somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রত্যয়ের একরাত্রি ! (১ম অংশ)

২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজে রান্না করে খাওয়া খুব প্যাড়া।বাজার কর, সেগুলো কেটে পরিষ্কার কর এরপর রান্না করে খাও তারপর আবার থালা বাসন ধোও।পুরো প্রক্রিয়া চিন্তা করলে শরীরে আলসেমি চলে আসে। এই মুহুর্তে প্রত্যয়কে কেউ যদি বলে দোস্ত আজ রাতে আমার বাসায় খা তাহলে প্রত্যয় ভদ্রতার বালাই না করেই বলে ফেলবে-আমি এখনই সাইকেল নিয়ে চলে আসতেছি। আচ্ছা ভালো কথা তোর বাসায় সাইকেল রাখা যাবেতো?
সাইমুম প্রত্যয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করে।চোখে ফোটা গ্লাসের চশমা। মাথায় বিশাল টাক। দেখলেই মেধাবী মেধাবী লাগে।তার দিনের অধিকাংশ সময় কাটে গুগল করে। কেউ কিছু বললে সে বিশ্বাস করবে না। সে সাথে সাথে গুগল করবে। সেদিন একজন বলছিল ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে প্রেমিক প্রেমিকা পরস্পরকে গলায় যে কামড় বসায় তাকে হিকি বলে। প্রত্যয় অবাক হয়ে সাথে সাথে গুগল করেছিল। সে সবার কথা বিশ্বাস করে না। সে শুধু গুগলকেই বিশ্বাস করে।
প্রত্যয়ের বাবা-মা কুমিল্লায় থাকে। ঢাকায় ফুফুর বাসায় থেকে পড়াশোনা করছে। ফুফু কিছুদিন পর পর বেড়াতে যায় তখন প্রত্যয়কে সেই প্যাড়ার কাজ করতে হয়।এই মুহুর্তে প্রত্যয় এর বাসা সম্পূর্ণ খালি। ফ্রিজে বাজার করে রাখা আছে কিন্তু সেগুলো রান্না কর আর এই গরমে রান্না ঘরে কিছুক্ষণ থাকা মানে জাহান্নামে থাকা। মেয়েরা যে কিভাবে রান্না ঘরে এতক্ষণ থাকে?
তবে প্রত্যয় রান্নায় ভালো। গরুর মাংশ দিয়ে খিচুরি সে খুব ভালো রান্না করতে পারে।বন্ধুরা মজা করে বলে- তোর বিয়ে হলে তোর বউ তোকে দিয়ে রান্না করে খাওয়াবে। প্রত্যয় এর বাসা খালি হলে ওর বন্ধুরা সবসময় যে কাজটি করবে তা হল,
- মামা, চল তোর বাসায় আজকে পার্টি করি?
- না দোস্ত, জানিসতো ফুফুর বাসায় থাকি
- ফুফু জানবে কি করে?
- না দোস্ত, নিজের বাসা হলে নিতাম
- আমরা শুধু ব্যালকনিতে থাকবো আর সারা রাত আড্ডা দিবো
- না দোস্ত, তোরা সিগারেট খাবি, ঘরে সিগারেটের গন্ধ থেকে যাবে
- মানুষ বাসা খালি থাকলে মাগি নিয়ে আসে আর তুমি বন্ধুদেরই নিতে পারো না
- দোস্ত রাগ করিস ক্যান?
রাগ আসলে প্রত্যয়ের বন্ধুরা করে না।তারা জানে প্রত্যয় এর বিষয়টা। কিন্তু প্রত্যয়কে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে সে অনেক কথা ঘোরায়। বন্ধুদের এই কথা ঘোরানোটাই ভালো লাগে কিন্তু প্রত্যয় এতে নিজেই রাগ করে। এই রাগ মন খারাপে রূপ নেয়। সে তার বাসায় কাউকে নিতে পারে না। ফুফু আসলে পছন্দ করে না। দেশেরশ্রেষ্ঠ বিদ্যা পীঠে শিক্ষা অর্জনের জন্য তাকে এই ত্যাগ করতেই হচ্ছে। হলে থাকা বাবা-মা পছন্দ করেন না। আত্মীয়ের বাসায় থাকা মানে নিরাপদ। ফুফুর ছেলে বিদেশে। বাসায় ফুফু আর ফুফা ছাড়া অন্য কোনপ্রানী নেই। তাই বাড়িতে প্রত্যয়ের দিন কাটে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার রিকশা গুণে আর রাস্তার পথযাত্রীদের দেখে। পথযাত্রী আবার সবাই না, সুন্দরী পথযাত্রী দেখে। এই রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আর সুন্দরী মেয়েদের উপর দিক থেকে তাকিয়ে দেখতে দেখতে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ভালো হয়ে গেছে। তার মোটা গ্লাসের চশমা ফাক দিয়ে সে খুব সুন্দর করেই চোখ ঘোরাতে পারে। বাহির থেকে তার চোখ ঘোরানো বোঝা যায় না।একবার তাকিয়েই সে মেয়ের উচ্চতা, পরনের পোশাক, তার চেহারার বিশেষ দিক সে বলে দিতে পারবে।
খাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয় খুব ভোজন রসিক। ব্যাচেলর ছেলেরা একটাই জিনিস রাঁধতে জানে তা হচ্ছে ডিম ভাজি। এই ডিম খেয়েই ব্যাচলর ছেলেদের জীবন কাটে। তার বাসা খালি। নিজেকেই রাঁধতে হবে দেখে শুধু ডিম ভেজেই খাবে তা প্রত্যয়ের নিয়মে নেই। একটু প্যাড়া হলেও সে ভালো মন্দ রান্না করেই খাবে। আজ সে ঠিক করেছে রুই মাছে মুড়িঘণ্ট করবে। ফ্রিজে রুই মাছ ছিল। ফ্রিজ খুলে সেই জমাট বাধা রুই পানিতে চুবানোর সাথে সাথেই বিদ্যুৎ চলে গেল। বিদ্যুতের মা-বাপকে তুলে একটা গালি দিয়ে সে ব্যালনিতে চলে আসলো। ব্যালকনিতে আসতেই সে দেখতে পেল এক লোক ভ্যান গাড়িতে বসে বসে সিগারেট টানছে আর খুব সুন্দর করে ধোঁয়া ছাড়ছে। ঐ লোকের সিগারেট খাওয়া দেখে তারও সিগারেটের পিপাসা পেল।

