somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরষ্কার ও উপহারের তালিকায় বইকে প্রাধান্য দিন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোবাইল আর সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবে বই পড়ার অভ্যাস অনেকটা যে কমে গেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।বই পড়ার অভ্যাসের কারণে এক সময় তরুণ প্রজন্ম জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সুস্থভাবে চিন্তা-ভাবনা করার যে সুযোগ পেতো এখন মোবাইলের কারণে তা অনেকটাই কমে গেছে বলে আমার মনে হয়। মোবাইলের অপব্যবহার তো এখন রীতিমত একটা আসক্তি বা মানসিক রোগে পরিণত হয়েছে। এখন তরুণদের মধ্যে অস্থিরতা, একাকীত্ববোধ ও হতাশা জনিত সমস্যা যে হারে বাড়ছে তা রীতি মত উদ্বেগজনক। মোবাইল তথা সামাজিক মাধ্যমের প্রতি আসক্তি এর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মোবাইল আসক্তির বিরূপ প্রভাব তাদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।কারণ, আসক্তির কারণে একটা ছেলে সারাদিন যত ঘন্টা মোবাইল নিয়ে বসে থাকে তার দশভাগের এক ভাগও পড়াশোনা করে না।

মোবাইল প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জীবনকে সহজ করেছে; বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এর অপব্যবহার রোধ এখন এক বিরাট চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।এক্ষেত্রে তরুণদেরকে আবার বইমুখি করা বিরাট কাজে দিতে পারে। তাদের মধ্যে আবার পাঠোভ্যাস তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের এগিয়ে আসা দরকার। বিশেষ করে উপহার সামগ্রির তালিকায় আমরা বইকে প্রাধান্য দিতে পারি। আমরা জানি, সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপহার প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে কাজ করে। আর বইয়ের চেয়ে মূল্যবান উপহার আর হতেই পারে না। কারণ, একটি ভাল বই একজন মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে। তাই প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। বই সবচেয়ে ভাল বন্ধু। রোমান দার্শনিক সিসেরো বলেছেন, ‘‘যে ঘরে বই নেই তা একটি প্রাণহীন দেহের মতো।’’

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল বইয়ের উপহারকে অনেক ছোট করে দেখা হয়।এমনকি, স্কুল-কলেজ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য যে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়, সেখানেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার হিসেবে বই তুলে দেয়ার প্রবণতা কমে গেছে। তার পরিবর্তে দেয়া হয় থালা-বাসন, জগ, মগ ইত্যাদি। আমাদের রুচিবোধ আজ কোথায় এসে ঠেকেছে তা ভাবতেও অবাক লাগে।

এছাড়া সৃজনশীল ও মননশীল বইয়ের প্রতি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কেমন যেন একটা অনীহা কাজ করছে।তাদের দৃষ্টি এখন গাইডবই ও বোর্ড বইয়ের বাইরে অননুমোদিত সহায়ক বইয়ের বাণিজ্যের দিকে।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×