রমজানে পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠে ইফতারের স্টল। গত বছর হাফ কেজি ফিরনি কিনেছিলাম একদিন। বাসায় ক্ষুধার্ত পেটে আজানের পরে পানি খেয়ে ফিরনি মুখে দিলাম। মুখে দিয়ে বুঝলাম ফিরনি না এটা সুজি গুড়া, আটা, চিনির মিশ্রণে একটা মন্ড শুধু।
পরদিন সেই দোকানে গেলাম দেখলাম দোকান দার লোক মাথায় টুপি দিয়ে বিক্রি করছেন দেদার্সে । তারে জিগ্যেস করলাম ভাই আপনি কি বেহেশতে যাবেন? আমার প্রশ্ন শুনে দোকান দার ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে গেলো। ১ মিনিট ইতস্তত করে মৃদ হুংকার দিতে চাইলেও তার গলা দিয়ে স্বর বের হয় নাই । আমি ই তাকে হেল্প করলাম ঘটনা বুঝাতে।
হাফ কেজি আটা, সুজি আর চিনির মন্ড যে ফিরনির নাম করে বেচলেন আপনি কি আসলেই মনে করে মাথায় টুপি দিয়েই বেহেশতে চলে যাবেন?
আরেক কাস্টমার হ্যাডম ধারি দোকান দার কে সাপোর্ট করে বললেন। "ভাই আমিও গত কাল কিনেছি ভালো হয় নাই। এরা আগে বানায় নাই তো।" আমি সেই হ্যাডম ধারি কাস্টমার কে থামিয়ে বললাম। বাহ ভালোই তো বললেন, আগে কোনোদিন না বানিয়েই কিভাবে আটা আর সুজি মিশ্রন করে দুইটা চিনি দিয়ে হাফ কেজি ফিন্নি নামের অখাদ্য ১১০ টাকা বেচা যায় সেই ট্রেনিং ওনার আছে ।
এই রমজান মাসে আমাদের দেশের ব্যবসায়ী শ্রেণী শয়তানের দায়িত্ব নিজ কাধে নিয়ে নেয়।
আজকে বাসায় বলে দিয়েছি কোনো প্রকারের কোনো দোকান থেকে কোনো ইফতারী পন্য না কিনতে। বাসায় বানাতে পারলে বানাবা না হলে ভাত রান্না করবা।
সকাল ৭টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত জানোয়ারের মত খেটে যে দুইটা টাকা পাই তা দিয়ে এই শুয়োর গুলোর পেট ভরতে পারবোনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৫