মিরপুর মিল্ক ভিটা মোড়ে কিছু ভ্যান গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। প্রত্যয় দুইটা সিগারেট কিনে সেই লোকের মত ভ্যান গাড়িতে বসল। ভ্যান গাড়ির পাশেই একটা ফাস্ট ফুডের দোকান। সেই দোকান থেকে অনেক সুন্দরী মেয়ে আসছে আর যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। চারিদিকে আবছা অন্ধকার পরিবেশ। জেনারেটরের অল্প আলোতে রাস্তার অন্ধকার ম্লান করতে পারেনি। এই আবছা আলোই মেয়ে দেখার জন্য উপযুক্ত। প্রাণ ভরে মেয়ে দেখা যাবে। শুধু চোখের দেখা। আর কোন ইন্দ্রিয় দিয়ে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে নেই। তাই এতে অপরাধ নেই।

সেই আবছা আলোতে সে সিগারেট ফুঁকছে আর মেয়ে দেখছে। প্রত্যয় এর কাছে মেয়েদের চুল খুব ভালো লাগে। এক এক মেয়ের চুল একেক রকম। কারো চুল সিল্কি, কারো কোঁকড়ানো, কারো ববকাট, কারো চুল দীঘল কালো। এই মুহুর্তে সে যে মেয়েটিকে দেখছে এই মাত্রই ঐ ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকলো। সে ঢোকার মুহুর্তে সে শুধু মেয়েটির পিছন দিকে থেকেই দেখতে পেরেছে। সামনে থেকে দেখতে পারেনি। সেই পিছন দিক থেকে দেখেই তার ভালো লেগে যায়। তার অনেক কৌতূহল হয় মেয়েটিকে সামনের দিকে থেকে দেখার। সে অপেক্ষা করতে থাকে কখন মেয়েটি ঐখান থেকে বের হয়।

