প্রিয় মুসলিম তুমি কি সদা সর্বদাই শিরক করে যাচ্ছ , যদিও তোমার অসচেতন মন মনে করছে যে , তুমি তোমার মহান প্রভুর ইবাদত করে যাচ্ছ । কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে তুমি সর্বদা শিরকে লিপ্ত রয়েছো । প্রিয় মুসলিম তোমার উচিত ছিলো - তুমি আল্লাহর ভয়ে বা আল্লাহকে ভালবেসে টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকবে । কিন্তু সহজলভ্য এই টিভি সিনেমার যুগে তুমি মানুষের ভয়ে , আলেমের ভয়ে , পীরের ভয়ে , দাড়ি টুপির ভয়ে সর্বদা এবং সারাজীবন টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকছো । যা প্রকাশ্য শিরক ।
পূর্বকালের বুজুর্গগন হঠাৎ হঠাৎ কোন আমল লোকের ভয়ে করাকে জায়েজ বলেছেন । কিন্তু সারাজীবন তুমি লোকের ভয়ে , সমালোচনার ভয়ে আমল করবে , তা কখনোই মহান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না । আর এটা অবশ্যই প্রকাশ্য শিরক । প্রিয় মুসলিম , আপনারা সবাই ( সমস্ত আলেম , সমস্ত পীরসাহেব এবং প্রায় সমস্ত মুসলিম ) লোকের ভয়ে সারাজীবন ইবাদত করে যাচ্ছেন । এতে করে ঈমান আপনাদের হৃদয় অব্দি পৌঁছাতে পারছে না , বরং ঈমান আপনাদের চামড়ার উপরেই থেকে যাচ্ছে । আপনাদের ঈমান প্রাণহীন কাঠের মতো , যার কোন মূল্যই মহান আল্লাহর নিকট নেই ।
আপনাদের ঈমানকে জীবন্ত করতে চাইলে অবশ্যই শিরক থেকে বাঁচতে হবে । লোকের ভয়ে বা দাড়ি টুপির ভয়ে নয় , বরং আল্লাহর ভয়ে টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে । কিন্তু বর্তমান জগতে যা অসম্ভব । কারণ টিভি নেট এখন একেবারেই সহজলভ্য । এজন্যই কাহারো ঘরে টিভি থাকলে , কম্পিউটার থাকলে , তার সমালোচনা করা যাবে না । বরং এটা তাকে শিরক থেকে বাঁচাবে । প্রিয় মুসলিম তুমিই বলো হারাম বড়ো না শিরক বড়ো । টিভি দেখা একসময় পরিপূর্ণভাবে হারাম ছিলো । কিন্তু বর্তমানে ভালো কিছু দেখাকে সবাই জায়েজ করে নিয়েছে । অতঃপর আমি বলবো পর্নো ব্যাতীত , অতিরিক্ত ব্যাতীত , মধ্যম সময় , রিলাক্সের জন্য এবং সর্বোপরি শিরক থেকে বাঁচার জন্য টিভি নেটে - নাটক , সিনেমা , গান দেখা মুবাহ , তবে অতিরিক্ত সময় দেখা মাকরূহ । এটা আমার ইজতেহাদের মূলনীতি অনুসারে ( মূলনীতিটি অন্য স্ট্যাটাসে বর্ণিত আছে ) ফতোয়া । আর এটা সবাইকে শিরক থেকে বাঁচাবে এবং এটা এযুগের জন্য তাজদীদ বা সংস্কার । অতঃপর এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ দ্বারা সংস্কার হবে ইনশাআল্লাহ ।
প্রিয় মুসলিম তুমি হারাম থেকে বাঁচতে গিয়ে শিরক করে ফেলছো নাতো । যদি করে ফেলো , তাহলে এখনই তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করো । তা না হলে চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে । কিছু হারাম কাজ করলে কোনদিন না কোনদিন জান্নাতে যেতে পারবা , কিন্তু শিরক করলে চিরজাহান্নাম ।
অতএব লোকের ভয়ে আমল করা ছাড়ো , বরং ঘরে টিভি রাখো । কারণ টিভি দেখলে আফসোস থেকে বেঁচে থাকতে পারবা । দেখার চাইতে আফসোস করা বড়ো গুনাহ । তাছাড়া সর্বদা এবং সারাজীবন আফসোস করা প্রকাশ্য শিরক । এখনতো মানুষ পীরের ভয়ে আলেমের ভয়ে লোকের সমালোচনার ভয়ে দাড়ি টুপি রাখছে , টাখনুর উপর প্যান্ট পড়ছে , নারীর দিকে তাকাচ্ছে না । অথচ সব আমল করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য । তাই এসব আমল না করাই উত্তম ।
প্রিয় মুসলিম এখন তো বলতে গেলে প্রায় সমস্ত আলেমরা এবং পীর সাহেবরাই লোক দেখানো ইবাদত করে শিরক করে যাচ্ছেন । সকল মানুষই এখন অত্যন্ন্ত দুর্বল , তাই কঠোর ইসলামকে ছাড়তে হবে , সহজ দ্বীন পালন করতে হবে । যে সমস্ত পীর সাহেবরা এবং আলেমরা দ্বীনকে কঠিন করছে , তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা ওয়াজিব । কারণ এরা তোমাকে প্রাণহীন ঈমান শিখিয়ে চিরজাহান্নামী করবে ।
প্রিয় মুসলিম , আল্লাহর ভয়ে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ পালন করো । বেশি বেশি দান সদকা করো , বেশি বেশি নফল নামাজ এবং রোজা করো , যা তোমার নফ্সকে প্রশান্ত আত্মায় রুপান্তরিত করবে এবং তুমি দুনিয়াতেই বেহেশতের স্বাদ অনুভব করবে । অতঃপর বিনয়ী হও , কারণ বিনয় কিয়ামত পর্যন্ত ফরজ । আমি অনেক পীর সাহেবকে কুকুরের মতো আচরণ করতে দেখেছি এবং এদের মাঝে বিনয় বা কোমলতা দেখা যায়নি বললেই চলে । অতঃপর এরা হেদায়েত থেকে দূরে ছিলো ।
প্রিয় মুসলিম , টিভি নেট দেখা থেকে বিরত থেকে , দাড়ি টুপি রেখে এবং টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়ে এবং নারীর দিকে না তাকিয়ে শিরক করার চাইতে বিপরীত করা তোমার জন্য সর্বোত্তম ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।