নীল প্রজাপতি আর শিশুগন্ধ।
নবজাতকের চামড়ায় আত্মশোধন।
খুব কাছ হতে, বুক ভরে শ্বাস টেনে নেয়া, কোন অশুভ আত্মার
কেঁপে উঠা,
চোখে বিন্দু জল, অকপট স্বীকারোক্তি পাদ্রে...
ও ফিসফিসিয়ে বলেছিলো,
কানের কাছে, উষ্ণলাল, ধীরেধীরে, পেলব ঠোঁটে...
ছেলে
বলেছিলাম...গম্ভীর রাশভারী অচপলতায়...
উঁহু
সবুজ ঘাসের ওপর তাই শুইয়ে রেখেছি এখন; ওর রঙ আর ঘাসের সবুজ। ওর গায়ে লাল জামা, ফিতেগুলো সবুজ। কোলে নিয়ে তিনটে দোল দিতেই ঘুমিয়ে পড়েছে, চুপচাপ নামিয়ে রেখেছি এখন, চুপ করে দেখছি আত্মজা, বিকেলের রোদ, নীল প্রজাপতি উড়ছে, তনয়া আমার, লাল জামা, সবুজ ফিতে। মাথা হেলে পড়ে, আলতো চাপে বুকের পাশে চেপে রাখা, কোলে নিয়ে, একতাল কী একটা...নরম...উষ্ণ...চোখ খুলে পিটপিট, একটু দাঁত, আঙুল চাবানো, দূর্বাঘাস চাবানো এখন ঘুমোচ্ছে; বিকেলের হালকা রোদ, পিঠে ঘাসের ছোঁয়া। আঙুল দিলেই মুঠোবদ্ধ, চেপে ধরে, বাঁধনে কেঁপে উঠে কোন সত্তা, ঢেউ উঠে কোথাও, ঘন নিবিড় সান্দ্র, এটাই স্পর্শ, খুদেমানুষের আলতো চাপে গলে গেলো, গলে গেলো প্রত্যয় কাঠিন্য অকারণ অহেতুক সব, বাকি থাকে অসহায়ত্ব...
...তাই এখন শুয়ে আছি, উপুড় হয়ে, দেখছি আমার সন্তান, মাটির কাছাকাছি, ধীর শ্বাস, পেলব দেহ উঠছে নামছে, আমিও দুলছি, ছন্দে, আনন্দে, অতিপ্রাকৃতিক, নাহ্, নিতান্ত সাধারণ আনন্দ, কোন উপমা নয়, শুধু বিশুদ্ধ আনন্দের পরিশুদ্ধতায়; স্বর্গ ছেড়ে এসো দেবদূত, স্বর্গ উজাড় হোক, ভুলে যাও সবকিছু, ভুলে যাও সময়, ভুলে যাও সবকিছু, শুধু মনে রেখো সবুজ বাগানের এক চিলতে রোদের ফাঁকে ইতস্তত উড়ে বেড়ানো এক নীল প্রজাপতি আর এক ছোট্ট আঙুলের স্পর্শ...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




