্ট হুজুর ভালোই বুঝেছিল, যে তার ফাউ তেনা প্যাঁচানো তে আমার কোন আগ্রহ নাই।
বিলিয়ন সদস্যর বিশাল সংগঠন এর অংশ আমি। আমি মুসলিম। আমার আলাদা ছোট ভাগে ভাগ হওয়া গোষ্ঠী তে কেন ঢুকতে হবে,আমার রাসুল কি আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ শিখিয়ে যাননি , যে এখন জামাতী আর হিজবুল থেকে শিখতে হবে।!!!!!!!!
জাক সে কথা , দুঃখ হল নিজ দেশে পরজীবী হয়ে গেছি। পুলিশ-র্যাব ভাবে জঙ্গি, চাকরির ক্ষেত্রে মানুষ ভাবে আন-স্মার্ট ; স্মার্টনেস দাড়ির কারনে কিভাবে ব্যহত হয়?? দাড়ি রাখলে কি মগজ কমে যায় , নাকি মগজ গলে গলে দাড়ি হয়? জামাতি ভাবে হিজবুল, তাবলীগ ভাবে জামাতী। বি এন পি ভাবে আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীরা ভাবে বিএনপি,
আমাদের প্রধান ২ নেত্রীই খুব ভাল মুসলিমা। নিয়মিত হজ্জ্ব-ওমরা করেন। নির্বাচন এর আগে আগে তাসবিহ-ঘোমটা সহ ছবিও আসে পোষ্টারে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে , ছাগুরাই কি খালি ধর্ম বেচে, না সব রাজনীতিক ই ধর্ম বেচে খায়>???????????
যাই হোক আমাদের ধার্মিকা হাজ্বি এক্স পি এম , পি এম রা কি এটা জানে না, যে বর্বর ধর্ম ইসলামে নারীকে একদম প্রধান তম নেতৃত্ব হিসাবে থাকাকে মানে না। জানেন তো খুব ভাল করেই, মানেন না কেন????
কেন কোটি কোটি মুসলিমের দেশে আযানকে বেশ্যার সীৎকার এর সাথে তুলনা দেয়ার পরও তার উপর কোন সরকারি একশন হয় না।
কেন মুসলমান হওয়ার অপরাধে, মুসলিম লেবেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমাকে এত বাধা গ্রস্থ হতে হয়, কেন আমাকে যেন বার বার জোর করে বুঝাতে চেষ্টা করা হয়, তোমার ভিতরে সমস্যা আছে? আমার সমস্যা কি নিজের ধর্ম মেনে নামাজ পড়া। নিজ নবীর ভালবাসায় দাড়ি রাখা। খোদাকে ভালোবেসে তার দয়ার ছায়া থেকে সরে যাওয়ার ভয়ে টাটনুর উপর প্যান্ট পরা। নাকি সত্য বলা, কোনটা বড় অপরাধ, নাকি সব গুলোই অপরাধ??
আমি হতাশ নই। এখনো দাড়িয়ে আছি। শুধু গত কিছু দিন আগে, চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য, দড়ি ফেলে সেভ করে,মুখ লুকিয়ে ঘুরে বেরানো , আমার দুঃখী এক বন্ধুকে দেখে, মনের ভিতর জমে থাকা কথা গুলো যেন বেরিয়ে এল। তাই আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দিলাম।
একটু ভাবুন, একজন মুসলমান হয়ে কি আমরা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে থাকার অধিকার রাখি না???????