somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আলমগীর জনি
সূর্য থেকে অসম্ভব শক্তিশালী আলোকরশ্মি চাঁদের উপর পড়ে। সে চাঁদ কিছুদিন জোছনা বিলায় আমাদের মাঝে।অমাবস্যায় কেউ চাঁদকে ভুলে যায় না।অপেক্ষা করে জোছনা ফিরে আসার ।সূর্য না হই ,মাঝে মধ্যে জোছনা হতে চাই।অমাবস্যায় হাহাকার হতে চাই মানব মনে।

গল্পঃ নুপুর

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার প্রেমিকা তিথির জন্য নুপুর কেনার পর থেকেই আর ছাদের উপর নুপুরের শব্দ পাই নি । এমন না যে আমি এক কবিরাজের কাছে গিয়েছি তারপর কবিরাজ আমাকে বললেন, এই নে, এই নুপুর তোর কাছে রাখলে আর ছাদের উপর কোন নুপুরের শব্দ পাবি না।বিষে বিষক্ষয়, বুঝলি তো।আমি বলতাম কি বলেন বাবা, রুমে নুপুর রাখলেই আর ছাদে নুপুরের শব্দ পাব না? আমার তো মনে হয় এতে নুপুরওয়ালীর সুবিধাই হবে সে এবার দুই জোড়া পেয়ে বিপুল উৎসাহে নাচানাচি করবে। এরপর কবিরাজ ধমক দিয়া বলতেন, তোদের আধুনিক সমাজের কাছে এসব হাসি ঠাট্টাই মনে হবে।যা এখান থেকে।আমি সরি বলে কবিরাজের চেম্বার ছাড়তাম।

কিন্তু ব্যপারটা মোটেও এমন না।তিথির জন্মদিন ছিল সেদিন থেকে নয়দিন পর।আমি ঠিক নয়দিন আগেই নিজের একমাত্র প্রেমিকার জন্য এক জোড়া নুপুর কিনে ফেলি।আমি একটু আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।তবে এবার কেন আমি নুপুর কিনলাম সেটার কোন ব্যাখ্যা ছিল না আমার কাছে।এমন না যে তিথি আমাকে বলেছে, আলিফ , এই জন্মদিনে আমাকে এক জোড়া নুপুর কিনে দিবে।একদম রুপার নুপুর।নুপুর না দিতে পারলে তোমার সাথে আমার ব্রেকাপ।

আমি পরে বুঝতে পেরেছিলাম এই নুপুর কেনার পেছনে ছাদের উপর নুপুরের শব্দ অনেক প্রভাব ফেলেছিল।ছাদের উপর নুপুরের শব্দ কোথায় থেকে আসে এটা গত এক মাসের আমার জন্য সবচেয়ে জটিল রহস্য । এখনো রহস্য।যদিও এই নিয়ে আমি কারো সাথে কোন কথা বলি নি।নতুন মেসে আসার পর দেখলাম এখানে ছাদে যাওয়া যায়। সাধারণত ব্যাচেলরদের জন্য ছাদে যাওয়া নিষিদ্ধ। ঢাকা শহরে যেসব বাড়িওয়ালা ব্যাচেলর ভাড়া দেন ,তাদের ধারণা তাদের রূপবতী কন্যাকে নিয়ে মেসের ছেলেরা ছাদের উপর ইটিশ পিটিশ করবে।দেখা গেছে বাড়িওয়ালা একদিন ছাদের উপর আসলেন।এসে দেখলেন তার আদরের কন্যা ছাদের উপর এক ছেলের হাত ধরে বসে আছে আর রোমান্টিক সব কথা বলে যাচ্ছে।কি বিশ্রী অবস্থায় পড়তে হবে থাকে।তিনি ছড়ি ঘুরিয়ে বলবেন, ফকিন্নির পোলা, তুই বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত দিয়েছিস।আজ তোকে আমি আস্ত রাখব না।অথচ তিনি ভুলে যান, যে ছেলে তার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন সে ছেলে তার মেয়েকে নিয়েও হয়তো থাকতে পারবে ।কিন্তু ভাড়াটিয়া ব্যাচেলর বাড়িওয়ালাদের কাছে সব সময় বামনই ।

যাই হোক।আমি ছাদে খুব কম যেতাম।তবে নুপুরের শব্দ পাওয়ার পর আমি কয়দিন পর একবার ছাদে যেতাম।যদিও সেটা দিনের বেলায়।রাতের বেলায় যাওয়ার মত সাহস আমার নাই। ভীতু প্রকৃতির একজন মানুষ মধ্যরাতে ছাদে যাবে এটা স্বাভাবিক কিছু না।আমি ছাদে গিয়ে দেখলাম অদ্ভুত সুন্দর সাজানো গোছানো একটা ছাদ।ছাদের পূর্ব আর পশ্চিম পাশে দুইটা দোলনা।আমার ধারণা সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার জন্য এই ব্যবস্থা। কারণ সচরাচর দেখা যায় দোলনাগুলো ছাদের দিকে মুখ করে রাখা থাকে আর এই দোলনা জোড়া ঠিক উল্টো ভাবে রাখা। এমনভাবে রাখা যে ছাদ থেকে শুধু আকাশই দেখতে পাওয়া যাবে। এই শহরে আকাশ দেখার জায়গা কই?

ছাদের উপর বেশ কয়েকটা বকুল ফুল গাছ দেখলাম।এই ছোট ছোট গাছে ফুটে আছে আমার প্রিয় বকুল। দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আমি ভাবতে লাগলাম, কে এই মধ্যরাতে ছাদের উপর নুপুর পরে আসে? তবে যে পরিবেশ দেখলাম এতে যে কারোই আসার শখ জাগবে। ছেলেরা নুপুর পরে না। পরলে আমিও হয়তো চলে আসতাম। আমি ভাবছিলাম একটা কাজ করব। তিথিকে নিয়ে বিয়ের পর এই বাসায়ই উঠব। এরপর রাত দুইটায় আমি তিথিকে বলব , চলো ছাদে যাই । তিথি অবাক হবে বলবে , এত রাতে ছাদে? তোমার কি মাথায় সমস্যা? আমি বলব , তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। আগে চলো। তিথি আমার সাথে ছাদে যাবে ।এরপর আমরা বসে থাকব ছাদে গিয়ে। তিথিকে হঠাত বলব, তোমার পা জোড়া এগিয়ে দাও। তিথি পা এগিয়ে দিতেই আমি ওর পায়ে নুপুর জোড়া পরিয়ে দিব। এরপর তিথি বলবে, আলিফ, আমার এখন নাচতে ইচ্ছে করছে। তুমি কি একটা গান গাইবে? আমি বলব, এই নীরবতায় গান মানাবে না ।তুমি বরং গান ছাড়াই নাচো। নুপুরের শব্দের চেয়ে মধুর কিছু হতে পারে না এই মুহূর্তে। তিথি নাচ শুরু করবে আর আমি আমার এক চোখ দিয়ে তিথিকে দেখব আরেক চোখ দিয়ে নুপুরের শব্দ দেখব।অসম্ভব সুন্দর শব্দ মাঝে মধ্যে চোখ দিয়েও দেখতে হয়।

