যে দিন থেকে বুঝতে শিখেছি, সেদিন থেকে দেখে আসছি কিভাবে বেড়ে চলেছে মাংশের দাম। সেই ৬০ টাকা থেকে শুরু..এখন ৫’শ থেকে সাড়ে ৫’শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অথচ বাজারে সব ধরনের নিত্যপন্যের দামই বাড়ে আবার ক্ষনে ক্ষনে কমেও। সবকিছু মিলিয়ে দাম বাড়া-কমার একটা ব্যালান্সের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বিপরীতে বাজারে মাংশের দাম কমেনি কখনো।
কিছুদিন আগেও গত ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তখন তারা জানিয়েছিল, তাদের দাবি দাওয়া বন্ধ হলে মাংশের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেদিনের কয়দিনের ধর্মঘটের পরে বাজারে মাংশের দাম আরো বেড়ে গেল। হয়তোবা তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়নি।
ওই ঘটনার আড়াই মাস পর রোববার আবারও ব্যাবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান হলে গরুর মাংস ৩০০ টাকা কেজি আর ছাগলের মাংস ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যাবে।
আমরা তার এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে চাই। কিন্তু মন্ত্রনালয়ে মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর সংঙ্গে ব্যাবসায়ীদের যে বৈঠক হয়েছে, তাতেকি ভোক্তা সাধারনের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ?? নাকি আগামী রমজানে ব্যাবসায়ীদের কর্ম বিরতিতে যাওয়ার হুমকিতে ভীত হয়েই থাকবো।
তাই মাননীয়মন্ত্রী মহোদয়, মেয়র দ্বয় তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ব্যাবসায়ীদের সাথে বৈঠকে ভোক্তাসাধারনের স্বার্থও যেন অক্ষুন্ন থাকে।