এরজন্য অবশ্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।সে মেয়েটি অবশেষে বের হয়েছে। বের হবার সময় মেয়েটির সাথে তার চোখাচুখি হয়। সে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দিয়ে মেয়েটিকে দেখতে থাকে। বয়স ২৪ হবে। কালো পাড়ের শাড়ির সাথে কালো ব্লাউজ। শাড়ির জমিন হচ্ছে ছাই রঙের। কাঁধে কালো একটি ব্যাগ। কপালে কালো একটি টিপ। চুল কাঁধ পর্যন্ত রেখে সরলরেখার মত করে কাটা। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা। মেয়েটির সাথে চোখাচুখি হতেই মেয়েটি চোখ নামিয়ে সেখান থেকে চলে গেল। প্রত্যয় আবার মেয়েটির পিছন দিক থেকে কিছুক্ষণ মেয়েটির কোমর দোলানোর দিকে তাকিয়ে থেকে তার দ্বিতীয় সিগারেট ধরালো। আজ বেশ সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখা যাচ্ছে। সে অপেক্ষা করে আছে আরেকটি সুন্দর মেয়ে দেখার জন্য আর ঠিক তখনই কিছুক্ষণ আগে দেখা সে মেয়েটি আবার তার সামনে হাজির হল
- আপনি কি প্রত্যয়?
প্রত্যয় বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েকে সে কিছুক্ষণ আগে ঢ্যাব ঢ্যাব চোখে তাকিয়ে তার সর্বাঙ্গ বিশ্লেষণ করে ফেলেছে আর সেই মেয়ে তার সামনে আবার হাজির আবার তার নাম পর্যন্ত জানে। প্রত্যয় মনে করার চেষ্টা করলো সে কি এই মেয়েটিকে চিনে? নাহ, মনে পড়ছে না। চিন্তা ভাবনা পরে করা যাবে আগে মেয়েটির প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেই।
- হ্যা।
- তুই আমাকে চিনতে পারিসনি? আমি শিলা।
মেয়েটি আপনি থেকে সরাসরি তুইতে চলে আসলো। এর মানে মেয়েটির সাথে তার ভালো সম্পর্ক ছিল তাহলে সে মনে করতে পারছে না কেন? তার কি অতীতের স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিলা নামে তার জীবনে কোন মেয়েকি এসেছিল? সে তখনো না চেনার মত করে মুখে কালো গাম্ভীর্য নিয়ে এল।
- না চেনারই কথা। আমার অনেক পরিবর্তণ এসেছে। তবে তুই আগের মতই আছিস। তোর এই টাকলু মাথা আর মোটা গ্লাসে চশমা দেখেই আমার সন্দেহ হচ্ছিল তুই আমাদের প্রত্যয় কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। প্রত্যয় এখানে আসবে কেন? এরপর কিছুদূর গিয়ে আবার ফিরে এসেছি নিশ্চিত হবার জন্য তুই আসলেই প্রত্যয় কিনা?
- আপনার সাথে আমার কোথায় দেখা হয়েছিল বা আমি কিভাবে আপনাকে চিনি?
- আপনি আপনি করছিস কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই তো তুই যেচে আমার সাথে কথা বললি। সরাসরি তুমি। আমি তখন অবশ্য অনেক লাজুক ছিলাম।
- আমি এখনো চিনতে পারিনি
- ওহ মোর খোদা। তোর দেখি গোল্ড ফিশের মত মেমোরি। তোর সিগারেট খাওয়া দেখে আমার সিগারেট খেতে মনে চাইছে। আমি আবার পাবলিক প্লেসে সিগারেট খেতে পারি না। আমার বাসা এই আরামবাগ আবাসিক এলাকায়। বাসায় চল। দুইজনে একসাথে সিগারেট খেতে খেতে গল্প করি। দেখি তোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা।

নিমন্ত্রণ পেলে প্রত্যয় এর না নেই। সে মেয়েটিকে চেনার জন্যই সেই মেয়ের সাথে সে তার বাসায় গেল।

