somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ম্রো কথন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গ্রামটিতে আমি প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আছি, অন্তত ওরকম কিছুই একটা হবে হয়তো। নোটবুকটা বন্ধ ছিলো, পেনসিলের শিসটাও ভাঙা ছিলো। আজ একজন ম্রো’র দেয়া ছোরা দিয়ে কাঠের আস্তরণ ফেলে গ্রাফাইট বের করেছি। সাদা কাগজে লিখছি এখন। ভাবছি, আর লিখছি। না ভেবেও দেখছি, শব্দগুলো কাগজে আটকে যাচ্ছে। জীবন থেকে নেয়া কিছু কথা। এখন রাত হয়ে এসেছে অনেক। শীত পড়ছে। ঠাণ্ডা লাগছে। কাপড় জড়িয়ে ধরি। তুষগুলো হাতড়ে হাতড়ে জড়ো করি শরীরের চারপাশে, চাদরের নিচে। ছোট্ট ঘরটিতে অনেক কথা ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমি দেখছি ওদের।

পাহাড়গুলোর মাঝখানে ফাঁকা জায়গাগুলো কেমন অদ্ভুত কুয়াশায় ছেয়ে আছে। ছোট্ট একটা নদী আছে পাশেই, পাহাড়গুলোর ফাঁক দিয়ে কেমন এঁকেবেঁকে গেছে। আকাশে চাঁদ লুকোচুরি খেলছে এখন মেঘের আড়ালে। এক পলকে আলোছায়ার এই ভ্যালিতে তাকিয়ে মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করে উঠলো হঠাৎ। রাতের ঐ নাচের শব্দ খেলছে মস্তিষ্কে। দ্রিম। দ্রিম। দ্রুম। দ্রুম। ছেলেরা নাচছিলো। মেয়েরা নাচছিলো। ওদের গাল, ঠোঁট, কপাল কেমন লাল রঙে রাঙানো। দ্রিম। দ্রিম। দ্রুম। দ্রুম। রিদমিক। নেশা ধরানো। ওরা সবাই কুমারী। যারা কুমারী, তারাই শুধু নাচতে পারে।

আজ একটু বেশীই খেয়েছি বোধহয়। ওদের মদগুলো, খুব দারুণ। একেকদিন একেকরকম স্বাদ। আজকেরটা খেয়ে প্রথমে বমি করে দিয়েছিলাম। একটু পরে ওটাই বেশী ভালো লাগছিলো। এখন মনে হচ্ছে, একটু কম হলেই ভালো হোতো বোধহয়। চিপরা, লাইম, বুকিত আমায় ডুবিয়েছে আজ।

ঝিমঝিম মস্তিষ্কে হঠাৎ মনে হচ্ছে, সময় ফুরোচ্ছে। মনে হচ্ছে, মুহূর্ত অনুভূতিগুলো ধরে রাখি। মনে হচ্ছে, এতদিন লেখার দরকার ছিলোনা, কিন্তু এখন কোন কারণে দরকার হচ্ছে। সবকিছু না বলে শুধু কিছু কথা নাহয় শব্দে তুলে রাখি। কিন্তু এই ম্রো’দের তো লেখার কোন শব্দ নেই। ওরা তো লিখতে জানেনা। ওরা তো কাব্য করেনা, চেষ্টা করেনা নিজেকে তুলে ধরার, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবার। ওদের শুধু আছে মুখের ভাষা। ওরা গান গায়। প্লং বাজায়। ওরা একসাথে জীবন কাটায়, এখান থেকে ওখানে। ওরা যাযাবর। আদিবাসী এই ম্রো’রা যাযাবর। ওরা আজ এখানে থাকবে, কাল ওখানে। ওরা আনন্দ করে। কাজ করে। সন্তান জন্ম দেয়। ভালোবাসে, পাহাড়, নদী, মাটি, ফসল। এত ছোট, কিন্তু এত অদ্ভুত এই জীবন। আমি কোন শব্দ পাচ্ছিনা জীবন জিনিসটা কতটা অদ্ভুত এটা বোঝাতে।

