রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ শুধু বাংলাদেশে কেন সারা বিশ্বেই সংযম, আত্মত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে পুত-পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এর মধ্যেও যদি সমাজের সর্বজন পরিচিত শ্রদ্ধেয় উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজ নামধারী কোন ব্যক্তি রমজান মাসেও পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে নিজ কূপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বিষয়টি কেমন দাঁড়ায় ? যে মানুষটিকে দেখা যায় মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবীতে পথে ঘাটে, মানববন্ধনে, যাকে দেখা যায় সমাজ থেকে কূপ্রবৃত্তি ও নেশাবিরোধী টকশোতে, যাকে দেখা যায় হারানো স্বজনদের ফিরিয়ে আনার মানুষের দাবীর স্বপক্ষে প্রেসক্লাবের গোলটেবিল বৈঠকে, যাকে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যার খুনিদের বিচারের দাবীতে সংসদ ভবন চত্ত্বরে সুশীল সমাজের কাতারে, প্রায় ষাট বছর বয়ষ্ক যে লোকটি সমাজ থেকে সকল প্রকার খারাপ কাজ দূর করার জন্য ছড়ি হাতে নিয়ে সারাক্ষণ সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন, সেমিনার এবং গোলটেবিলে অংশগ্রহণ করছেন, সেই মানুষটিই আজ রমজান মাসে তাঁর কন্যা সমতুল্য তিরিশ বছরের যুবতীর গভীর এক অসম প্রেমে নাকি হাবুডুবু খাচ্ছেন !!! হ্যাঁ, সবাই হয়তো উৎগ্রীব হচ্ছেন ব্যক্তিটি কে? তাঁর নাম মুখে উচ্চারণ করার ইচ্ছা না থাকলেও বিবেকের তাড়নায় বলতে হচ্ছে, তিনি ড. শাহদীন মালিক। দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের সুপরিচিত ব্যক্তি ড. শাহদীন মালিক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্কুল অফ ল এর পরিচালক ছাড়াও দ্যুতি ছড়ানোর বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছেন ড. শাহদীন মালিক। সেই ড. শাহদীন মালিকই বর্তমানে যুবতী ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন। আর সিনথিয়া ফরিদ ব্যার এ্যাট ল ডিগ্রী নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে এবং এএলএম ডিগ্রী নিয়েছেন কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে। স্যারের এ প্রণয়কে কি বলব? নেশা ! যদি তাই হয়, তবে কবির ভাষায় বলতে হয়- এ মনিহার ড. শাহদীন মালিকের নাহি সাজে।
ড. শাহদীন মালিক সম্পর্কে আগে থেকেই কিছুটা জানি । তাই, এ বয়সেও তাঁর এ নেশা কেন তা বুঝতে সময় লাগেনি । স্যারের প্রথম স্ত্রীর সাথে তাঁর নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একমাত্র কন্যা আমেরিকায় পড়াশোনা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে তিনি খালেদা হক নামে সুন্দরী ছাত্রীর প্রেমে পড়েন, যা লিভ টুগেদার পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু বাধ সাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরসিক কর্তৃপক্ষ !!! সুন্দরী খালেদা হকের প্রেমের জন্য তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীটি পর্যন্ত হারাতে হয়। তবে তিনি আবার দাবী করেন, মতের মিল না হওয়ায় চাকুরীটি ছেড়েছেন !!! আমেরিকায় ১ম পক্ষের একমাত্র কন্যা, ব্রিটিশ হাইকমিশনের চাকুরী করা বর্তমান স্ত্রীর ব্যস্ততা আর ৯ বছরের ষ্কুল পড়ুয়া অবুঝ ছোট ছেলের সুযোগে ড. মালিক আজ মেতেছেন সিনথিয়ার নতুন নেশায় ।
আমরা কি তাঁর কাছ থেকে এমন আলোই চাই?