তিথির কথা ভাবতে ভাবতে আমি ছাদের একটু আড়ালে চলে গিয়েছিলাম।একটু আড়াল হতেই মনে হলো কি জানি দেখলাম।একটা নারী অবয়বের মত কিছু।আমি চিৎকার দিতে চাইলাম।কিন্তু কেন জানি আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছিল না।এদিকে সেই নারী অবয়ব টা আমার দিকেই আসছিল ধীরে ধীরে।এতটুকু মনে আছে।এরপর যখন আমার হুশ হলো তখন দেখলাম আমি আমার বেডে শুয়ে আছি।মেসের নীরব ভাই এসে বললেন, ওই সময় এভাবে দৌড়ে আসলে কোথা থেকে।আমি বললাম, আমি কি দৌড়ে রুমে ডুকেছিলাম? নীরব ভাই বললেন, হ্যাঁ , তুমি রুমে এসেই খাটে শুয়ে গেলে আর আমাকে বললে রুমের দরজা বন্ধ করে দিতে ভালো করে।আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন সমস্যা? তুমি কিছু না বলে শুয়ে গেলে।তারপর উনি হাসি দিয়ে বললেন আরে এটা তো ৪-৫ ঘন্টা আগের ঘটনা।তুমি তো এতক্ষণ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলে।আমি কি বলব বুঝতে পারছি না।কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছিলাম না আসলে।

কাকতালীয় ভাবে সেদিন সন্ধায়ই আমার মনে হলো এখন অক্টোবর মাস।আজ ১ তারিখ।৯ তারিখেই তো তিথির জন্মদিন।আমার ওর জন্য কিছু কেনা দরকার। পরে আবার মনে থাকবে না। সন্ধ্যায় একা একা শপিং মলে চলে গিয়েছিলাম। গিয়ে এক জোড়া রুপার নুপুর নিয়ে ফিরলাম রুমে। এবং সেদিন রাত থেকে আজ পর্যন্ত আমি আর ছাদের উপর নুপুরের শব্দ শুনিনি।

তিথির জন্মদিনের পরদিন আজ আমরা দেখা করি। জন্মদিনে ওর বাসার বাহিরে যাওয়া নিষেধ। আমরা তাই আজকে একসাথে কাটালাম। ফেরার সময় ওকে নুপুর জোড়া দিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় ডুকতেই দেখি নিচতলায় গ্যারেজে বাড়িওয়ালার গাড়ি বের হচ্ছিল। বাড়িওয়ালা তার মেয়েকে বলছেন, তিথি মা, দশটা দিন ফুফুর বাড়িতে ছিলি। আজকেই ফিরলি। এখনই আবার তোকে মামার বাড়িতে যেতে হবে? না গেলে হয় না? তুই না থাকলে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। বাড়িওয়ালার মেয়ের নামও যে তিথি সেটা আমার জানা ছিল না।
আমার প্রেমিকা তিথির জন্য নুপুর কেনার পর থেকেই আর ছাদের উপর নুপুরের শব্দ পাই নি । এমন না যে আমি এক কবিরাজের কাছে গিয়েছি তারপর কবিরাজ আমাকে বললেন, এই নে, এই নুপুর তোর কাছে রাখলে আর ছাদের উপর কোন নুপুরের শব্দ পাবি না।বিষে বিষক্ষয়, বুঝলি তো।আমি বলতাম কি বলেন বাবা, রুমে নুপুর রাখলেই আর ছাদে নুপুরের শব্দ পাব না? আমার তো মনে হয় এতে নুপুরওয়ালীর সুবিধাই হবে সে এবার দুই জোড়া পেয়ে বিপুল উৎসাহে নাচানাচি করবে। এরপর কবিরাজ ধমক দিয়া বলতেন, তোদের আধুনিক সমাজের কাছে এসব হাসি ঠাট্টাই মনে হবে।যা এখান থেকে।আমি সরি বলে কবিরাজের চেম্বার ছাড়তাম।

কিন্তু ব্যপারটা মোটেও এমন না।তিথির জন্মদিন ছিল সেদিন থেকে নয়দিন পর।আমি ঠিক নয়দিন আগেই নিজের একমাত্র প্রেমিকার জন্য এক জোড়া নুপুর কিনে ফেলি।আমি একটু আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।তবে এবার কেন আমি নুপুর কিনলাম সেটার কোন ব্যাখ্যা ছিল না আমার কাছে।এমন না যে তিথি আমাকে বলেছে, আলিফ , এই জন্মদিনে আমাকে এক জোড়া নুপুর কিনে দিবে।একদম রুপার নুপুর।নুপুর না দিতে পারলে তোমার সাথে আমার ব্রেকাপ।

আমি পরে বুঝতে পেরেছিলাম এই নুপুর কেনার পেছনে ছাদের উপর নুপুরের শব্দ অনেক প্রভাব ফেলেছিল।ছাদের উপর নুপুরের শব্দ কোথায় থেকে আসে এটা গত এক মাসের আমার জন্য সবচেয়ে জটিল রহস্য । এখনো রহস্য।যদিও এই নিয়ে আমি কারো সাথে কোন কথা বলি নি।নতুন মেসে আসার পর দেখলাম এখানে ছাদে যাওয়া যায়। সাধারণত ব্যাচেলরদের জন্য ছাদে যাওয়া নিষিদ্ধ। ঢাকা শহরে যেসব বাড়িওয়ালা ব্যাচেলর ভাড়া দেন ,তাদের ধারণা তাদের রূপবতী কন্যাকে নিয়ে মেসের ছেলেরা ছাদের উপর ইটিশ পিটিশ করবে।দেখা গেছে বাড়িওয়ালা একদিন ছাদের উপর আসলেন।এসে দেখলেন তার আদরের কন্যা ছাদের উপর এক ছেলের হাত ধরে বসে আছে আর রোমান্টিক সব কথা বলে যাচ্ছে।কি বিশ্রী অবস্থায় পড়তে হবে থাকে।তিনি ছড়ি ঘুরিয়ে বলবেন, ফকিন্নির পোলা, তুই বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত দিয়েছিস।আজ তোকে আমি আস্ত রাখব না।অথচ তিনি ভুলে যান, যে ছেলে তার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন সে ছেলে তার মেয়েকে নিয়েও হয়তো থাকতে পারবে ।কিন্তু ভাড়াটিয়া ব্যাচেলর বাড়িওয়ালাদের কাছে সব সময় বামনই ।

যাই হোক।আমি ছাদে খুব কম যেতাম।তবে নুপুরের শব্দ পাওয়ার পর আমি কয়দিন পর একবার ছাদে যেতাম।যদিও সেটা দিনের বেলায়।রাতের বেলায় যাওয়ার মত সাহস আমার নাই। ভীতু প্রকৃতির একজন মানুষ মধ্যরাতে ছাদে যাবে এটা স্বাভাবিক কিছু না।আমি ছাদে গিয়ে দেখলাম অদ্ভুত সুন্দর সাজানো গোছানো একটা ছাদ।ছাদের পূর্ব আর পশ্চিম পাশে দুইটা দোলনা।আমার ধারণা সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার জন্য এই ব্যবস্থা। কারণ সচরাচর দেখা যায় দোলনাগুলো ছাদের দিকে মুখ করে রাখা থাকে আর এই দোলনা জোড়া ঠিক উল্টো ভাবে রাখা। এমনভাবে রাখা যে ছাদ থেকে শুধু আকাশই দেখতে পাওয়া যাবে। এই শহরে আকাশ দেখার জায়গা কই?