রাতের এই সময়, কুপি জ্বালানো, আমার এই ছোট্ট ঘর, শুয়ে শুয়ে উপুড় হয়ে লিখছি অর্থহীন। তাকিয়ে আছি কুপির আলোর দিকে। ধীর স্থির। আলোর নিচে আঁধার।

এই ছোট ঘরটাতেই আসার পর থেকে আমায় থাকতে দিয়েছে ওরা। ওদের ঘরগুলো এত ছোট নয় তবে, বেশ বড়। অনেকজন একসাথেই থাকে, আর আমি ওদের ঘরগুলো থেকে একটু দূরে, এই পাহাড়ের চূড়ায়। ওরা আমায় এখনও আগন্তুকই ভাবছে, আলাদা থাকতে দিয়েছে।

মাতামুহুরী পার হয়ে আলিকদম, আর তারপর আমার যাওয়ার কথা ছিলো থানচি। সাংগুর ওপারে। থানচি থেকে বালিপাড়া না তিন্দু যাবো ঠিক করতে করতে পাহাড়ী জঙ্গলের ভেতর হাঁটা শুরু করেছিলাম। ভোর হতে হাঁটার পর দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম একটু এক পাহাড়ের উপর, ঘাসের বুকে, গাছের ছায়ায়। ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হোলো, আমি হারিয়ে গিয়েছি। হারিয়ে গিয়েছি।

খুব ছোটবেলায়, কোন এক সন্ধ্যায়, আমি আমাদের ছোট্ট বাসার সামনে দিয়ে চলে যাওয়া গলিপথে হারিয়ে গিয়েছিলাম। যে মুহূর্ত থেকে আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে শুরু করছিলাম, যে আমি হারিয়ে যাচ্ছি, আমি পাগলের মতন ছুটছিলাম, আমার চোখ থেকে অদ্ভুতভাবে অনেক পানি পড়ছিলো। আমি অবাক হচ্ছিলাম। ভাবছিলাম, আমি এত কাঁদছি কেনো? কিন্তু আমার কান্না থামছিলোনা। আমি আমাদের বাসা থেকে মাত্র দুটো বাসা পর গলির এক সামান্য বাঁকে হারিয়ে গিয়েছিলাম, অথচ আমি ভেবেছিলাম, আমি আর কাউকে দেখতে পাবো না কখনও, কাউকে না।

আর এখন, পাহাড়ঘেরা, গহীন গাছগাছালির এক জঙ্গলে আমি যখন বুঝলাম আমি হারিয়ে গেছি, তখন আমি ঠিকই জানতাম, আমি হারানোর জন্যই সারাটা সকাল ধরে হেঁটেছি। আর তাই এক অপার্থিব আনন্দ আমায় ঘিরে ধরলো হঠাৎ। আনমনে গুন্‌গুন্‌ সুর ভাজতে ভাজতে হঠাৎ গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিলাম একটা। কেউ সাড়া দিলোনা দেখে আমি যারপরনাই আশ্বস্ত হলাম।

আমি নগরে থাকি। নগর মানুষ। আমি দিন আনি, দিন খাই। আমার সবই আছে, কিন্তু কিছুই নেই। আমার কিছুই নেই, কিন্তু সব আছে। আমার চিন্তা নেই। আমি মুক্ত স্বাধীন। আমার কানের পাশে তুমি ফিসফিসিয়ে শুধু একবার বলো...এসো...আর তুমি দেখবে, আমি দাঁড়িয়ে, তোমার দুয়ারে, আমি তোমায় এমনই ভালোবাসি হে প্রকৃতি। আর ভালোবাসি ভড়ংশূন্য মানুষ। আমার পিছুটান নেই। এটা যে নেই, সেটা নিয়ে আমার আক্ষেপও নেই।

