পুলিশ পিটারের বাড়ি তল্লাশি করে ১০টি স্ত্রী যৌনাঙ্গের অংশ উদ্ধার করেছে। যেগুলি ফ্রিজে রাখা ছিল। ঘরের দেওয়াল থেকেও কাটাছেঁড়া যৌনাঙ্গের বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে।
পর্ণোগ্রাফি এ সমাজের মানুষকে কোথায় নামিয়েছে আমরা সবাই মোটামোটি জানি। চলন্ত বাসে গণধর্ষন, মর্গে থাকা লাশ ধর্ষণ, কবর থেকে তুলে তরুণীকে গণধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি। অনৈতিক সম্পর্ক, পরকীয়া, অবৈধ গর্ভপাত, আত্মহত্যা এগুলোতো ডাল-ভাতের মত আমাদের সামনে আসছে। এবার দেখুন দক্ষিণ আফ্রিকার এক বৃদ্ধের কাণ্ড। তিনি মেয়েদের যোনি কেটে ফ্রিজের মধ্যে স্বযত্নে সারি দিয়ে রাখেন।
তার ঘরের ফ্রিজের মাঝ থেকে উদ্ধার করা হয়ে কমপক্ষে দশ জন নারীর যৌনাঙ্গ। উদ্ধারের সময় দেখা গেছে কোনোটাতে তখনও রক্তের ছাপ স্পষ্ট।
আবার কিছু দেখা গেছে ঘরের দেওয়ালে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া যৌনাঙ্গ ঝুলছে ।
আপনার কাছে এটা কোনো সাইকোথ্রিলার সিনেমার দৃশ্য মনে হতে পারে। তবে এটি মিথ্যা কোনো ঘটনা নয়। সম্পূর্ণ বাস্তব। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেনের। আটক করা হয়েছে ৬৩ বছর বয়স্ক পিটার ফ্রেডরিকসন নামে এক বৃদ্ধকে। এমন বিকৃত লালসার শিকার আক্রান্ত স্ত্রী-ই তার মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে স্বামীর এই জঘণ্য কথা পুলিশকে জানিয়েছেন।
তার এই কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ কেটে উপরে নেয় পিটার। বুধবারের এই ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পিটারের স্ত্রী ২৮ বছরের অ্যানা মলিসকে।
কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানেই মারা যান তিনি। কিন্তু মৃত্যুর আগে স্বামীর সব কীর্তি ফাঁস করে দেন পুলিশকে।
জানান লোমহর্ষক সব কথা, তাঁর যৌনাঙ্গ ছেদ করার আগে পিটার তাঁকে মাদক নিতে বাধ্য করে। তারপর ছুরি দিয়ে যৌনাঙ্গে ছেদ করে তা বের করে আনে।
পুলিশ পিটারের বাড়ি তল্লাশি করে ১০টি স্ত্রী যৌনাঙ্গের অংশ উদ্ধার করেছে। যেগুলি ফ্রিজে রাখা ছিল। ঘরের দেওয়াল থেকেও কাটাছেঁড়া যৌনাঙ্গের বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে।
তার বাসায় মিলেছে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও, শিশুদের পর্ন ছবি। উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ছুরি কাঁচিও। বাড়িতে রাখা যৌনাঙ্গের অংশগুলি কাদের তা তদন্ত করছে পুলিশ। শুধু কি বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য পিটার এমন করত! না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
এরকম জঘণ্যরকম ঘটনা আজ পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে অতিরিক্ত পর্ণাসক্তি কিভাবে আমাদের মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়। কিভাবে অস্বাভাবিক হয়ে উঠে মানুষের রিপুগুলো। আসুন আমরা পর্ণগ্রাফি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