একটি দেশের মানুষ যদি সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ, বিবাদ শূন্য, বিরোধহীন, অবিরোধী এবং উন্নত হবে। অন্যদিকে যদি একটি দেশের মানুষ অসাধু, নীতিবিগর্হিত, পাপাত্মক, দুরাশয়, দুশ্চরিত্র, পাপপরায়ণ এবং স্বার্থপর হয় তাহলে সেই রাষ্ট্র অশান্ত, অস্থির এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হবে।
একজন ব্যক্তির চরিত্র তার শিক্ষা, বিদ্যাচর্চা, অধ্যয়ন, পরিবেশ, প্রতিবেশ, পরিমণ্ডল, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার দ্বারা গঠিত হয়। ভাল শিক্ষা এবং সুস্থ পরিবেশ একজন ব্যক্তিকে সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ হতে সাহায্য করে। অন্যদিকে খারাপ শিক্ষা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানুষকে অসাধু, অসৎ, মন্দ, নীতিবিগর্হিত, পাপাত্মক, দুরাশয়, দুশ্চরিত্র, পাপপরায়ণ এবং স্বার্থপর হতে সাহায্য করে।
একটি রাষ্ট্রকে ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য সেই দেশের মানুষকে ভাল চরিত্র গঠন করতে হবে। মানুষকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হতে হবে। তাদেরকে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদমন্দ, দরদি, সমব্যথী এবং সহায়ক হতে হবে।
যদি মানুষ ভাল চরিত্র গঠন করতে পারে, তাহলে সেই দেশ একটি শান্তিপূর্ণ, নির্বিবাদ, বিবাদশূন্য, বিরোধহীন, উন্নত, মহৎ, উদার, মার্জিত, সভ্য এবং সমৃদ্ধ দেশ হবে।
একজন ব্যক্তির চরিত্র গঠনের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে:
১. সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হতে চেষ্টা করুন।
২. অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদমন্দ, দরদি, সমব্যথী এবং সহায়ক হন।
৩. অন্যদের জন্য ভাল, উত্তম, হিতকর, কল্যাণকর, শোভন এবং উচিত কাজ করুন।
৪. নিজের ভুল, ভ্রান্তি, প্রমাদ স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চান।
৫. অন্যদের ক্ষমা করুন এবং অন্যের দোষ বা অপরাধ মার্জনা করুন।
৬. ধৈর্য ধরুন এবং অন্যদের সাথে সহনশীল এবং সহিষ্ণু হন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আমরা একটি ভাল চরিত্র গঠন করতে পারি এবং আমাদের দেশকে একটি ভাল জায়গা করে তুলতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৩