somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্যা স্টেজ অফ লাইফ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অসীম বলে তো কিছু নেই। প্রত্যেকটা বস্তুরই শেষ বলে কিছু আছে। একটা নির্দিষ্ট পিরিয়ড আছে। প্রেম, বন্ধুত্ব, আড্ডা, ভালোবাসারও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। সেই সময়গুলো কেটে গেলে ব্যাপারগুলোর অস্তিত্বও কেটে যেতে শুরু করে। স্কুল লাইফে মেয়েদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করার মাঝে যে অনুভূতি, ভার্সিটির ক্লাসে ঢোকার আগ মুহূর্তে চুল ঠিক করার সেই অনুভূতি কখনো এক থাকে না। মাঝখানে অনেকগুলো বয়স পার হয়ে যায়। পার হয়ে যায় অনেকগুলো সময়। অনুভূতির পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় সে স্বচ্ছ বিকেলগুলোর।

বিশ্ববিদ্যালয় জায়গাটা হচ্ছে এই আড্ডা, প্রেম, অনুভূতির একদম প্রায় লাস্ট স্টেজ। কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা এই স্টেজটা স্কুল লাইফেই পার করে আসে। এদের কলেজ জীবনটা কাটে ভ্রমের ভিতর। ভার্সিটিতে এসে এরা উপভোগ করার মত উপভোগ্য কোন জিনিসই খুঁজে পায় না। কারণ এঞ্জয় করার মত কোন কিছুই এরা অবশিষ্ট রাখে না। সব স্কুল লাইফেই পার করে আসে। প্রেমিকা পরিবর্তন হয়, বন্ধু বান্ধবের পরিবর্তন হয় ফলে ভার্সিটি জীবন পার করে খুব বিতৃষ্ণা নিয়ে নয়তো সূক্ষ্ম অভিনয় করে। খুব কম মানুষই আছে যারা এদের অভিনয় ধর‍তে পারে।

তাছাড়া স্কুল জীবনে যাদের সময় কাটতো স্কুল ফাঁকি দিয়ে আড্ডাতে কিংবা সান্ধ্যকালীন গানের আসরে তাদের কাছে ভার্সিটি জীবনের আড্ডা, বন্ধু বান্ধব অনেকাংশেই মেকি মনে হয়।

অনেকের কাছে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। তাদের কাছে ভার্সিটি জীবনের মত জীবন আর হয় না। তারা এই লাস্ট স্টেজে এসে, বলতে গেলে জীবনের অফুরন্ত দারুণ সময়গুলি পার করে। স্কুল লাইফে এরাই ছিল ক্লাসের ভদ্র ছেলেদের লিস্টে। ভার্সিটিতে এসে আচমকা হাওয়া লাগে এদের জীবনে। তখন এই হাওয়ার তোড়ে তারা ডানা মেলে রঙিন সানগ্লাসে। লাস্ট স্টেজে এসে পরিপূর্ণ পায় তাদের সুপ্ত বাসনাগুলো। স্কুল লাইফে যারা ফেসবুকে চরণ করতো নিরবে নিভৃতে তারাই এই সময়ে এসে কভার ফটোর ডেস্ক্রিপশনে লেখে 'বন্ধু আছে আর কি লাগে'।
জীবনের স্টেজগুলো বড়ই অদ্ভুত। একেক স্টেজে একেকরকম ভালো লাগা। হরেকরকম চাওয়া পাওয়া। তবুও স্টেজগুলো আমরা খুব কৌশলে পার করি। চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষতে বসলে একদিন আমাদের মনে হয় কিছুই পাইনি আবার অন্য দিন মনে হয় জীবনটা মন্দ না খুব একটা। স্টেজগুলো আস্তে আস্তে সবই পার করছি। পুল সিরাতের মত খুব একটা কঠিন না হলেও অতো সহজও না আসলে। পার করছি আর বুঝতে পারছি মানুষ চেনা ভীষণ দায় এ গ্রহে। আর এক্সপেকটেশন লেভেল কমিয়ে রাখলেই তুমি সুখী মানব কিংবা মানবী ঘূর্ণায়মান এই গ্রহে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×