"যুঞ্চিক্ত" একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে ব্লগে বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। যুঞ্চিক্তের "কোরান ক্যাডা লিখছে (পর্ব -১)? একটি মোহমুক্ত যৌক্তিক বিশ্লেষণ" নামক পোষ্ট-এ বিভিন্ন ধরণের অপক্যশলের মাধ্যমে কুরআনকে আল্লাহর কিতাব নয় বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে কুরআন যে মানুষের রচণা হতে পারে না সেটা ব্যাখা করার চেষ্টা করলাম। কুরআনকে আল্লাহর কিতাব অনেক ভাবে প্রমান করা যায় আমি আমার মতো করে চেষ্টা করলাম।
কুরআনের সূরা আল মুদ্দাস্সির এর ৩০ নং আয়াতটি হলো "আলাইহা তিস'আতা আশারা"
"আলাইহা" মানে তাহার উপর বা ইহার উপর
আর "তিস'আতা আশারা" মানে হলো ঊণিশ (১৯)।
অর্থাৎ পুরাটার অর্থ দাড়ায় "ইহার উপরে ঊণিশ"
কুরআনকে আল্লাহ ১৯ সংখ্যা দারা জটিল এক জাল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। যেটা কোন মানুষের রচণায় খুজে পাওয়া অসম্ভব।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো
১। কুরআনে সূরার সংখ্যা হলো ১১৪টি যা ১৯ দারা বিভাজ্য ১৯*৬=১১৪
২। বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহীম বাক্যটিতে আরবী ১৯টি বর্ণ রয়েছে। ১৯*১=১৯।
বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহীম বাক্যে ৪টি শব্দ আছে।
ক) ইসম
খ) আল্লাহ
গ) রাহমান
ঘ) রাহীম
৩। কুরআন শরীফে "ইসম" শব্দটি আছে ১৯ বার, ১৯*১=১৯।
৪। কুরআন শরীফে "আল্লাহ" শব্দটি আছে ২৬৯৮ বার ১৯*১৪২=২৬৯৮।
৫। কুরআন শরীফে "রাহমান" শব্দটি আছে ৫৭ বার, ১৯*৩ =৫৭।
৬। কুরআন শরীফে "রহিম" শব্দটি আছে ১১৪ বার, ১৯*৬=১১৪।
৭। কুরআনে মোট আয়াত সংখ্যা ৬৩৪৬ টি, ১৯*৩৩৪=৬৩৪৬।
৮। কুরআনে ২৯টি সূরা আলিফ, লাম, মীম, রা, সীন এরকম বিচ্ছিন্ন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়েছে। মোট ১৪টি বর্ণকে (أ ح ر س ص ط ع ق ك ل م ن ه ي (alif, ha, ra, sin, sad, ta, ain, qaf, kaf, lam, mim, nun, ha, ya.)) একসাথে ১ থেকে ৫ টি করে ব্যাবহার করা হয়েছে।
হিসাব করে দেখা গেছে যে কোন সূরার শুরুতে যে হরফ গুলো রয়েছে সম্পূর্ণ সূরাটিতে সেই হরফগুলোর প্রত্যেকটির মোট সংখ্যা ১৯দ্বারা বিভাজ্য।
৯। সর্ব প্রথম নাযিল হয়েছিলো সূরা আলাকের(৯৬নং) ১ম ৫টি আয়াত। যেখানে শব্দ সংখ্যা ১৯ বর্ণ সংখ্যা ৭৬। আবার পিছন থেকে গুনে আসলে এটি ১৯ নং সূরা। এই সূরায় আয়াত সংখ্যা ১৯ এবং বর্ণ সংখ্যা ৩০৪; ১৯*১৬=৩০৪।
১০। কুরআন শরীফের ১১৪টা সূরার মধ্যে ১১৩টির শুরুতে বিসমিল্লাহ আছে। সূরা তাওবার(৯নং) শুরুতে কোন বিসমিল্লাহ নেই। কিন্তু সূরা নামলের (২৭নং) মধ্যে রয়েছে ২টা বিসমিল্লাহ। মোট বিসমিল্লাহ'র সংখ্যা ১১৪। সুতরাং ১৯*৬=১১৪।
এরকম আরও ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ বিদ্যমান।
এখান থেকে বুঝা যায় যে এরকম ঘোষণা দিয়ে ১বার মিলে যাওয়া স্বাভাবিক, ২বার মিলে যাওয়া কাকতালীয়, ৩বার মিলে যাওয়া অসাধারাণ আর বার বার মিলে যাওয়া অসম্ভব(মানুষের পক্ষে)।
কাজেই কেউ সামান্য যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে খুব সহজেই বুঝতে পারবে যে মানুষের পক্ষে এরকম গ্রন্থ প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
কুরআন যে মানব রচিত কোন কিতাব নয় সেটা বুঝার জন্য এর আর কিছু জানার দরকার আছে কি?
আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের লিংক গুলো দেখতে পারেন।
১।
২।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০০৭ রাত ১২:১০