আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর কাছে এক ছাত্রের মা তার ছেলের খোঁজ নিতে আসল। তখন ছেলেটি দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। মা দেখলেন, তার আদরের সন্তান একটি শুকনো রুটি পানিতে ভিজিয়ে খাচ্ছে আর পাশেই শিক্ষক মহোদয় মুরগী ভুনা দিয়ে রুটি খাচ্ছেন। ছেলেটির মা ভয়ানক চটে গিয়ে বলল, "এই কি আপনার শিক্ষা দানের নমুনা?" প্রত্যুত্তরে আব্দুল কাদের কিছু না বলে খাওয়া শেষ করলেন। তারপর মুরগির হাড়গুলো এক স্থানে জড়ো করে মুখে "হ্যাট হ্যাট" জাতীয় শব্দ করলেন। মহিলাটি বিস্ময়াভুত হয়ে দেখতে পেল, মুরগীটির হাড়গুলো সুবিন্যস্ত হয়ে তার উপর মাংস ও পালকের স্তর গজানো শুরু করল আর অল্পক্ষণেই মুরগীটি জীবিত হয়ে ছুট দিল। বড় পীর বললেন, "আপনার ছেলে যে দিন হাড় থেকে জ্যান্ত মুরগী বের করতে পারবে সেদিন সে মুরগী ভুনা খেতে পারবে।"
আমি যখন প্রথম এই গল্পটি পড়ি তখন একেবারেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। আর এখন আমি যা জানি তা বললে আপনারা বিশ্বাস করবেন না.....
পবিত্র কোরানে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "তোমাদের জন্য রোজা ফরয করা হল যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার"
আবার তিনি হাদিস এ কুদসি তে উল্লেখ করেন "রোজা শুধু আমারি জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব"
আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ""যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা,অনুরূপ আচরণ ও জাহেলিয়াত বর্জন না করে, তবে তার পানাহার বর্জনের আল্লাহর কোনই প্রয়োজন নেই।"(বুখারী)
অথচ আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন। তাহলে, তো সব কিছু গিট্রু লেগে গেল...আসেন দেখি গিঁট খোলার চেষ্টা করি।
প্রথম আয়াতে আসলে বলা হয়েছে যে, রোজাকে ঐচ্ছিক না করে অবশ্য পালনীয় করার কারণ হল তাকওয়া তথা আল্লাহ্ ভীতি অর্জন। এখানে রোজার সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক নেই যা অনেকেই ভুল করেন।
কিন্তু, রোজাতে আল্লাহর কি প্রয়োজন? আল্লাহ্ তার বান্দাদের নিকটবর্তী হতে চান...আর আল্লাহ্ পানাহার থেকে পবিত্র....অলি আল্লাহগন দিনের পর দিন রোজা রাখেন, পঞ্চ ইন্দ্রীয়কে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করতে শেখেন। আর আল্লাহ্ নিকট থেকে নিকটবর্তী হতে থাকেন...কিন্তু তিনি তো আমাদের জগুলার ভেইন থেকেও নিকটবর্তী। এর চাইতেও ঘনিষ্ঠ হওয়ার অর্থ কি? ......"...... যখন তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে হাঁটা-চলা করে।"