somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি জাতি-ভাষা তত্ত্ব এবং একটি হলোকাস্ট

১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





১৮৪৮ সাল। এরিভান। রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি আরমেনিয়ান শহর।

অক্টোবরের সন্ধ্যা। মৃদুমন্দ হাওয়া। সারাদিনের হালকা উষ্ণতা, কিন্তু বিকেল হতেই ঠাণ্ডার আমেজ।

ভাইস-গভর্নরের প্রাসাদের পেছন দিয়ে বের হয়ে আসে এক কিশোরী। গোলগাল মুখ। হালকা ঠাণ্ডায় দুই গালে ঈষৎ লালচে আভা। বয়ঃপ্রাপ্তির ভাবটা তেমনভাবে আসেনি এখনো। চোখে মুখে লাবণ্যপ্রভার ছটা। ধীরে ধীরে সাবধানী ভঙ্গিতে এগুতে থাকে আস্তাবলটার দিকে। ঐ তো সাদা ঘোড়াটা। এখন শব্দ না করলেই হয়। চিনবে তো ওকে? পায়ে পায়ে এসে ঘোড়াটার গায়ে হালকা হাত বুলায় সে। না, কোনো শব্দ নয়। কতদিন দানা খাইয়েছে ওকে। না চিনে কি পারে! নিভৃতে বের হয়ে আসে মানুষ আর প্রাণী। আবারও সন্তর্পণে। অপেক্ষা ঐ রাস্তার মোড়টুকু পর্যন্ত। হ্যাঁ, ঐ মোড়টুকু পর্যন্ত গেলেই তার পেছনের অসহনীয় তিনটি মাসের পরিসমাপ্তি। উচ্ছলতায় ভরপুর আর স্বতন্ত্র তাড়ণায় প্রাণবন্ত সে। চল্লিশোর্ধ ভাইস-গভর্নর পতিদেবতা কি বুঝবে তার মর্ম? হ্যাঁ, সে চলেই যাবে। ঐতো মোড়টা চলে এসেছে। তারপরই মুক্তি। হ্যাঁ, দাদার ওখানেই যাবে সবার আগে। টিবিলিথি। অনেকবার গিয়েছে ছোট থাকতে। তারপর? দাদা তাকে সাথে সাথেই পাঠিয়ে দেবে পিটার্সবার্গ। বাবার কাছে। সব কিছুই ঠিক করা আছে। সব কিছু। মোড়ের কাছাকাছি। ঘোড়ায় ওঠার আগে একবার কি দেখে নেবে ঐ নরকের মত জায়গাটা আরেকবার? কি দরকার পিছে ফিরে তাকানোর? যখন সেটা শুধুই দুঃসহ স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বস্তি শুধু একটাই। ঐ ভব্যতার মুখোশধারী নরাধমটা ছুঁতে পারেনি তাকে। অনেক কষ্টে এড়ানো গেছে শৃঙ্গার। হ্যাঁ, সারা জীবন কুমারীই থাকবে সে, এই পণ করলো। মোড় চলে এসেছে। এবার গতিময়তা। পালাবার আনন্দ। অনিশ্চয়তার উত্তেজনা। রোমাঞ্চকর জীবনযাত্রার হাতছানি। আহ্‌! মুক্তি অবশেষে?



ওডেসা। মুক্ত এক বন্দরনগরী। সব জাতির আড্ডা এখানে; রাশিয়ান, পোলিশ, ইউক্রেনিয়ান, জার্মান, ইটালিয়ান; কারা নেই? মুক্তবাণিজ্যের প্রয়াসে বণিক জাহাজগুলোর ব্যস্ততা। জাহাজঘাটে অনেক লোক। খালাসী থেকে শুরু করে কাপ্তান পর্যন্ত সবাই। প্রচুর যাত্রী হয় এই সময়টায়।

প্রাপ্তবয়স্ক শক্তসমর্থ এক রাশিয়ান দাঁড়িয়ে আছে জাহাজ ঘাটে। অস্থির চোখ। খুঁজে বেড়াচ্ছে কিছু, বা কাউকে। আজকেই দুই হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছে সেই সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে। যতই সময় যাচ্ছে, ততোই অস্থিরতা চেপে ধরছে আরো। কোথায় ও? ঠিকমত আসতে পেরেছে তো? বাবা কি ঠিকমত তুলে দিতে পেরেছে ওকে? যা ভিড় হয় এই সময়! আমি দেরী করে ফেলি নাই তো? ও হারিয়ে যায় নাই তো? আদরের মেয়েটা আমার।