ছয়তালা বাসা।প্রত্যয় বসে আছে চারতালায়। চৌদ্দশ বর্গফুটের ফ্লাট হবে।এত বড় ফ্লাট কিন্তু কোন জনমানব নেই। বাসার ভেতরে আভিজাত্যের ছোঁয়া আছে। তিনটা বেডরুম। আলাদা বড় ড্রয়িং রুম আর ডাইনিং রুম। সেই ড্রয়িং রুমে তাকালে চোখ আটকে যাবে। বাঁশ আর বেতের অনেক কারুকার্যময় কাজ। দেয়ালে তৈলচিত্র শোভা পাচ্ছে।প্রত্যয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই তৈলচিত্র কর্ম দেখছে।
- এই নে কফি
প্রত্যয় ঘুরে তাকালো। এরই মাঝে সেই অচেনা মেয়েটি শাড়ি পরিবর্তণ করে স্কার্ট পরে এসেছে আবার কফিও বানিয়ে এনেছে।সে কফির মগ হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো
- বাসায় কেউ নেই?
- আব্বু-আম্মু চট্টগ্রাম থাকে আমি এখানে একাই থাকি
- ও
- আমাকে কি এখনো চিনতে পেরেছিস?
- চেহারাটা এখন একটু চেনা চেনা লাগছে কিন্তু কিভাবে পরিচয় হয়েছিল মনে করতে পারছি না
- আচ্ছা আমি তোকে সাহায্য করছি মনে করতে। তার আগে সিগারেট ধরিয়ে নেই। এই নে বিদেশি সিগারেট। মজা পাবি টেনে।
প্রত্যয় সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট নিল। বেশ দামি সিগারেট মনে হচ্ছে। তার সামনে বসা মেয়েটি বেশ সুন্দরভাবেই দিয়াশালাই দিয়ে সিগারেট ধরালো এরপর সেই একই দিয়াশালাই তার দিকে এগিয়ে দিল। প্রত্যয় সাথে সাথে কাছে এসে তার সিগারেট ঠোটে নিয়ে ধরিয়ে নিল। যে কারো কাছে দৃশ্যটি একটু অদ্ভূত লাগলেও প্রত্যয় এই দৃশ্যপট এর সাথে অভ্যস্ত। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেয়ে বন্ধু সিগারেট খায়।সেও তাদের সাথে একত্রে সিগারেট খায়। কিন্তু প্রত্যয় এর কাছে যে জিনিসটি অস্বস্তি লাগছে তা হচ্ছে মেয়েটি তাকে তুই করে ডেকে যাচ্ছে সে এখনো তুই বলে সম্বোধন করতে পারেনি। আপনি আর ভাববাচ্য বাক্য দিয়ে কথা বলছে। সে মেয়েটিকে আসলে এখনো চিনতেই পারনি। সে মনে করার চেষ্টা করছে তার কোন কোন মেয়ে বন্ধু সিগারেট খায় কিন্তু এখন আর যোগাযোগ নেই।
- ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের প্রথম ক্লাস শুরু হয়। কলাভবনে আমাদের ক্লাস হত। বিশাল কলাভবনে কোথায় আমাদের ক্লাস হচ্ছে প্রথম প্রথম তা খুঁজতে আমাদের গায়ে ঘাম ঝড়ে যেত। ব্যানার্জি স্যার এর কথা মনে আছে?
- নয়ন কৃষ্ণ ব্যানার্জি?
- হুম, ওনার ক্লাসে নিয়ম ছিল দেরি করে ক্লাসে ঢুকলে ক্লাসে ঢুকতে দিবে না। অনেক রাগী শিক্ষক। একদিন ক্লাসে এক মিনিট দেরি করে ছিলাম। আমি তো ভয়েই শেষ। এর উপর ক্লাস রুম খুঁজে পাচ্ছি না। বিভাগের অফিসের সামনে থেকে বের হচ্ছি তখন চোখে চশমা ওয়ালা, হ্যাংলা পাতলা গড়নের একটি ছেলে বলে উঠল- ব্যানার্জি স্যার এর ক্লাসে যাবেতো? আমি বললাম-হুম। ঐ ছেলেটি বলল- অফিস থেকে কি বলল? আমি বললাম- তারা জানে না। যেখানে যেখানে ক্লাস হয় সেখানে খুঁজে নিতে বলেছে। এরপর আমি আর ঐ ছেলেটি পুরো কলাভবন তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম কিন্তু ব্যানার্জি স্যার এর ক্লাস কোথায় হচ্ছে তা জানতে পারলাম না। আর এদিকে আমি ক্লাস মিস হবার দরুন কাঁদতে শুরু করেছি।

- ওয়েট ওয়েট।সামান্য ক্লাস মিস হবার দরুণ কেঁদে ফেলার জন্য সেই ছেলেটি অনেক হেসেছিল। এদেখে মেয়েটির কত অভিমান। পরে জানা গেল ঐদিন আর ক্লাসই হয়নি। কিন্তু আজ থেকে পাঁচ বছর আগে যে মেয়ের কান্না দেখে আমি হেসেছিলাম সে ছিল লাজুক প্রকৃতির। কোন ছেলের সাথে কথা বলত না শুধু আমার সাথেই কথা বলত। তার চোখেও ছিল চশমা। চুল ছিল কোমড় পর্যন্ত নামানো।হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল। এক মাসের মত ক্লাস করে সেই মেয়েটি উধাও। তার কোন খোঁজ খবর আর পেলাম না। ২য় বর্ষে উঠে একদিন কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম সেই লাজুক মেয়েটি বিদেশে চলে গেছে।

- সেদিনের সেই লাজুক, ছিচকে কাদুনি মেয়েটি আজ তোর সামনে বসে আছে

- ওহ মাই গড, আনবিলিভএবল! বাই দা ওয়ে, তোর নাম কি শিলা ছিল তখন?

