somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যারিস কি নারী হওয়ায় তিনি নির্বাচনে হারলেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

• কামালা হ্যারিস একজন নারী এটা কি তার নির্বাচনের হেরে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ?
কমলা হ্যারিসের নারী হওয়া তার নির্বাচনে পরাজয়ের প্রধান কারণ নয়। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নারীদের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে, যেমন লিঙ্গবৈষম্য ও সামাজিক পূর্বধারণা। তবে, নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রতিদ্বন্দ্বীর জনপ্রিয়তা, এবং নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল। সুতরাং, শুধুমাত্র নারী হওয়াই তার পরাজয়ের একমাত্র কারণ নয়।

•কমলা হ্যারিসের নারী হওয়া তার নির্বাচনে পরাজয়ের প্রধান কারণ নয়। এর পক্ষে কিছু যুক্তি ও তথ্য

১. আগের নির্বাচনী সাফল্য ও জনপ্রিয়তা
• কমলা নারী হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ইতিপূর্বে তিনি তার দক্ষতা ও সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও মার্কিন সিনেটর হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা প্রমাণ করে যে তার লিঙ্গ তার রাজনৈতিক সাফল্যের প্রধান বাধা ছিল না।

• ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জো বাইডেনের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হন, যা প্রমাণ করে যে তার নারী হওয়া নির্বাচনে জনগণের বিশ্বাস অর্জনে বাঁধা হয়নি।


২. গবেষণা ও পরিসংখ্যান
• মার্কিন নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের জয়লাভের সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর ফলে বোঝা যায় যে সাধারণভাবে মার্কিন জনগণ নারীদের নেতৃত্বের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা বাড়াচ্ছে।

• পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় দেখা গেছে যে, মার্কিন জনগণের মধ্যে প্রায় ৬০% মানুষ নারী প্রার্থীদের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, যা নারী প্রার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করছে।

৩. রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য কারণ
• নির্বাচনী ফলাফল শুধুমাত্র লিঙ্গের ওপর নির্ভরশীল নয়; প্রচারণা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের কৌশল ও জনপ্রিয়তাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা বা অনুকূল জনমত কখনো কখনো প্রান্তিক দলের বা কিছু জনগোষ্ঠীর কারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা লিঙ্গ সম্পর্কিত নয় বরং তার নীতিগত অবস্থানের কারণে হতে পারে।

৪. ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন
• কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, এবং তিনি বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে তার নারী হওয়া তার নেতৃত্বের গুণাবলী ও দক্ষতা প্রকাশে কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

উপরোক্ত যুক্তিগুলি প্রমাণ করে যে, কমলা হ্যারিসের নারী হওয়া তার নির্বাচনে পরাজয়ের প্রধান কারণ নয়। তার রাজনৈতিক পথ চলায় অনেক অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা তার নির্বাচনী ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।


• তাহলে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনে হারার প্রধান কারণগুলো কি কি?
1. রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতা: যদিও তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং মার্কিন সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পর্যায়ের অভিজ্ঞতা কিছুটা কম হতে পারে।

2. নির্বাচনী প্রচারণার কৌশলগত দুর্বলতা: নির্বাচনী প্রচারণায় সঠিক কৌশল ও বার্তা পৌঁছাতে ব্যর্থতা পরাজয়ের একটি কারণ হতে পারে।

3. প্রতিদ্বন্দ্বীর জনপ্রিয়তা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর উচ্চ জনপ্রিয়তা এবং তার সমর্থকদের দৃঢ় অবস্থান হ্যারিসের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

4. অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যু: নির্বাচনের সময়কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বেকারত্বের হার, এবং সামাজিক ইস্যুগুলো ভোটারদের মনোভাব প্রভাবিত করতে পারে।

5. গণমাধ্যমের ভূমিকা: গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা বা ভুল তথ্য প্রচার তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।

উপরোক্ত কারণগুলো সম্মিলিতভাবে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে ভূমিকা পালন করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জয় বাংলা - জাতীয় শ্লোগান হিশেবে বাতিল: ঐতিহ্যবিরোধী এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

লিখেছেন কিরকুট, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০



বাংলাদেশের ইতিহাসে "জয় বাংলা" শ্লোগান শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়; এটি একটি জাতির আবেগ, চেতনা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শ্লোগান ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

জীবনে কিছু সময়, কিছু দিনের কথা আমৃত্যু মনে থাকে তেমন বেশ কয়েকটি দিন তারিখ আমার জীবনেও খোদাই হয়ে আছে....মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের ১ম সাব-সেক্টর হেড কোয়ার্টারে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি পেষ্ট এবং একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

আমি সাধারণত ব্লগে ফেবু পোষ্ট আনিনা, কপি পেষ্টও করিনা, আজকে করলাম কারণ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। নিচের বিষয়টা কপি পেষ্ট করলাম ফেবু থেকে। আপনাদের কী মত জানাতে পারেন

.
.

Aman Abdullah
5 hours... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ উন্নয়নের মূল অন্তরায়

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১


উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে কথাটি বলেছিলেন অত্যাধুনিক সিংগাপুরের উন্নয়নের কারিগর লি কুয়ান। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধান মন্ত্রি হন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবির ভাই বেরাদার (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার কি বালটা ফালাচ্ছে বলতে পারবেন?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

১) সরকারী কোন অফিসে নূন্যতম কোন লুটপাট বন্ধ হয়েছে?
২) জায়গায় চাঁদাবাজী বন্ধ হয়েছে?
৩) আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নুন্যতম কোন বিচার তারা করতে পেরেছে? বা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে পেরেছে?
৪। আইন শৃঙ্খলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×