ক্ষনিকের জন্য হলেও বিষন্নতা প্রতিটি মানুষকেই ঘিরে ধরে। বিষন্নতার মত বিচ্ছিরি অনুভূতি আর কোন কিছুই হয় না। বিকাল থেকে বিষন্নতায় ভুগছি, না এভাবে বসে থাকার কোন মানে হয় না, বিষন্নতার চিকিৎসার জন্য বেরিয়ে পরলাম স্কুলে উদ্দেশ্যে।
"এক ছিলিমে যেমন তেমন, দুই ছিলিমে মজা, তিন ছিলিমে উজির-নজির, চাইর ছিলিমে রাজা..."
ছিলিম বাড়ার সাথে সাথে অবস্থাও যে হারে বেগতিক হয় তখন আর সেটা উজির-নাজির রাজায় সীমাবদ্ধ থাকে না।
বর্তমান বসে আছি মেঘের উপরে। কেউ শূন্যে, কেউ মহাশূন্যে, কেউ ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি, কেউ বা মঙ্গল প্রদক্ষিণ করে চাঁন্দে। ভালো না লাগার কারণে চুপচাপ বসে আছি। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর কেন জানি মনে হলো পাশের জন আমাকে মনে হয় কিছু বলছে।
হ্যাঁ আসলেই কিছু বলছে, কিন্তু এতক্ষণ যাবত কি বলছিলো তা আমার জানা নেই। কিছুক্ষণ শোনা পর বুঝতে পারলাম পাশের জনের মাঝে হঠাৎ করে মহা দার্শনিকের আত্মার উদয় ঘটছে।
বুঝলি ভুল বলেছিলাম, অনুভূতির মৃত্যু হয়। অনুভূতির মৃত্যু হলে কিভাবে বুঝলাম অনুভূতির মৃত্যু হয়েছে? অনুভূতির মৃত্যু হয়েছে বোঝাটাই তো অনুভূতি। আসলে অনুভূতির কোনদিন মৃত্যু হয় না।
হুম, ঠিক বলছেন, একমাত্র কোমার রুগী বা প্যারালাইজড অংশ বাদে।
যেভাবে তাকালো মনে হয় আমার কথাটা তার ভালো লাগে নাই।
সবকিছুই কি তোর ফাইজলামি মনে হয়। কোমাতে গেছে এমন কোন সিনেমার কোন সিন দেখিস নাই কখনো? কোমায় গেলেও অনুভূতি থাকে। আর কোন অংশ প্যারালাইজড সেটাও তো সে অনুভূতির দাঁড়াই বোঝে সেই অংশের কোন অনুভূতি নাই। যুক্তি দিয়ে সবকিছু হয় না আবার যুক্তিহীন অনেক কিছু হয়। তেমনি সবকিছুর অর্থ হয় না, অর্থহীন অনেক কিছু হয়।
এবার ওপাশের জন বললো, হ্যাঁ দাদা সব টাইগার বাঘ হয় না, কিছু টাইগার বোতল-ও হয়।
এটা শোনার পর দুইজন খিক খিক করে হাসাহাসি শুরু করলো। হাসি একটা সংক্রামক রোগ। একজনের হাসি দেখলে আপনি চান বা না চান আপনারো হাসি পায়। আর এমন পরিবেশে হাসার জন্য কোন রিজন দরকার হয় না। আপনি হাসছেন, পাশের জনও হাসতে হাসতে আপনাকে জয়েন করে বলবে, আমরা হাসতেছি ক্যান?
এখন আমার সবাই হাসতেছি।