রক্ত দিয়ে কেনা স্বৈরতন্ত্র-1
ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে?
“নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করার জন্য যতদিন থাকার দরকার হবে, অন্তর্বর্তী সরকার ততদিন থাকবে”---আসিফ নজরুল
[আমার এই লেখা কোন ভাবেই হাসিনা আমলের অন্যায়, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র সংস্কৃতিকে সমর্থন করা বোঝায় না।]
বাংলাদেশের সংবিধান দেশের শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। এটি জনগণের ইচ্ছা ও সংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। অথচ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে সরকারের মেয়াদ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তা সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রথমত, সংবিধান অনুযায়ী, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও ক্ষমতা হস্তান্তরের নিয়মাবলি সুনির্দিষ্ট। তবে, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে সংবিধানে কোনও সুস্পষ্ট বিধান না থাকায় এই সরকারের বৈধতা ও ক্ষমতার মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটি সংবিধানের প্রতি আস্থার অভাব সৃষ্টি করছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
দ্বিতীয়ত, সরকারের মেয়াদ নিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বক্তব্যে দেখা যাচ্ছে যে, এই সরকার কতদিন থাকবে, তা নির্ধারণ করতে তারা কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা অনুসরণ করবেন না। এটি একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বহন করে, কারণ নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়া কোনও সরকারকে দায়িত্বে রাখা সংবিধানিক কাঠামোর বাইরে চলে যাওয়ার সমান। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী হতে পারে।
তৃতীয়ত, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানে এমন কোনও বিধান নেই যা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বিশেষ সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ করে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার গঠনের পর সংবিধানের অনুসরণ নিশ্চিত না করলে, এটি দেশের আইন ও শৃঙ্খলার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। তাছাড়া, জনগণের মধ্যে সরকারের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করবে, যা সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
অতএব, সংবিধান অনুযায়ী এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনানুগ, স্বচ্ছ এবং সংবিধানের অনুসরণ নিশ্চিত করতে না পারলে, এটি দেশের গণতন্ত্র, শাসনব্যবস্থা এবং ন্যায়বিচারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাহলে আমরা কি নব্য ‘নব্য স্বৈরতন্ত্র’-এর মুখোমুখি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


