শয়তান কি ভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত এবং পথভ্রষ্ট করে:
অমঙ্গলের ভবিষ্যৎবাণী করে:
শয়তান মানুষের মনে এমন চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় যে, মানুষ সব সময় ভাবতে থাকে সে দরিদ্র হয়ে যাবে, অর্থনৈতিক কষ্টে পড়বে। এই ভাবে শয়তান অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, যা ভুল সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
অসন্তুষ্টি তৈরি করে:
একজন মানুষের যা আছে তা ভুলিয়ে রেখে যা নাই শয়তান সেইগুলি দিয়ে মানুষের মনে অসন্তুষ্টি ঢুকিয়ে দেয়। একজন মানুষ যা অর্জন করেছে সেই দিকে দৃষ্টি না দিয়ে, তার চেয়ে অন্যের অর্জনকে বড় করে দেখায়, ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ ও হীনমন্যতার জন্ম দেয়।
লোভ লালসা জাগিয়ে দেয়:
শয়তান মানুষকে দ্রুত অর্থ লাভের স্বপ্ন দেখায়। এমন সুযোগের কথা বলে যেগুলো অসৎ বা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে মানুষ ভুল এবং অন্যায়ের পথে চলে যায়।
দান-সদকা থেকে বিরত করে:
শয়তান মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে, অর্থ দান করলে টাকা খরচ হয় যাবে। ফলে সে ভবিষ্যতে আরো দরিদ্র হয়ে যাবে। ফলে মানুষ দান-সদকা থেকে বিরত হয়, যা মানুষের আধ্যাত্মিক ক্ষতির কারণ হয়।
কিন্তু মনে রাখবেন আল্লাহ্ই রিজিকের মালিক। দারিদ্র্যের ভয়ে ভাল কাজ থেকে বিরত হবেন না। বরং কঠোর পরিশ্রম, সৎ জীবনযাপন, হালাল উপার্জন এবং আল্লাহ্র প্রতি ভরসা রাখার মাধ্যমে আমরা আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করতে পারি।
এছাড়াও দান-সদকা করা অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক শান্তিও বয়ে আনে। সুতরাং শয়তানের ফাঁদে না পড়ে ঈমানের সাহায্যে সঠিক পথে চলুন এবং আল্লাহ্র রহমতে ভরসা রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩০