ঘটনা-১ঃ ২৪ তম বি সি এস এর ভাইভা চলছে, একজন দাড়ি-টুপিধারী পরীক্ষার্থী ভিতরে ঢুকল। লম্বা সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে বসল। তার পোশাক-আশাকে ভাইভা বোর্ডের একজন সদস্য মনে হলো কিছুটা বিরক্ত। তিনিই পরীক্ষার্থীকে প্রথম প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন। আচ্ছা ধরেন আমাকে যদি আগুনে পুড়ে ছাই করে দেয়া হয় তাহলে কিভাবে আমার কবর-আযাব হবে?
ঘটনা-২ঃ ২০১৫ সালের মে মাসের কোন এক দিন। ঘটনাস্থল, ঢাকার অদূরে ধামরাই এর কালামপুর এর একটি কবরস্থান। একটি পাখির ডাক শোনার জন্য হাজার মানুষের জমায়েত। পাখিটি খুব সম্ভবত ফিঙে। সে থেমে থেমে বলছিল..আল্লাহ বাঁচাও, মা বাঁচাও.. ।
উপরের ঘটনা রাসুল (সঃ) এর কথাই মনে করিয়ে দেয় যে, কবরের আযাব মানুষ এবং জিন ছাড়া সকল প্রাণী শুনতে পায়। মহানবী (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, যদি এই ভয় না থাকত যে তোমরা মৃতকে দাফন করবে না, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, যাতে তিনি কবরের যে আজাব আমি শুনতে পাই, তা যেন তোমাদের শুনিয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৯২)
প্রস্তাবনাঃ আপনি যদি এর পরও অবিশ্বাস করেন তাহলে একটি ময়না পাখি সংগ্রহ করে পরীক্ষাটি নিজেই করুন। একজন পাপিষ্ঠের নতুন কবরের পাশে সেটা খাঁচা সমেত কিছু দিন রাখেন। মনে হয় আল্লাহ আপনাকে নিরাশ করবেন না।
পুনশ্চঃ রিচার্ড ক্যাশের সাক্ষাতকার প্রথম আলো থেকে নেওয়া “তাহলে শোনাই, ঢাকায় থাকার প্রথম রাতের গল্প। ঘরের দরজা–জানালা লাগিয়ে রাতে শুয়েছি। হঠাৎ শুনি কে যেন কাশছে! কেশে, গলা পরিষ্কার করে, থুতুও ফেলছে। আমি তো প্রথমে ভয়ে শেষ। পরে সাহস করে ঘরের আলো জ্বালানোর পর দেখলাম ঘরে কেউ নেই—একমাত্র বাড়িওয়ালার রেখে যাওয়া পোষা ময়না পাখিটা ছাড়া। আমাকে তখন অবাক করে দিয়ে ময়না পাখিটাই অবিকল মানুষের মতো করে কেশে, গলা পরিষ্কার করে, থুতু ফেলার শব্দ করল। পরে জেনেছিলাম, আগের ভাড়াটের কাছে শিখেছে। আমি অবশ্য সেই পাখিটিকে রাখিনি। কে আর সারা দিন কাজের শেষে বাসায় এসে পাখির কাশি শুনতে চায় বলো?” শেষ প্যারা দ্রষ্টব্য
সূত্র (Click This Link
http://chandpur-kantho.com/sahitto/2015/05/20/3007)
ইউটিউব লিঙ্কের ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে...(https://www.youtube.com/watch?v=a9EbCgMDpXg)