- পুরো নাম রাইসা রফিক শিলা। তোরা রাইসা নামেই ডাকতি।

- তোর আগের নামও ভুলে গেছি। এখন মনে পড়ছে। পাঁচ বছর পর দেখা। তোর কত পরিবর্তণ হয়েছে!

- মুনীর চৌধুরি কি বলেছে মনে নেই? মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায় কারণে অকারণে বদলায়।

- হুম, তুই হঠাৎ এভাবে উধাও হয়ে গেলি কেন? কিছুই জানিয়ে গেলি না আমাদের

- সে অনেক কাহিনী। অন্য সময় বলবো। তা এখন কি করছিস?

- কি আবার? ছাত্রনংঅধ্যায়নংতপ সেই তপস্যা নিয়েই বসে আছি। মাস্টার্স চলছে। পরীক্ষা সামনে।

- তোর বন্ধুদের অবস্থা কি ?

- আছে তারা ভালোই। সবার জীবন যার যার নিজস্ব গতিতেই চলছে।

- হা হা, এই কথাটা ভালো বলেছিস। সেই ব্যানার্জি স্যার এখনো আছে?

- মাঝখানে বিদেশে গিয়েছিল এখন আবার ফিরে এসেছেন। সেই আগের মতই আছেন।

- তুই তো শুরুর দিকে হলে ছিলি, এই এলাকায় কি করিস?

- হলে থাকতে দিল না পরিবার। এখানে ফুফুর বাসা। এখানেই থাকি। তোর সাথে কত বছর পর দেখা আর এভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি

- আসলেই আমি ভাবতে পারিনি তোর সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে।

- হা হা, খুব ভালো লাগছেরে। তোর কত পরিবর্তণ। এখনো কি ছিচ কাদুনের মত কাঁদিস? হা হা, সিগারেট খাওয়া ধরলি কবে?

- হা হা, অনেক পরিবর্তণ এসেছে। সে অনেক কাহিনী অন্যদিন বলবো।ভাগ্য ভালো তুই আমাকে চিনতে পেরেছিস?

- তোর যে পরিবর্তণ এসেছে। না চেনারই কথা। ও ভালো কথা আমার এখন উঠতে হবে। বাসায় যেতে হবে।

- বাসায় যাবি? আচ্ছা যা। আমার এখন আবার গোসল করতে হবে। যে ধুলাবালি আর রোদ। শরীর একদম ঘিন ঘিন করছে।

- আচ্ছা গোসল কর। আমার আবার রান্না চড়াতে হবে।

- হা হা তুই রান্না করিস কবে থেকে?

- আর বলিস না, ফুফু কয়দিনের জন্য বেড়াতে গেছে। আমিও তোর মত বাসায় একা।

- ও, আচ্ছা তোর মোবাইল নম্বর দিয়ে যা।

- হুম, মোবাইল দে টাইপ করে দিচ্ছি।

- বেশ ভালোই সুখে আছিস। একা বাসা। রাজত্ব তোর।

- হা হা। তোরও এখন রাজত্ব চলছে। তুইও একা। এই সিগারেট এর প্যাকেট নিয়ে যা বাসায়। বাসায় গিয়ে টানিস।

- আচ্ছা, ফোন দিস মাঝে মাঝে।


দীর্ঘদিন ধরে দেখা সাক্ষাত বিহীন কোন বন্ধুর সাথে দেখা হলে এক ধরনের সুখের আমেজ শরীরে বিরাজ করে। প্রত্যয় এর শরীরেও একই ধরনের সুখের আমেজ বিরাজ করছে।রাত আটটা বেজে গেছে। তার এখনো রান্না চড়ানো হয়নি। রুই মাছ অনেক আগেই পানিতে চুবিয়ে এসেছিল বরফ ছোটানোর জন্য। এতক্ষণে বরফ ছুটে পানি হয়ে যাবার কথা।