ঠিক এই সময়। অনেক দূরে। ইংরেজদের পালতোলা এক ছোট জাহাজের ডেকে একপাল মানুষের মধ্যে বসে থাকতে দেখা গেল সেই কিশোরীকে। ওর কি দোষ? আগের জাহাজটা যে ওকে ছাড়াই চলে গেল! যেটাতে ওর যাওয়ার কথা ছিল। ইংরেজদের পালতোলা এই জাহাজটা যদিও ছোট, এটাকেই ওর ভাল লেগেছিলো তারপর। হ্যাঁ, এটাতেই সে যাবে বাবার কাছে। বাবা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ওডেসা’য় এসেছে। মুক্ত এক বন্দরনগরী। অনেকদিন পর বাবার সাথে দেখা হওয়ার দৃশ্য কল্পনা করে মেয়েটি আনন্দে চোখ বন্ধ করলো। দু-এক ফোঁটা রাশিয়ান অশ্রু কি লিভারপুলের কাঠের তক্তায়?

ইংরেজদের পালতোলা এই জাহাজটা যদিও ছোট, এটা যাচ্ছিল ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে।



না। ঐ কিশোরীর সেইন্ট পিটার্সবার্গে বাবার কাছে যাওয়া হয়নি। বরং তার জীবনের পরবর্তী দশটি বছর সে ঘুরে বেড়িয়েছে মিশর, ফ্রান্স, কানাডা (কুইবেক), ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আমেরিকা, জার্মানী, মেক্সিকো, ভারত, গ্রীস এবং উল্লেখযোগ্যভাবে, তিব্বত। এই কিশোরীই Theosophy এবং Theosophical Society’র প্রতিষ্ঠাতা।

এই কিশোরীর নাম হেলেনা ব্লাভেতস্কি (Helena Blavatsky), যিনি কিনা মাদাম ব্লাভেতস্কি (Madame Blavatsky) হিসেবেই পরিচিত।

তার রচিত বই The Secret Doctrine’এ তিনি প্রথম উল্লেখ করেন Root Race বা মূল নরগোষ্ঠী নামক এক ধারণা।

কেন তার স্মৃতিচারণ? হলোকাস্ট বা নাৎসি আমলের ইহুদি নিধন যজ্ঞের সাথে এই কিশোরীর কি?



এবার একটু পিছনে ফিরে তাকাবো। অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে। ইহা একটি ব্লগ বৈ অন্য কিছুই তো নহে!

আর্য। ইংরেজী ভাষায় এই শব্দটি ঢুকেছে অষ্টদশ শতাব্দীর শেষ দিকে Aryan (আরিয়ান) শব্দটির মাধ্যমে। ভাষাতত্ত্ব অনুযায়ী, আরিয়ান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হত উত্তর-ভারতীয় ভাষাসমূহের বক্তাগণদের। ধীরে ধীরে এই শব্দটি ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষাসমূহের বক্তাদেরকেও বোঝানো শুরু হলো, যেখানে আর্য বা Arya শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায় Rigveda আর Avesta প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতে, যেগুলো Hinduism আর Zoroastrianism ধর্মের পরিচয় বহন করে।

উনবিংশ শতাব্দীতে এসেও ভাষাবিদদের এই ধারণা ছিল যে একটি ভাষার বয়সই তার উৎকৃষ্টতার পরিচয়। আর যেহেতু সংস্কৃত ভাষাই ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন মনে করা হতো, তাই Aryan ধারণাটি পুরো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর বক্তাগণদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, এটাই মনে করা হলো। ১৮৩৭ সালে এই ধারণাটি জনপ্রিয় করে তোলেন Adolphe Pictet নামক এক সুইস ভাষাবিদ। তিনি বললেন যে আইরিশ Éire শব্দটা নাকি Aryan থেকেই এসেছে। তার আগে ১৮০৮ সালেই কিন্তু বিখ্যাত জার্মান সাহিত্যিক Friedrich Schlegel জার্মান ভাষার সাথে ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষার সাদৃশ্য খুঁজে দেখান। তিনি বলেছিলেন, জার্মান শব্দ Ehre আর Arya কাছাকাছি আর জার্মান ভাষায় এর মানে দাঁড়ায় “সম্মান”!

একবার যখন এই যোগসূত্র স্থাপন হয়েই গেলো, তখন মনূষ্য-প্রবৃত্তি আর মনূষ্য-প্রবৃদ্ধি ঠেকায় কে?

