নীরবতা আমাদের অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে নীরবতার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া উচিত।
নীরবতা আমাদের অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং চিন্তাভাবনার স্পষ্টতা অর্জন করতে সাহায্য করে।
অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় নীরবতায় কাটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অতি-চেতনা হল আমাদের মনের সেই অংশ যা সচেতন মনের চেয়ে গভীর। এটি আমাদের অনুভূতি, স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।
২. নীরবতা আমাদের মনকে শান্ত করতে এবং অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। যখন আমরা নীরব থাকি, তখন আমাদের মন ভাবনাচিন্তা থেকে মুক্ত হয় এবং আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ কণ্ঠস্বরকে শুনতে পারি।
৩. অবচেতন মন হল আমাদের মনের সেই অংশ যা সচেতন মনের কাছে অজানা। এটি আমাদের আবেগ, ইচ্ছা এবং বিশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. নীরবতার মাধ্যমে আমরা আমাদের অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি এবং আমাদের আবেগ, ইচ্ছা এবং বিশ্বাস সম্পর্কে আরও জানতে পারি।
৫. মনের স্পষ্টতা অর্জনের জন্য নীরবতা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা নীরব থাকি, তখন আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি।
নীরবতার উপকারিতা:
(ক) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
(খ) মনোযোগ এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করে
(গ) সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে
(ঘ) আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি করে
(ঙ) মানসিক সুস্থতা উন্নত করে।
কিভাবে নীরবতার অভ্যাস শুরু করবেন:
(অ) প্রতিদিন ১০ মিনিট নীরবতার জন্য বরাদ্দ করুন।
(আ) একটি শান্ত জায়গা বের করুন যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না।
(ই) চোখ বন্ধ করে আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন।
(ঈ) আপনার মনে যেকোনো চিন্তা আসুক না কেন, তাকে বিচার না করে ছেড়ে দিন।
(উ) ধীরে ধীরে আপনি নীরবতায় আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন।
শেষ কথা:
নীরবতা আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে, আমাদের অবচেতন মন সম্পর্কে জানতে এবং স্পষ্টতা অর্জন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছুটা সময় নীরবতায় কাটানো আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