কিন্তু সেদিন সন্ধ্যার ঠিক আগে, আমার ‘হারিয়ে যাওয়া’র উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়তে শুরু করেছিলো যখন আমি বুঝলাম আমার ভেতরে ‘ভয়’ শব্দটা এখনও বৃষের মতন ঘাড় বেঁকিয়ে বসে আছে। পিচঢালা পথে, ম্যাটিনি শো’তে, কেতাদুরস্ত পরিপাটি সভায় ভয় কোথায়? ভয় কোথায় টিকটিক যান্ত্রিক মানুষের জীবনে? অস্তিত্বহীন হওয়ার থ্রেট কোথায়, শুধু খেটে খাওয়া মানুষ ছাড়া? ওহ্‌, নিজেকে আর নিজ গোত্রের মানুষদের আমি এত ঘৃণা করি কেনো?

কিন্তু ঠিক এই পাহাড়ের নিচেই, নদীর ওপার হতে, একপাশ খোলা, স্বলবসনা এক আদিবাসী মেয়েকে দেখে আমার মানবপ্রজাতির উপর ভালোবাসা উথ্‌লে ওঠেছিলো। আমি জানতাম, ওরা হয়তো মুরং হবে, পাঙ্খো হতে পারে, নাও হতে পারে। দূর হতে সন্ধ্যার হয়ে আসতে থাকা এই জায়গায়, পাহাড়ের উপর আলো দেখে ছুটে আসছিলাম আমি, আর আদিবাসী মেয়েটা এক ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলো। আমি তখন অদ্ভুত ক্লান্ত, আর ক্ষুধার্ত। আমার রোমাঞ্চগুলো তখন জঙ্গলের কোন এক গাছের শাখায় ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে।
কিছুক্ষণ পর আমি নিজেকে আবিষ্কার করি ওদের মাঝে। তারপর ওদের কারও মুখ থেকে যখন আমি ‘ম্রো-চা’ শব্দটা শুনলাম, আমি দ্বিধাচিত্তে এই সিদ্ধান্তেই আসলাম যে এরা ম্রো। অন্যান্য আদিবাসীরা ওদেরকেই ডাকে লেঙটা, বা ল্যাংগাই, অর্থ হচ্ছে, বন্যমানুষ বা আদিম মানুষ। এক আদিবাসী গোষ্ঠী অন্য এক গোষ্ঠীকে ‘আদিম’ বলে ডাকে, ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ আমার কাছে।
ওরা আমায় খাবার দিয়েছিলো।
থাকতে দিয়েছিলো।

আমি এমনিতেই কালো, তাতে এখানে আসার আগে তিনচারদিন রোদে পুড়ে ব্ল্যাকবডি হয়েছি, তাই ওদের মাঝে আমি অপাঙ্‌ক্তেয় হইনি। তারপরও গত তিনসপ্তাহ ধরে দুপুরের রোদ আমার খাদ্য ছিলো, আমি ওদের মতন হতে চেয়েছি, হতে চেয়েছি বাহুল্যবর্জিত একজন।

ওদেরকে গড়নে ছোটখাট মনে হয়নি আমার, বরং মাঝারি, এবং কেউ কেউ দীর্ঘকায় আছে বেশ। মোটামুটি সব আদিবাসী মেয়েদের মতন ম্রো মেয়েরাও খুব কর্মঠ, চোখে পড়েছে আমার। মেয়েদের কাপড় বুনতে বেশী দেখেছি, জুম চাষ করতেও দেখেছি। আর ঘর গৃহস্থালির অন্যসব কাজ তো আছেই। নিজ গ্রামে চলাফেরার সময় মেয়েরা ওয়াঙলাই পড়ে, ছোট কাপড়ের টুকরো। চুল বাঁধে। আমি যদিও শুনেছি ওরা স্তন অনাবৃত রাখে, কিন্তু এখনও দেখিনি তেমন কাউকে, শুধু কিছু বৃদ্ধা ছাড়া। ছেলেদের চুলও বেশ লম্বা দেখেছি, আর কান ফুটো করে রিং পড়তে দেখেছি অনেককেই। আরেকটা ব্যাপার খুব দারুণ লেগেছে যে ছেলেমেয়ে সবাই রঙ দিয়ে শরীর রাঙাতে পছন্দ করে। আর তাদের দাঁত কালো করে রাখে। হাসলে খুব অদ্ভুত দেখা যায়। নদীর পানিতে একদিন ভোরবেলা আমি যখন আমার কিছুদিনের চেষ্টায় কালো করা দাঁতগুলো বের করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে দেখছিলাম, তখন লিবাচ নামের ছোট্ট এক ম্রো মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিলো। আমিও উত্তর দিয়েছিলাম। লিবাচের বাবা-মার সাথেই আমি খেতাম। আর বিকেলে ও আমায় নিয়ে হাঁটতে বের হোতো, সাথে থাকতো বুকিত, পাশের মৌজা থেকে এসেছে আমি আসার এক সপ্তাহ পরেই। আমায় দেখে জিজ্ঞেস করেছিলো...ক্যামন আছে...আমি স্মিত হেসে বলেছিলাম...ভালো।