১৮৫০ সালের দিকে ভাষাতত্ত্বের এই যোগসূত্রতার সাথে একমত পোষণ করেন Arthur de Gobineau নামক এক ফরাসী উচ্চবংশীয় সাহিত্যিক। তিনি আবার এটা বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবীতে রয়েছে তিনটি প্রধান বর্ণগোষ্ঠী – সাদা, হলদেটে এবং কালো। আর বাদ বাকি সব বর্ণ নাকি এসেছে এই প্রধান তিনটি বর্ণগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে। এই সংমিশ্রণকে তিনি আখ্যায়িত করলেন সব অশান্তির সূত্রপাত হিসেবে। তার কাছে মনে হলো যে উত্তর ইউরোপের ‘আর্য’রাই হচ্ছে মাষ্টার রেইস বা উৎকৃষ্ঠ জাতি, কারণ তারা বর্ণগত ভাবে সংমিশ্রিত হয়নি। তারাই "racially pure"। বাদবাকি সবাই; দক্ষিণ-ইউরোপীয় (স্পেনিশ এবং দক্ষিণ ফরাসী), পূর্ব-ইউরোপীয়, উত্তর-আফ্রিকান, মধ্যপ্রাচ্য, ইরানি, মধ্য-এশিয়া, ভারতীয় – সবাই – জাতিগতভাবে সংমিশ্রিত। তারা আদর্শ বা ideal জাতি নয় মোটেই।



সোনালী চুল ও নীল চক্ষু। ইহা অন্য সব গুণাগুণ অপেক্ষা শ্রেয়তর। মনূষ্য-ভাবের মধ্যে এই ধারণা বিরাজমান কি কারণে?

Friedrich Schlegel সংস্কৃত ভাষার আদিমতা নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যদিও বলেছিলেন যে হয়তোবা প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ানদের উৎপত্তি ভারতেই হতে পারে, তবুও এটা তখনকার ভাষাবিদদের কাছে জনপ্রিয় কোনো তত্ত্ব ছিল না। তারা বিশ্বাস করতো যে প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ানদের উৎপত্তি ইউরোপ বা পশ্চিম এশিয়াতেই এবং সংস্কৃত ভাষা রূপান্তরের মাধ্যমেই ভারতে পৌঁছিয়েছে। ১৮৮০ সালের দিকে কিছু কিছু ভাষাবিদ এবং নৃতত্ত্ববিদ (ভাষাবিদ Karl Penka যাদের মধ্যে অন্যতম) এই সিদ্ধান্তে আসলেন যে উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভিয়া থেকেই আদর্শ জাতি Aryans’দের উৎপত্তি। কারণ নর্ডিক গুণাগুণসম্পন্ন ঐ এলাকার মানুষ সাদা-চামড়ার এবং তাদের আছে সোনালী চুল ও নীল চক্ষু। বায়োলজিষ্ট Thomas Henry Huxley’ও এই ধারণার সাথে একমত পোষণ করেন।



এতসব ভাষাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ এবং বায়োলজিষ্টদের ভিড়ে ১৮৮৮ সালে হেলেনা ব্লাভেতস্কি (Helena Blavatsky) নামক এক নারী প্রকাশ করেন তার গ্রন্থ The Secret Doctrine। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন সাতটি Root Race বা মূল নরগোষ্ঠী নামক এক ধারণা। তিনি বলেন যে Aryans হচ্ছে পঞ্চম মূল নরগোষ্ঠী। তিনি বলেন যে “Abraham” বা ইব্রাহীম শব্দের উৎপত্তি আসলে “No Brahmin” বা “ব্রাক্ষণ নয়” থেকে। কারন, সেমিটিক (আরব, ইহুদী) লোকজন তাদের মূল থেকে সরে গিয়ে আত্মার মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে। তাই তিনি বললেন ইহুদীরা Root Race scale’এর একেবারে নিচে। তাদের উৎপত্তি আসলে ভারতের এক নিচু শ্রেণীর বর্বর জাত থেকেই। তিনি আরও বলেন যে Aryans’দের আসল উৎপত্তিস্থল কিন্তু আটলান্টিস (Atlantis) ছাড়া আর কিছুই না।



অতঃপর ........

