আজ সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান পৌর নির্বাচনে নিরপেক্ষ পরিবেশ নেই উল্লেখ করে এই মুহূর্তে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং দলের অভিযোগগুলো অবহিত করেছেন।
পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে মধ্যপাড়ায় (কূটনৈতিক পাড়া) তাদের এই পদলেহন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রত্যাশিত সচেতন ভুল আর দলীয় রাজনৈতিক অদক্ষতা, ব্যর্থতা ঢাকারই চেষ্টা ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের ওপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাগ, ক্ষোভ ও হতাশা থাকার হাজারটা কারণ থাকতে পারে। তিনি তাঁর সেই রাগ, ক্ষোভ কিংবা হতাশার কথা জনগণকে জানাবেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তিনি এভাবে জনগনের চেতনাকে আঘাত করবেন, তা কাম্য ছিল না । এছাড়া অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলেরও এভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমের বদলে দোষারোপের সংস্কৃতিও তো কাম্য নয় । আমাদের রাজনীতি তো আমাদের, বহিঃবিশ্ব'র নয় ।
সেদিন মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে শহীদের সংখ্যা নিয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত প্রশ্নটি খালেদা জিয়া তুলেছেন, সেটি আশা করি তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন এবং শহীদ পরিবারের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করবেন । ভুল স্বীকারে লজ্জা নেই । তবে তিনি সেই সৎ সাহস দেখাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় আছে । এমনকি যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর পাশে বসে নির্বিকারভাবে তাঁর বক্তব্যে মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন এবং এখনো নির্লজ্জভাবে তা আড়ালের চেষ্টা করছেন, তার শেষ কোথায় তাও জানা নেই ।
রাজাকার এখনো আছে, প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে । এদের চিনুন, প্রতিরোধ করুন ।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, রাজাকাররা দিগম্বর ।