প্রত্যয় এর পকেটে তার শিলার দেয়া বিদেশি সিগারেট। সে ভাবলো আরেকটি সিগারেট ধরানো যায়। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে আরেকটি সিগারেট ধরালো। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে সে চিন্তা করতে লাগলো-শিলা তার কাছে তার অতীত লুকাতে চাইছে। তার জীবনে নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছে যা সে শেয়ার করতে চাইছে না। সে মনে মনে ঠিক করলো-পরের বার দেখা হলে আর অতীত নিয়ে কোন প্রশ্ন করবে না। সে যদি স্বেচ্ছায় কিছু বলে তাহলে ভিন্ন কথা।

শিলার সাথে একমাসের মত ক্লাস করেছিল সে। তখন সে খুব লাজুক ধরনের ছিল। কারো সাথে কথা বলত না শুধু তার সাথেই কথা বলত। এই নিয়ে বন্ধুদের কত হাসাহাসি আর মজা নেয়া। শিলার সাথে আমার কিছু হতে চলেছে।সে আমার প্রেমিকা। বন্ধুদের মজাতে পানি ঢেলে হঠাৎ শিলা উধাও। আর কোন খোঁজ খবর নেই। সেও শিলার কথা ভুলে গিয়েছিল ধীরে ধীরে। আজ আবার তার সাথে কাকতালীয়ভাবে দেখা তাও আবার তার এলাকার খুব কাছেই।

প্রত্যয় যখন শিলার স্মৃতি রোমন্থন করে রুই মাছের মুড়িঘণ্ট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই তার ফোন বেজে উঠলো। নাম্বার দেখে তার মনে হল নিশ্চয়ই শিলা ফোন দিয়েছে। শিলা আবার এত তাড়াতাড়ি ফোন দিতে গেল কেন? কি সমস্যা?
- হ্যালো
- হ্যা, প্রত্যয় কি করিস?
- এইতো রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছি
- তুই আজকে রাতে আমার বাসায় খা। তোর আর রান্না করার দরকার নেই।
- দাওয়াত পেলে আমার না নেই। আমি এখনই সাইকেল নিয়ে চলে আসছি। তোর বাসার নিচে সাইকেল রাখা যাবে তো?
- যাবে, তুই আয়।
প্রত্যয় সেই রুই মাছ আবার ফ্রিজে রেখে সাইকেল নিয়ে ছুটে চলল শিলার বাসায়।
প্রত্যয় বেশ খুশি। আজকের রান্নার প্যাড়া তাকে নিতে হচ্ছে না। গতকাল রাতে তাহমীদ এর বাসায় খেয়েছিল এর আগের রাতে মুনের বাসায়। আজ শিলার বাসায় খেতে যাচ্ছে। আগামীকাল কার বাসায় খেতে পারবে কে জানে।আদার মালিক এর ‘শি কলড মি ভাইয়া’ গানটি গুনগুন করতে করতে সে কলিংবেল টিপলো। দুইবার টেপার পরে দরজা খুলে গেল
- রান্না ঘরে ছিলাম তাই খুলতে দেরি হল। ভাইয়া ভাইয়া বলে কার গান গাচ্ছিলি?
- হা হা, তার আগে তোকে বলে নেই। আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড আবার আমাকে রাখি পরিয়ে বলিস না তুই আমার ভাইয়া
- তোরমত টাকলুকে ভাই বানানোর কোন ইচ্ছা নেই
- থ্যাঙ্কস গড ফর মাই টাকলু মাথা
- থ্যাঙ্কস কেন?
- এই টাকলু মাথার কারণে তুই আমাকে ভাই বানাতে চাচ্ছিস না
- তুই পারিসও বটে। সেই ফার্স্ট ইয়ারের মতই আছিস। কোন পরিবর্তণ হয়নি।
- আগের মত থাকলেই তো ভালো। নতুন লাগে না, খুব চেনা লাগে। আর পরিবর্তণ হলে প্রতিদিনই নতুন করে চিনতে হয়। বাদ দে এইসব কথা। তুই এখনো রান্নাই শেষ করিসনি আর আমাকে দাওয়াত দিয়েছিস। আর একটু আগে আসলাম তখন দাওয়াতের কথা বললি না আর এখন এক ঘন্টার মাথায় ফোন দিয়ে দাওয়াত দিচ্ছিস। কাহিনী কি?
- ফ্রিজ খুলে দেখি চিংড়ি মাছ আছে। আমি আবার চিংড়ির মালাইকারী ভালো রাঁধতে পারি। আর ভালো জিনিস সবাইকে রেঁধে খাওয়াতে ভালো লাগে। ভাবলাম তোকে বলি আমার সাথে খেতে।
- তা আর কি কি ভালো রাঁধতে পারিস?
- অনেক কিছুই
- যাক আমার কপাল ভালো। তোর যখনই ভালো জিনিস রেঁধে খাওয়াতে ইচ্ছে করবে আমাকে বলবি চলে আসবো। সাথে সাইকেল আছে কোন সমস্যা নেই।
- হা হা তার উপর আমার বাসায় সাইকেল পার্ক করে রাখা যায়
- এভাবে কথার পিঠে কথা বললে কথা চলতেই থাকবে। তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে চল। আমাকে আবার খেয়ে বাসায় ফিরতে হবে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বাড়িওয়ালা মেইন গেইটে তালা মেরে দেয়। এর আগেই বাসায় ফিরতে হবে।
- হুম চল। আমি রান্না করি তুই আমাকে সাহায্য কর

