কেনো আজ শূন্যতার ঝড়ে ওড়ে
স্মৃতির জিলদ; বেদনার ক্ষীরজমা
নরোম ঘাসে শিশিরসকাল বেলায়
রুপালীরোদে আদখোলা জানালায়
কার চোখ ভাসে; আনমনা শিহরণ।
দুপুরের শ্রান্তকরা কাজ; ভীড়তোলে
তুমুল অজুহাতে, আর অবসাদ কুঁড়িয়ে আনে;
মনপাড়ে চোখবুঁজে ভাবে সেই বাদামগাছে আজ
ক'ঘর পাখি বাস করে। কৃষ্ণচূঁড়ার
লাল ফুলের ভিতর কে যেনো বুনে রক্তের নদ;
তাই রোজকার এতো আহাজারি, খুনাখুনি;
মৃত্যুর গণিত বাড়ে; অযুত-নিযুত।
সবকিছু পড়ে থাক; চোখবুঁজে ভাবি
চক-খড়ির মতো কেউ এসে মুছে যাক
আমাদের বেদনার দাগ; মেরুদন্ডে তুমুল যন্ত্রণায়
ভুলে গেছি সোজা হয়ে দাঁড়াবার অধিকার।
এসো; লক্ষ নিষেধের ভিতর লক্ষ্য গড়ি শক্ত;
সাধ ও সাধনা হোক পরিপক্ষ।