১৯০৫ সালে জার্মান ভাষাবিদ Hermann Hirt তার গ্রন্থ Die Indogermanen’এ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলে উঠলেন যে, এই ব্যাপারে আর কোনোই সন্দেহ নাই যে উত্তর-জার্মানীর এলাকাগুলোই হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর উৎপত্তিস্থল, অথবা অন্যভাবে, জার্মানরাই হচ্ছে খাঁটি আর্য বা Aryans। আদর্শ জাতি! জার্মান ভাষাবিদ Gustaf Kossinna অবশ্য ১৯০২ সালে এটার প্রাথমিক ধারণা প্রদান করেন। পরবর্তী বিশ বছর ধরে আরো পোক্ত হয় এই ধারণা। সবশেষে আরেক ভাষাবিদ Gordon Childe সমাপ্তি টানেন এই বলে যে নর্ডিকদের উন্নত শারীরিক গঠনই একটি উন্নত ভাষাকে বহন করতে পারে। আদর্শ শারীরিক গঠন কাঠামো!

ওদিকে যখন জার্মানীর সুশীল সমাজ নিজেদেরকে এই উন্নত ভাষার বাহক হিসেবে চিন্তা করে আবেগে আপ্লুত হয়ে স্তুতিগান গাইছে, তখনই প্রথম মহাযুদ্ধে জার্মানীর পরাজয়। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমাদের সাথে ভেতর থেকেই বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, জাতিগত সংমিশ্রনই তো আমাদের দূর্বল করে দিয়েছে – এগুলোই ভেবেছিলো বোধহয় ওরা। Alfred Rosenberg উক্তি করলেন যে জার্মানীর একই বর্ণের Aryan-Nordic আর Nordic-Atlantean আজ জাতিগত হুমকির মুখে। তার দৃষ্টিকোণ থেকে এই জাতিগত হুমকি আর কেউ না -- Jewish-Semitic race!

হ্যাঁ, তারপর নাৎসি জার্মানীর Aryanization প্রোপাগান্ডা আর এডলফ হিটলারের এই বদ্ধমূল ধারণা যে the exact opposite of the Aryan is the Jew। এডলফ হিটলারের আদেশে তার সুযোগ্য হেনরিখ হাইমলার (Heinrich Himmler) বাধ্য হন হলোকাস্ট পরিচালনায়।

কিন্তু বাধ্য! কেন? বাধ্য কেন? নিজেদেরকে উন্নত ভাষার বাহক হিসেবে চিন্তা করে আবেগে আপ্লুত হয়ে স্তুতিগান গাওয়া এক জার্মান বাধ্য হবে কেন নিচু জাতের ইহুদী নিধনে? কে জানে। কিন্তু এই হেনরিখ হাইমলারই তার ব্যক্তিগত বার্তাবাহক ফেলিক্স কার্ষ্টেন (Felix Kersten)’কে বলে গিয়েছিলেন যে তিনি নিজের কাছে সবসময় ভগবত গীতার একটি কপি রাখতেন। কেন? কারণ তার কাছে মনে হত যে এটা তাকে তার পাপকর্ম থেকে নিষ্কৃতি দিত। তিনি নিজেকে বীর-যোদ্ধা অর্জূনের মত ভাবতেন। তিনি ভাবতেন যে তিনি শুধুই দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র, তার কর্মের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই।

তার পরের কাহিনী সবার জানা........



নাজীরা পোল্যান্ডের এক শহরে ঢুকেছে। লোকজনকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নেওয়ার জন্য ট্রাকে তুলছে অস্ত্রের মুখে। রাস্তার মোড়ে একটা ফাঁসিকাষ্ঠ। দুজন কিশোর-কিশোরী দাঁড়িয়ে। কিশোরীর গলায় দড়ি........। *

এর প্রায় এক শতাব্দী পূর্বে মুক্তির আশায় পালানো আরেকটি কিশোরী ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে গমনরত ইংরেজদের পালতোলা এক ছোট জাহাজের ডেকে বসে অস্তমিত সূর্য দেখেছিল নিশ্চয়ই।

ঈশ্বর-দর্শণে উদ্বুদ্ধ হেলেনা একটি অদৃশ্য খেলায় শুধুই একটি দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। হ্যাঁ, তার কর্মের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই। থাকা উচিত নয়।





* গল্প: বৃষ্টি রাতের গল্প

[এই রচনা কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থ বা কিছু প্রমাণ করিবার জন্য নহে। ইহা নিতান্তই ইতিহাসের একটি উদ্ভট গল্প মাত্র। লেখকের অলীক কল্পনার ফসল।]
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×