আমার লেখালেখির কারণ প্রধাণত , মহান আল্লাহর নির্দেশ । তাছাড়া এই লেখালেখির দ্বারা আমি জিহাদ করি , অন্যায়ের প্রতিবাদ করি , সৎকাজের আদেশ দিই এবং অসৎ কাজের নিষেধ করি । আর এগুলির মাধ্যমে আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজি এবং পরকাল মুক্তি চাই ও ইহকালের কল্যাণ চাই । (ইহকালের কল্যাণ হলো সর্বদা পরকালকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন যাপন করা) ।
উপরোক্ত কারণগুলি আপনার মনমতো না হলে বলবো - আমার লেখালেখির কারণ হলো , মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমি ইসলামে ইজতেহাদ বা গবেষণা করি , যাতে মানুষ সহজেই পরকাল মুক্তি পাইতে পারে এবং ইহকালের কল্যাণ লাভ হয় । যদিও অনেকে মনে করে ইমাম মাহদি শীঘ্রই আসবেন । কিন্তু ইমাম মাহদি যদি ১ ঘন্টা , ১ দিন , ১ মাস , ১ বছর , ১০০ বছর বা ৫০০ বছর পরে আসেন , তাহলে এই সময় আপনি কিভাবে আমল করবেন ? আর এজন্যই আমি গবেষণা করে বর্তমান দুর্বল মানুষের জন্য ইসলামকে সহজভাবে বর্ণনা করি , যাতে মানুষ সহজেই পরকাল মুক্তি পাইতে পারে ।
মৌলবাদীরা এবং মুসলিম সন্ত্রাসীরা পদ্মা নদীতে বাঁধ দিয়ে আধুনিকতা ঠেকাতে চায় এবং তথ্য প্রযুক্তিকে ঠেকিয়ে রাখতে চায় । যা পুরোপুরি অসম্ভব । এ-যুগে মানুষ তথ্য জানবেই এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে বিনোদন করবেই । যতো বাঁধা দিবে ততো প্রসার ঘটবে । তাছাড়া রাস্তা ঘাট , অফিস আদালত , বাজার শহর , বনে জঙ্গলে এবং টিভি নেটে সব জায়গায় বেপর্দা নারীর অবাধ বিচরণ। সেখানে ঈমান রাখা আর হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখা সমান । তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে বেঁচে থাকার জন্য । যাই ঘটুক না কেনো - নামাজ রোজা এবং তরিকার চর্চা ছাড়া যাবে না । খেয়াল রাখতে হবে , মানবাধিকার লংঘন যেনো না হয় এবং ফরজ ওয়াজিব আমলগুলি ছুটে না যায় ।
যাইহোক , আধুনিকতা ঠেকানো যাবে না , তথ্য প্রযুক্তি ঠেকানো যাবে না , কারণ নদীর স্রোত আটকানো যায় না । কিন্তু মৌলবাদীরা স্রোতকে আটকাতে চায় , যা মূর্খতা ছাড়া কিছু নয় । আমি কোরান হাদিসের দলিল দিয়ে ইসলামকে সহজ করেছি এবং নাম দিয়েছি আধুনিক ইসলাম । আধুনিক ইসলাম মান্য করুন এবং আমার দল মডারেট মুসলিম এ যোগ দিন । ফলশ্রুতিতে ইহকাল এবং পরকালে মুক্তি লাভ করুন ইনশাআল্লাহ । এভাবে আমার এবং অন্যদের পরকাল মুক্তি নিশ্চিত করাই আমার লেখালেখির মূল কারণ ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।