শিলা বিশাল আয়োজন করে ফেলেছে। প্রত্যয় ভেবেছিল শুধু চিংড়ি মাছের মালাইকারী হবে। শুধু মালাইকারী না এর সাথে আছে লেবু দিয়ে ইলিশ মাছের ডিম ভাজি, পাঁচ ধরনের সবজি মিলিয়ে সবজিভাজি, মুরগির তরকারী।আর ডেজার্ট হিসেবে দই।প্রত্যয় সাহায্য করেছে আর টুকটাক গল্প করেছে। আসলে জীবনটা মন্দ নয়। একজন সুন্দরী নারী তাকে রেঁধে খাওয়াচ্ছে আর রান্না ঘরে বসে সে তার সাথে টুকটাক গল্প করছে। একটু পর পর সেই সুন্দরী নারী অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে।লবণ হয়েছে কিনা চেখে দেখছে।এরপর দুই আঙ্গুল একত্র করে এবং তিন আঙ্গুল উপরের দিকে তুলে সুন্দরের চিহ্ন হিসেবে তাকে দেখানো এরপর সেই সুন্দরী নারীর কাছ থেকে মিষ্টি হাসি প্রতিদান হিসেবে পাওয়া।এই দৃশ্য দেখলে যে কারোরই হিংসে হবে।

রান্না শেষ করে প্রত্যয় জানালো খাওয়ার আগে একটা সিগারেট না খেলে আমার ক্ষুধা লাগে না।তোর ঐ বিদেশি সিগারেট আনতে ভুলে গেছি। বাসায় সিগারেট আছে নাকি আরও?
- হুম আছে, তোর সাথে আমিও খাব। দাঁড়া নিয়ে আসছি।
তারা ব্যালকনিতে চলে গেল। আগের মত করে শিলা দিয়াশালাই জ্বালিয়ে তার সিগারেট ধরালো এরপর সেই একই কাঠি দিয়ে প্রত্যয় এর সিগারেট জ্বালিয়ে দিল।ব্যালকনিতে আবছা অন্ধকার।রাস্তায় মানুষজনের চলাচল নেই।চারিদিকে বেশ শান্ত পরিবেশ। শিলা সিগারেট একমনেই টেনে যাচ্ছে। প্রত্যয় ভাবছে কি কথা শুরু করবে। প্রত্যয় এর ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে শীলাই প্রশ্ন করলো
- শুধু সিগারেটই খাস নাকি?
- শুকনা খাই প্রায়ই। আজকে বিকালেও খেয়েছি আর বুয়েটের কিছু বন্ধু আছে ওদের সাথে অনেকদিন পরপর সুযোগ পেলে খাই। হঠাৎ এই প্রশ্ন?
- না এমনি। বন্ধুদের সাথে কিভাবে আড্ডা দিস এটা জানার জন্যই জিজ্ঞেস করা
- আমার বন্ধুরা অনেক মজার আর ভালো। একসাথে প্রতিসন্ধ্যায় চেরীব্লজম এর সামনে আড্ডা দেই
- এই চেরীব্লজম কোথায়?
- আজমল হাসপাতালের পাশেই।আমাদের আড্ডায় অনেক দূর থেকে বন্ধুরা আশে আড্ডা দিতে। সেই আব্দুল্লাহপুর থেকে আসে রনি এরপর ভাষানটেক থেকে আসে আমিন ভাই, মিরপুর-১ থেকে আসে মুন
- আড্ডার জন্য দেখি সবাই ডেডিকেটেড। তোদের আড্ডায় আমাকে নিবি?
- মুনের অনুমতি নিতে হবে।
- মুনের অনুমতি নিতে হবে কেন?
- আমাদের আড্ডার নাম-‘মুন যা বলবে তাই’ সেই আড্ডার সভাপতি হচ্ছে মুন এরপর আমিন ভাই হচ্ছে উপ-সভাপতি।তাহমীদ হচ্ছে কোষাধ্যক্ষ।
- হা হা খুব মজার তো।
- আরও মজার বিষয় আছে। আমাদের আড্ডার জায়গা কিছুদিন পর পর পরিবর্তণ হয়। প্রথমে আড্ডা দিতাম মিরপুর-৬ এর সেলিম ভাই এর দোকানে। তিনি লেমোনেড এর দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করে ফেলেছেন দেখে এরপর থেকে আড্ডা দিতাম ক্যারে ফ্যামিলির সামনে। ঐ ক্যারে ফ্যামিলির সামনে মুনের জীবনে এক বেদনাবহুল ঘটনা ঘটে যায় তাই আর ঐখানে আড্ডা দেই না এরপর বিলাসের সামনে আড্ডা দিতাম এখন অনেক জায়গা পরিবর্তণ করে চেরী ব্লজম এর সামনে আড্ডা দেই।
- বেদনাবহুল ঘটনা কি ঘটেছিল?
- ঐ ঘটনা বলে দিলে মুন আমাকে ‘মুন যা বলবে তাই’ থেকে বহিষ্কার করে দিবে।
- হা হা, তাহলে আর বলতে হবে না। মুনকে বলে দেখ, তোদের আড্ডায় আমাকে সদস্য করে নিবে কিনা?
- আচ্ছা তোকে জানাবো।
- আমার ক্ষুধা লেগেছে। আয় খেয়ে নেই।

