সাবেক প্রিয়, প্রসনজিৎ চ্যাটার্জি। আপনার উদ্দেশ্যে এবং আপনার দেশবাসির উদ্দেশ্যে একটি ছোট খুলা চিঠি।
বাংলাদেশের মানুষদের মনে ক্রিকেটের স্থান আবেগের,ভালবাসার,গর্বের ও সম্মানের আর যখন কেউ এই চার জায়গাতে আঘাত হানে তখন প্রতিটি বাংলাদেশীর হৃদয়ে কি পরিমাণ অদৃশ্য রক্তক্ষরণ হয় তা কেবল একজন বাংলাদেশীই বুঝতে পারবে।
আর যেকোন মানুষের আবেগের,ভালবাসার,গর্বের ও সম্মানে কিংবা আদর্শে আঘাত লাগলে তার মনে রাগে ও প্রচন্ড ক্ষুব জন্ম নেওয়াটাই স্বাভাবিক আর আপনার সে পোস্টে কিছু কুরুচিপূর্ণ কমেন্টে এবং রুচিপূর্ণ কমেন্টে বাংলাদেশের মানুষের সে রাগ ও ক্ষুবই ফুটে উঠেছে।
আপনার এই পোস্টটি দেখে যে কোন ছোট ছেলেও বলে দিবে যে আপনি আপনার বিগত পোস্টের জন্য দুঃখিত কিংবা ক্ষমাপ্রার্থী নন। বরং পোস্ট টায় অনেকেই তাদের কুরুচিকর বক্তব্য রাখায় আপনি অত্যন্ত দুঃখিত ছিলেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়ায় আপনি অত্যন্ত দুঃখিত এবং ব্যথিত।
কিন্তু আপনি আপনার পোস্টে একবারও উল্লেখ করেননি যে, আপনি পোস্টের বিষয় বস্তুর জন্য দুঃখিত কিংবা ব্যথিত । যা হোক, আপনি দাবি করছেন যে সেটা আপনার অজান্তে ভুল, যদিও যুক্তি সেটা বলছে না। তবুও যদি এটা অজান্তে ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার যোগ্য অন্যথা আমার কেন আপনি পুরো বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমা ও সম্মানের অযোগ্য।
সম্প্রতি পেপসির এড কিংবা প্রসনজিৎ বা ইন্ডিয়ানদের এধরনের কার্যকলাপে মাঝে মাঝে ইন্ডিয়ার পাফর বাজি দেখলে মনে হয়, ১৯৭১ সালে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,দামি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যোদ্ধ ঘোষনা করা আর সবচাইতে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল ইন্ডিয়ার সাহায্য নেয়া। রক্ত যখন দিয়েছি আরো দিতাম তবুও ইন্ডিয়ার সাহায্য ছাড়া এই বাংলাকে স্বাধীন করতাম!!!!!!!!!!! অন্তত এর ফলে কেউ নিজেদেরকে বাংলাদেশের তৈরি কর্তা দাবি কিংবা মুক্তিযোদ্ধে ৮০% অবদানের ভাগ দাবি করত না।
একটা শেষ কথা বলার আছে-
বাঘের জাত বিড়াল হোক কিংবা বাঘ! তাদের শিকার করার আন্দাজটা কিন্তু এক। ধরলে ছাড়ে না, একবার ঘাঢ় মটকালেই শেষ ,সেটা হরিণ হোক কিংবা ইঁদুর।
অতএব, বাংলার বাঁশ খাওয়ার জন্য তৈরি থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, হারি কিংবা জিতি অবস্থা ডাল করে ছাড়ব ইনশা'আল্লাহ।
ইতি-
বাংলার বাঙ্গালী