ফেরি থেকে নামার পর বেশ বড় একটা মার্কেট পড়ে। মার্কেটের শেষে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড।
লাংকাওয়িতে একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছে। সকল ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ভাড়ার চার্ট রয়েছে, আমি যে হোটেলে ছিলাম ফেরি থেকে ভাড়া ৮ আরএম।
হোটেল গ্রান্ড কন্টিনেন্টাল। দারুন হোটেল।
রুমে বিশ্রাম নিয়ে গোসল সেরে ট্যাক্সি ভাড়া করে রাওনা হলাম ওরিয়েন্টাল ভিলেজে উদ্দেশ্যে। আমাদের ড্রাইভার ছিল এক ৭০ বয়সের এক চাচা। কাচাপাকা ইংরেজী জানে ও বলতে পারে। মধ্যপথে আবার সেই কেএফসি পেলাম এক লেকের ধারে নির্জন, দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিলাম। প্রায় ৪০ মিনিট পর পেৌছালাম ওরিয়েন্টাল ভিলেজে।
আবারো ভাগ্য খারাপ, বৃষ্টি।
কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করার পর গেলাম ক্যাবল কার স্টেশনে। ১৫ আরএম জনপ্রতি। যাদের হার্ট দুর্বল (রোলার কোষ্টারে যারা ভয় পান) তারা এই ক্যাবল কারে না উঠাই ভাল। এটা প্রায় ২.৫০ কিলোমিটার শুধুই উপরে উঠে যা ৭০০ মিটার উপর সমুদ্র পৃষ্ট থেকে। আমার নিজেরই ভয় লেগেছিল প্রধানত খারাপ আবহাোয়ার জন্য। বৃষ্টি ও বাতাস।
নেটথেকে ছবি নেয়া, আমার ছবিগুলো ভালো আসেনি বৃষ্টির জন্য।
বৃষ্টির জন্য এই ক্যাবল কারের সবচেয়ে আকর্ষণী ইভেন্টস মিস করেছি ৮২ মিটার এক খুটিতে দন্ডায়মান কার্ভ ঝুলন্ত ব্রীজ। আবহাওয়া খারাপের দরুন ওই ব্রীজে নামতে পারিনি। যদিও নামতাম তবে আমাদের কমপক্ষে ১ ধন্টা বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকতে হতো। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ক্যাবল কারটি নেমে পড়লো। নামতে আরো ভয় লাগে। যদি দড়ি ছুটে যার তবে পাত্তাও পাওয়া যাবে না।
দিনের বাকী সময় বলতে গেলে হোটেলেই কাটিয়েছি আর মালয়েশিয়ার ৭ দিন থাকা অবস্থায় সবচাইতে মজাদার ডিনার সেরেছি ওই দিন রাতে হোটেল গ্রান্ড কন্টিনেন্টালএ।
আগামী পর্বতে থাকবে, সীওয়াল্ড/ঈগলস্কোয়ার/সীবীচ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




