তিন দেশের পুলিশ বনে গেছে হারানো একট চিতা খুজে বের করতে। জাপানের পুলিশ এসে বলল, সারা বন খুজে পাওয়া গেল না। চীনা পুলিশ বলল , পাওয়া গেলো না। তারপর গেলো স্বনামধন্য বাংলার পুলিশ। কিছু সময় পরে দেখা গেলো একটা হরিণ শাবককে পিটাতে পিটাতে আনছে আর বলছে বল শালা, তুই সেই চিতা।
ধর্ম প্রচারের নতুন বার্তা শেখাচ্ছে কথিত জঙ্গিরা, নাকি রাজনৈতিক ডামাডোলে বিতর্কিত কিছু লোক খুন করে ক্ষমতা স্থায়িত্ব করার নতুন কৌশল এটি?
বিশ্ব নন্দিত বা নিন্দিত হিটলার এর একটা সূত্র ছিলো যে, তুমি যদি তোমার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাও তবে সমাজটা অস্থিতিশীল করে দাও। জানি না, হতে পারে এ কারণেও এই হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
অথবা যদি এটাকে বৈশিক চিন্তা করি তবে বলতে পারি, যাদের কথায় বা ইচ্ছায় সারা বিশ্বে কথিত জঙ্গি তৈরি হয় এবং এই সন্ত্রাসী গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের ফায়দাকে লুফে নিতে মরিয়া হয় তাদেরও হাত এখানে থাকতে পারে।
প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহের প্রধান জানালো আপনাদের দেশে গণতন্ত্রের খুবই অভাব। আপনারা গণতান্ত্রিক হোন। তাদের সেই কথাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তা ব্যাক্তি নানান সময় উল্টাপাল্টা অনেক কথা বলেছেন।
যেমন- আমরা বিশ্ব ব্যাংকের ধার ধরি না। আমাদের কারো সহায়তা দরকার নেই। অথবা পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারটি। বিশ্ব ব্যাংক ছাড়াই আমরা সব পারি। অ্যামেনেস্টি যুদ্ধাপোরাধীদের দালালী করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কোনো দেশ পার পায়নি। হয়ত বা এ কারণে তারাই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে পারে।
অথবা জামায়াত শিবির তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এমন কাম করছে।
হতে পারে সুবিধাবাদী একটি গ্রুপ এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। যখন দেখা যাচ্ছে কিছু ঘটলেই সরকারের পক্ষ থেকে বিচার না করে, ঘাতকদের গ্রেপ্তার না করে বিরোধীদের দোষ দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা মক্ষম সময়
এমন সব ঘটনা পরবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যেসব ব্ক্তব্য দেওয়া হয় তা এখন একজন সাধারণ জনতারও মজ্জাগত হয়ে আছে।
পুলিশ এখন দ্বিধাহীন। হিমশিম খাচ্ছে অপারাধীদের সনাক্ত করতে। অবশেষে দুই একখান মাল মসলা যা জোগার করছে তাতে আসল খুনি বের হচ্ছে না।
এর কারণ খুবই সহজ। সেই গল্পের মত, তিন দেশের পুলিশ বনে গেছে হারানো একট চিতা খুজে বের করতে। জাপানের পুলিশ এসে বলল, সারা বন খুজে পাওয়া গেল না। চীনা পুলিশ বলল , পাওয়া গেলো না। তারপর গেলো স্বনামধন্য বাংলার পুলিশ। কিছু সময় পরে দেখা গেলো একটা হরিণ শাবককে পিটাতে পিটাতে আনছে আর বলছে বল শালা, তুই সেই চিতা।
মারের ঠেলায় হরিণ শাবক অশ্রু জড়ানো কণ্ঠে স্বীকার করছে, আমাকে মারবেন না। আমিই সেই চিতা।
দুর থেকে চিতা দেখে, হাসে আর পরের শিকারের জন্য পথ তালাশ করে।
অনেক কথায় বলতে ইচ্ছা করে। আসলে সবার ব্যক্তিগত একটা দর্শন থাকে। যেটা সে মনে মনে লালন করে। আমি যদি তার দর্শনকে চাপাতির মাধ্যমে বা ঘৃণিত সমালোচনার মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা করি তবে তার ফলটা উল্টা হবে।
একটা দুইটা বিদ্বেষমূলক বই বা চাপাতির নিচে কয়েকটা লাশ রেখে কোনো আদর্শকে শেষ করে দেওয়া যায় না। দরকার গঠনমূলক বুদ্ধিদীপ্তক সমালোচনা। সমাধানের প্রয়োজন আমাদের মাঝে আদর্শের বৈষম্যমূলক রাজনীতির। যেমনটি বলছিলেন দীপনের বাবা।
এসব জঘণ্য কাজ যারায় করুক তাদের সাপোর্ট করা প্রশ্নই আসে না। কিন্তু যে প্রশাসন এসবের ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ তাদের ওপর ভরসা করারও প্রশ্ন আসে না।
এমন কানা-মাছি খেলে যেমন ক্ষমতা টিকে থাকা যায় না তেমনি চাপাতির নিচে আদর্শের মৃত্যু ঘটানো যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