প্রত্যয় আর শিলা একসাথে খাচ্ছে। টুকটাক গল্প করছে কিন্তু ঘড়ির কাটাতো থেমে নেই। সেই কাঁটা যে কখন রাত বারোটায় চলে গেছে তার কোন খেয়াল প্রত্যয় এর নেই। আসলে সুখের মুহুর্তগুলো কখন যে পাড় হয়ে যায় তা টের পাওয়া যায় না। প্রত্যয় এর কাছে বর্তমান সময় অনেক সুখের মনে হচ্ছে। নিজেকে বিবাহিত পুরুষ মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে খাবার খাচ্ছে। সংসার জীবন আসলেই অনেক মজার।
- তোর কাছে সংসার জীবন কেমন লাগে?
- খুবই পেইনফুল। একা আছি বেশ ভালো আছি।
প্রত্যয় বেশ আশাহত হল। সে কল্পনা করছে সংসার জীবন কত সুখের। একসাথে স্ত্রী এর সাথে শিলার মত সিগারেট টানবে। ডার্টি জোকস বলে হেসে উঠবে।কিন্তু শিলা কি কথা শোনালো।
- সংসার তোর কাছে পেইনফুল কেন মনে হয়?
- সংসার এর চাইতে লিভ টুগেদার অনেক ভালো। সেখানে বন্ধুর মত থাকা যায় কিন্তু সংসার জীবনে হাজারটা কৈফিয়ত দিতে হয় আর অধিকার খাটানোর বিষয় চলে আসে। লিভ টুগেদারে কোন অধিকার কেউ খাটাতে আসে না।
- তুই আমার বন্ধু রনির মত কথা বলছিস। সে বিয়ের চাইতে লিভ টুগেদারকে শ্রেয় মনে করে।

কথা বলতে বলতে প্রত্যয় ঘড়ির দিকে তাকিয়েই বলে উঠলো- অহ শিট!
- কি হয়েছে? রান্নায় কোন সমস্যা?
- না, ঘড়ির দিকে তাকিয়েছিস। রাত ১২.০০ টার উপর বাজে। আমার বাসার মেইন গেইটে তালা মেরে দিয়েছে।
- সমস্যা কি? আমার বাসায় আজ রাতে থাক। গল্প করি সারা রাত। কত দিন পর দেখা।
প্রত্যয় ভিলেন মার্কা অট্টহাসি দিয়ে বলল- যথা আজ্ঞা শিলারানী!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×