ছাদের উপর বেশ কয়েকটা বকুল ফুল গাছ দেখলাম।এই ছোট ছোট গাছে ফুটে আছে আমার প্রিয় বকুল। দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আমি ভাবতে লাগলাম, কে এই মধ্যরাতে ছাদের উপর নুপুর পরে আসে? তবে যে পরিবেশ দেখলাম এতে যে কারোই আসার শখ জাগবে। ছেলেরা নুপুর পরে না। পরলে আমিও হয়তো চলে আসতাম। আমি ভাবছিলাম একটা কাজ করব। তিথিকে নিয়ে বিয়ের পর এই বাসায়ই উঠব। এরপর রাত দুইটায় আমি তিথিকে বলব , চলো ছাদে যাই । তিথি অবাক হবে বলবে , এত রাতে ছাদে? তোমার কি মাথায় সমস্যা? আমি বলব , তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। আগে চলো। তিথি আমার সাথে ছাদে যাবে ।এরপর আমরা বসে থাকব ছাদে গিয়ে। তিথিকে হঠাত বলব, তোমার পা জোড়া এগিয়ে দাও। তিথি পা এগিয়ে দিতেই আমি ওর পায়ে নুপুর জোড়া পরিয়ে দিব। এরপর তিথি বলবে, আলিফ, আমার এখন নাচতে ইচ্ছে করছে। তুমি কি একটা গান গাইবে? আমি বলব, এই নীরবতায় গান মানাবে না ।তুমি বরং গান ছাড়াই নাচো। নুপুরের শব্দের চেয়ে মধুর কিছু হতে পারে না এই মুহূর্তে। তিথি নাচ শুরু করবে আর আমি আমার এক চোখ দিয়ে তিথিকে দেখব আরেক চোখ দিয়ে নুপুরের শব্দ দেখব।অসম্ভব সুন্দর শব্দ মাঝে মধ্যে চোখ দিয়েও দেখতে হয়।

তিথির কথা ভাবতে ভাবতে আমি ছাদের একটু আড়ালে চলে গিয়েছিলাম।একটু আড়াল হতেই মনে হলো কি জানি দেখলাম।একটা নারী অবয়বের মত কিছু।আমি চিৎকার দিতে চাইলাম।কিন্তু কেন জানি আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছিল না।এদিকে সেই নারী অবয়ব টা আমার দিকেই আসছিল ধীরে ধীরে।এতটুকু মনে আছে।এরপর যখন আমার হুশ হলো তখন দেখলাম আমি আমার বেডে শুয়ে আছি।মেসের নীরব ভাই এসে বললেন, ওই সময় এভাবে দৌড়ে আসলে কোথা থেকে।আমি বললাম, আমি কি দৌড়ে রুমে ডুকেছিলাম? নীরব ভাই বললেন, হ্যাঁ , তুমি রুমে এসেই খাটে শুয়ে গেলে আর আমাকে বললে রুমের দরজা বন্ধ করে দিতে ভালো করে।আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন সমস্যা? তুমি কিছু না বলে শুয়ে গেলে।তারপর উনি হাসি দিয়ে বললেন আরে এটা তো ৪-৫ ঘন্টা আগের ঘটনা।তুমি তো এতক্ষণ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলে।আমি কি বলব বুঝতে পারছি না।কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছিলাম না আসলে।

কাকতালীয় ভাবে সেদিন সন্ধায়ই আমার মনে হলো এখন অক্টোবর মাস।আজ ১ তারিখ।৯ তারিখেই তো তিথির জন্মদিন।আমার ওর জন্য কিছু কেনা দরকার। পরে আবার মনে থাকবে না। সন্ধ্যায় একা একা শপিং মলে চলে গিয়েছিলাম। গিয়ে এক জোড়া রুপার নুপুর নিয়ে ফিরলাম রুমে। এবং সেদিন রাত থেকে আজ পর্যন্ত আমি আর ছাদের উপর নুপুরের শব্দ শুনিনি।

তিথির জন্মদিনের পরদিন আজ আমরা দেখা করি। জন্মদিনে ওর বাসার বাহিরে যাওয়া নিষেধ। আমরা তাই আজকে একসাথে কাটালাম। ফেরার সময় ওকে নুপুর জোড়া দিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় ডুকতেই দেখি নিচতলায় গ্যারেজে বাড়িওয়ালার গাড়ি বের হচ্ছিল। বাড়িওয়ালা তার মেয়েকে বলছেন, তিথি মা, দশটা দিন ফুফুর বাড়িতে ছিলি। আজকেই ফিরলি। এখনই আবার তোকে মামার বাড়িতে যেতে হবে? না গেলে হয় না? তুই না থাকলে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। বাড়িওয়ালার মেয়ের নামও যে তিথি সেটা আমার জানা ছিল না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×