বুকিত আমায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো বৃদ্ধ থানকু’র সাথে। থানকু আমায় বলেছিলো অনেক কথা। রাতের আহারের পরে, উঠোনে ছোট্ট আগুনের পাশে, কি বিকেলের শান্ত পাহাড়ের ঢালে। অনেক কথা। বুকিত বুঝিয়ে দিতো সেসব কথা। ‘ম্রো-চা’ বলতো নিজেদেরকে ওরা। ‘ম্রো’ মানে মানুষ। আর ‘চা’ হচ্ছে সত্তা। মানব-সত্তা! শোনাতো, ওদের বিশ্বাসের কথা। ওদের ঈশ্বরের কথা। তুরাই, সাংতুং, ওরেংদের কথা। তুরাই, যিনি সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টি করেছেন জগৎ। সাংতুং, এই পাহাড়ের দেবতা। আর ওরেং, দেবী। নদীর দেবী। গত সপ্তাহে আমি ওরেং এর পূজা দেখেছি। অশুভ কোন শক্তিকে বিতাড়নের এই পূজা হয়। আমি হঠাৎ চম্‌কে উঠে ভাবি, এটা কাকে তাড়ানোর জন্য! মাথা নাড়ে বৃদ্ধ। হাসছে। আমার দিকে তাকিয়ে। চম্‌কে উঠি আমি পুনর্বার। বিকেল শেষ হয়ে আসে। লাল সূর্য।

‘আমি’ শব্দটা আমি ভুলে থাকতে চাই। আমি ভালোবাসি এমন এক ‘আমি’ যে চিন্তা করে, কিন্তু বলেনা, আমি চিন্তা করি। কোন এক আদিবাসী গ্রামে সেই আমিকে হারিয়ে, পাহাড়ের চূড়ায় এক গাছের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে, সন্ধ্যার অস্তমিত সূর্য দেখতে দেখতে আমি অনুভব করি, আমার ভয়গুলো হারিয়ে গ্যাছে, আমি কেউ নই আর, আমি কিছুই নই। আমি শুধু এক সাধারণ মানব-সত্তা।

ওরা কিছুদিন পরই এই জায়গাটা ছেড়ে যাবে। চলে যাবে আরও পূবে।
কথা হচ্ছিলো, আজ রাতেই, ওরা ডিঙি নৌকায় আমায় ছেড়ে আসবে সাংগুর কোন পাড়ে, যেখান থেকে আমি নাকি পেয়ে যাবো সভ্যতার ঠিকানা।

আজ রাতের এই উৎসব এইসব অদ্ভুত মানব-সত্তারা করেছিলো, কোন এক অশুভ আত্মার বিদায় উপলক্ষে, অকারণ ভালোবাসায় সিক্ত করেছিলো, হাত ছুঁয়ে বিদায় জানিয়েছিলো। আমি জানি এটাই আমার শেষরাত এক সভ্যতার সূতিকাগারে, এক অসভ্য সময়ের তরে।
১৯টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×