স্বাধীনতার ৪৫ বছরের মাথায় এসে ঢাকায় আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের যে সংখ্যা বলা হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
আবাল বৃদ্ধ বনিতা - সকল বাংলাদেশী জানে বাংলাদেশের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল, যা সরকারিভাবে স্বীকৃত । দু’দফা ক্ষমতায় থাকার সময়েও বেগম খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোন কথা বলেননি।
মুক্তিযোদ্ধাদের এই সমাবেশে দেওয়া ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা কথাবার্তা । এরই এক পর্যায়ে তিনি উল্লেখ করেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মানুষদের আনুষ্ঠানিক যে সংখ্যা সেটি নিয়ে বিতর্কের কথা। তিনি বলেন, মক্তিযুদ্ধের সময় কতো মানুষ নিহত হয়েছিলো তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন আহমেদ। তিনিও বেগম জিয়ার সাথে সুর মিলিয়ে বলেন এনিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে ।
এতবড় একটা যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় এনে যে সংখ্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে, সেটি নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয় ।
আমাদের তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী হওয়া স্বত্তেও তাঁর এই তথ্য সন্ত্রাস নতুন নয় । আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন তিনি পাকিস্তান প্রীতি আর যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সু-সম্পর্কের দরুন দখলদার পাক সেনাদের বদলে 'হানাদার বাহিনী' শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন । আর 'রাজাকার', 'আল বদর', 'আল শামস' শব্দগুলো তো তাঁর অভিধানেই নেই ।
রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তাঁর মাপের একজন নেত্রীর মুখে জাতীয় ইস্যুতে মিথ্যাচার না হওয়াই শ্রেয় । তা না হলে এটা মনে করা অসম্ভব হবে না যে, "বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, রাজাকাররা দিগম্বর" ।