ফেসবুক থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে,
আমার বাবা তার একজন অসুস্থ বন্ধুক(ক্যান্সার পেশেন্ট LAST STAGE)নিয়ে রাস্তা পাড় হচ্ছিল পান্থপথের রাসেল স্কয়ার এর সামনে। আর সাথে একটা পতাকা ছিল(আমার মেয়ের জন্য)। বাবা বেগুনি রং এর পাঞ্জাবী পড়া ছিল। বাবার বন্ধু একা রাস্তা পাড় হয়ে যাচ্ছে দেখে বাবা উনাকে ধরতে যাবে এমন সময় মৌচাকের মত অনেক ছাত্র বাবাকে ঘিরে ধরে। বাবাকে দেখে ছাত্রদের কাছে মনে হয়েছে উনি যুবলীগ করেন। বাবা বলে আমি কোনো রাজনৈতিক দলের না।এই বলার পর মোবাইল চেক করে কিছুই পায় না, বাবা মানিব্যাগ বের করে NID দেখায়। এরপর ইচ্ছামত ছাত্ররা বাবাকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারে। বাবার বন্ধুপিছে তাকিয়ে বাবাকে না পেয়ে আবার রাস্তার ডিভাইডার এ এসে দেখেন বাবাকে মারছে। উনি ছাত্রদের বলেন আমি অসুস্থ, এই লোক আমার সাথে আসছেন এবং একজন নিরীহ মানুষ, উনাকে মেরো না। ছাত্ররা ঐ আঙ্কেলকে মারার জন্য দল বেধে আসার পর উনি উনার অপারেশন এর জায়গা গুলা দেখায়, পরে ছাত্ররা উনাকে বলে যে আপনি চলে যান নাহলে আপনার ফ্রেন্ড এর মতই আপনাকে মারা হবে। এরপরই বাবার তিনজন আর্মি অফিসার, নেভি অফিসার বন্ধুর ফোনে আর্মিরা বাবাকে ঐখান থেকে নিয়ে ঐ জায়গার একটা রুম এ রাখে এবং ঐ আঙ্কেলরাই নিউমার্কেট থানার ওসি কে ফোন দিয়ে বাবাকে থানায় আনার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনা ঘটে 11.30 টায় আর আমরা খবর পাই 2.30 পর। এতটা সময় ইচ্ছামত মারল। এরফল স্বরূপ আমার বাবা ICU তে। মোবাইল, মানিব্যাগ সব ছাত্ররা রেখে দিয়েছে। এর জন্য আমারা ছাত্রদের এত সাপোর্ট দিয়েছি? আমার বাবা কোন অপরাধের জন্য এই স্বাধীন দেশে শাস্তি পেল?

শোক পালন করতে চাওয়াদের উপরে নির্যাতন, হামলা, ল্যাংটা করে রাস্তায় নাচানো, কানে ধরে উঠবস, সবই আজকে হয়েছে। তাতে মেধার ঝলক ক্ষনে ক্ষনে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অনেক নোংরা, কলংকিত। তবে আজ যা হয়েছে তা বাংলাদেশ কখনো আগে দেখেনি।

তারা মানুষকে শুধু নির্যাতন করে, পিটিয়ে রক্তাক্ত করেই থামে নাই। মেরে ফেলার হুমকি দেখিয়ে নাচতেও বাধ্য করেছে। তারা গর্ব করে এসব প্রচারও করছে। আজকে ঠিক তাই করা হইছে যা পাকিস্তানিদের সাথে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হেরে গেলে হইতো।

এডভোকেট রবিউল আলম লিটন গিয়েছিলেন ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে। তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে পেটায় কোটা আন্দোলনকারীরা ।

আজকের ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার। এই ছবির দ্বিতীয় ও চতুর্থজন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কাজী শামসুল হকের সন্তান ইতি ও ওয়ালিদ। শহীদ কাজী শামসুল হক ছিলেন পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির স্বাধীনতাসংগ্রামী। তাঁর হত্যাকান্ডের সাথে শর্ষিনার পীর জড়িত ছিলো। ১লা জুলাই ১৯৭১ পাকিস্তান আর্মি তাঁকে হত্যা করে।

শুধু ধানমন্ডি নয়, ঢাকায় আজ যাদেরকে দেখে তাদের সন্দেহ হয়েছে তাদেরই ফোন চেক করা হয়েছে। কোটা আন্দোলনের সন্ত্রাসীরা কালো ব্যাজ পরায় এক মুরুব্বী এবং তার ছেলেকে রিকশা থেকে নামিয়ে কানে ধরাইছিল। ধানমন্ডি নিউ মডেল কলেজের ভেতরে নিয়ে পিটিয়ে ৫ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হইছে। কেউ তাদের এখনো উদ্ধার করতে পেরেছেন কি না জানি না। এগুলো হচ্ছে জানা ঘটনা। এর বাইরে আর কি কি হইছে এখনো জানি না…..


নজরুল সাহেব বললেন তাজা লাশ সামনে রেখে ৫০ বছর আগের শোক পালন ভন্ডামী। অথচ তাজা লাশ সামনে রেখে ওনারা লুঙ্গি ডান্স করছেন। আমরা ৫০ বছর আগের শোক ভুলিনাই। ওনারা লাশ মর্গে রেখে লুঙ্গি ডান্স করছেন।

লাশের দরকার শেষ। তাই লাশের এখন আর কোন মূল্য নাই।

মহিলাটির অপরাধ তাঁর পোশাকের একটি অংশ কালো ছিলো। সে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন, কতিপয় শিক্ষার্থীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মহিলা উত্তরে বলে ৩২ নম্বর ঘুরতে এসেছে। এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাঝবয়সী নারীকে যুবক যুবক ছেলেরা প্রথমে মুখে কালি মাখে, পরে ইচ্ছা মতো কিল, ঘুষি, লাথি। মহিলা বার বার বলছে আমি তোমাদের মায়ের মতো আমাকে মের না বাবা, আমি কোন প্রকার ফুল দিতে আসিনি। একটা মেয়ে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করলো, তাতে খুব একটা লাভ হলো না। এই বয়সে এসে ছেলের বয়সী যুবকদের কাছে বিশ্রি ভাষায় গালি শুনতে হবে এটি হয়তো কখনো ভাবেনি সে। এক পর্যায়ে তার কাঁধে থাকা ব্যাগটি নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে একজন আবিস্কার করলো তার ব্যাগে চেক পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের কেউ টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে এমন সন্দেহে শুরু হল আরেক দফা মাইর। মহিলাটি হাতে পায়ে ধরছে বার বার বলছে আর মাইরো না বাবা। পরে কয়েকজন মেয়ে তাকে ধরে একটি রিকশায় তুলে দেয়। ভদ্র ছেলেদের লাঠির মুখে আমি অসহায়ের মতো শুধুই দেখলাম। কিছুই করতে পারলাম না।

১৪ তারিখ বললেন শোক জানাতে রাস্তায় নামলে পা ভেঙ্গে দেবে। কিন্তু আজকে আবার ভং ধরেছেন। সাধু সাজছেন। যাই ঘটেছে তার সরাসরি নির্দেশে ঘটেছে। হাসনাত বলেছে “ তারা রাস্তায় আসার কোনো ধরনের চিন্তা করলে ছাত্র-জনতা তাদের পা ভেঙে দেবে।’

আগের দিন উস্কানী মূলক বক্তৃতা দিয়ে এখন আবার সং সাজছেন। এই না হলে ঝানু অপরাজনীতি বিদ।

(সোর্স)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



