somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার মালয়েশিয়া ভ্রমন (৫ম পর্ব - 3) লাংকাওয়ি যাত্রা‌

৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আগের পর্ব
Click This Link

অবশেষে বাস ছাড়লো আর আমরাও আরাম করে বসার প্রস্তুতি নিলাম।
আমার সিট ছিল ঠিক ড্রাইভারেরে উপরে এবং সর্ব প্রথম লাইলে।
তাই প্রস্তুতি নিলাম দুচোখ ভরে সুন্দর্য্য উপভোগের। দু:খের বিষয় হচ্ছে আমার ক্যামেরাটি ছিল লাগেজ ব্যাগে তাই কোন ছবি তুলতে পারিনি।
ধীরে ধরে বাসটি শহরতলী ছেড়ে আগাচ্ছে। আমারা এতই টায়ার্ড ছিলাম যে, বেশীক্ষণ জেগে থাকতে পারিনি। যতক্ষন জেগে ছিলাম, দেখলাম দুপাশে পাহাড় মাঝে রাস্তা, পাহাড় কেটে এই রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। অনেক চওড়া রাস্তা ও পর্যাপ্ত আলো। রাস্তার কোথাও কোন ভাঙ্গা ও স্প্রীড ব্রেকার নেই।

অবশেষে ঘুম ভাঙলো মর্ধবর্তী এক জায়গায়। কতক্ষণ এ জায়গায় গাড়িটি জানিনা, নীচে নেমে দেখি সিটে ড্রইভার নাই। আমার অন্য সদস্যরা ঘুমে। রাত তখন প্রায় ৪টা । এই জায়গটি মুলত অনেকগুলো ফলের দোকানের স্পপেজ। বাহারি সব ফল, অনেকগুলোর নামই জানিনা। ক্যামেরাটি খুবই অনুভব করলাম। আমি পেয়ারা কিনেছি ২ কেজি। আমাদের কাজী পেয়ারার মতো তবে অনেক মিষ্টি। ৮/১০ টা ফলের দোকান আছে। কিছুক্ষন আরো ঘুরে বাসে উঠে দেখি আমার অন্য মেম্বার তারাও সে একই পেয়ারা কিনেছে। বাস আবার চালু হলো।

রাতের মধ্যের দেখেছি অনেক অঞ্চলের অনেক ব্যস্ততা। বেশ কিছু রাস্তা দেখেছি টালি দেয়া এবং টালির রঙের মাধ্যমে ডিজাইন করা। মাইলের পর মাইল, সম্পুর্ণ শহর বিস্তৃত। শহর থেকে গ্রাম / গ্রাম থেকে শহর আমাদের গাড়ি ছুটেই চলছে। আবারো ঘুম দিলাম।


ঘুম থেকে উঠে দেখি আবারো স্টপেজ। তেমন কোন উল্লেখজনক স্থান নয়। একটা শর্ট বিরতি। আমার মতো বেশ কিছু যাত্রী নিচে নামলো। একটা আমার বয়সী ছেলে সে নিজেই আমার সাথে আলাপ জুড়ে দিল। (মালয়েশিয়ান ভাষায়!!)
ড্রাইভারকে দেখলাম গাজা টানা টাইপের মতো সিগারেট ফুকছে। আমি ডান/বাম দেখলাম আমার সেই রেইসলারকে খুজলাম। পেলাম না। হয়তো ডাটছে ঘুম দিচ্ছে।

তখন ভোর সকাল। চারদিকে হালকা আলোর আভা। একটা জিনিষ মার্ক করার মতো এই মালয়েশিয়ার তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা কত উন্নত। আমি প্রতন্ত গ্রামেও দেখেছি রাস্তার ফ্লাইওভার এবং অনেক চওড়া রাস্তা। যে রান্তা যখন যেভাবে দরকার, যেবাধাই আসুক না কেন, তারা তা অতিক্রম করেছে।

অবশেষে লাষ্ট স্টপেজে এসে পেৌছালাম সকাল ৮টায়, গাড়ি থেকে নেমে ৩ মিনিটর হাটার পথ লাংকাওয়ির ফেরীর টেকেট কাউন্টার। ৩টা টিকেট কাউন্টার দেখলাম। ১৮ আরএম। ১ঘন্টা অন্তর সিডিউল, সবচেয়ে আগের সময়ের টিকেট নিলাম ো টারমিলালে বসলাম। এই জায়গাটি আমার পছন্দ হয়নি। কে কোথায় বসবে, কে কখন কোন গেইটোর সামনে দাড়াবে, ৮:৩০মি এর ফেরীর কখন আসাবে ও চাড়বে কোন ইনফরমেশন নাই। ১০/১৫ মিনিট পর পর মাইকে কে কি বলে একমাত্র সত্যচারী ছাড়া বুঝার কোন উপায় নাই। স্থানীয় যাত্রী ও মানুষের হ্যাল্প নিলাম এবং তারা কনফারর্ম করলো যে গেইট ঠিক আছে। আরও ২০ মিনিট পর গেইট খুলে দিলো

এবং আমারা আমদের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বসলাম। এয়ার কন্ডিশন রুম এবং উপরের ডেকে। তাদের ফেরীর এমন কোন ব্যবস্থা নেই যে আমি ডেক থেকে বের হয়ে সামনে বা পিছনে গিয়ে বাইরের ছবি তুলতে পারব। প্রায় ১৫০ জন সিট ক্যাপাসিটি এবং সময় লাগে ১ ধন্টা ২০ মি। রুমের ভিতর খেকে সমুদ্রের ছবি তুলতে চেয়েছি ভালো আসে না।





লাংকাওয়ি যাত্রা এ পর্বেই শেষ

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৩৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×