মানুষ গুলো কি পায় নিজের সাথে অভিনয় করে। নিজের ভিতরের প্রশ্ন গুলোকে লুকাতে তারা কত চেষ্টা করে। মনের চিন্তা গুলো থেকে দূরে থাকতে তারা মিছে চেষ্টা করে। নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যায়, নিজের মাঝের সত্যটাকে অভহেলা করে।এমন ভাব করে যে তারা সুখী, কিন্তু তারার পুড়ে পুড়ে ছারখার।
আমি গাঁজার কথা বলছি,আমি নেশার কথা বলছি। খনিকের সময়ে তারা সব ভুলার জন্য এমন করে। যে আকাশের দিকে কখনও তাকায় না, তারপর সে দিকে তাকিয়ে পাগলের মতো তারা গুনে।
সে সময় ভাবে কত সুখ পৃথিবীতে, সে সব করতে পারে, নিজের মনে। কল্পনা করতে পারে, দু হাত বাড়িয়ে আকাশে উড়তে পারে। এ সবই কল্পনায়।
গভীর রাতে সে নেশায় আচ্ছন্নও, বাস্তবতার অনেক বাহিরে।
কিন্তু, কিন্তু কি?
সেই রাতে তার কিছু আপনজন, যারা তার থেকে বহুদুরে। তাদের চোখে ঘুম নেই। নাহ জানি নারী ছেরা ধন কতটা কষ্টে আছে। ভালো মতো খেতে পারছে না। এই ভেবে চোখের জল গুলো বালিশেই শুখিয়ে ফেলে।অন্যদিকে বয়স্ক মহিলার পাশে বুড়ো লোকটি ভাবে, মাসতো শেষ। এই মাসে সেমিস্টার ফি দিতে হবে। ছেলে নতুন একটা ফোন দিতে হবে।
রাত গভীর হয় বুড়ো বুড়ী ঘুমিয়ে পড়ে, ঘুমিয়ে পড়ে সবাই। জেগে থাকে ছেলে, আকাশ দেখে, আহা- পৃথিবী কত সুন্দর। দুঃখ একটা, সে মেয়ে কেন ধোঁকা দিল। তাই সব চিন্তা বাদ দিয়ে আজ এই......।
সকালের আজান দেয়, বুড়ো বুড়ী ফোন দেয়, বাবা তোর না পরীক্ষা। ছেলের কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘৃণার শুরে ধমক দিয়ে বলে, উঠছি...উঠছি । অবুঝ বাবা মা ভাবে, ছেলে মনে হয় সারা রাত পরেছে। নিজে দোষ স্বীকার করে ফোন কেটে দেয়। মনে মনে খুশি হয়।
ছেলে তো ভবের সাগরে......একটু আরএকটু, তারপর গভীর থেকে গভীরে। ফজরের আজান দেয়, তখন সিগারেট হাতে, আজানের ধ্বনি কানে লাগে। ভাবে, কিছু একটা আছে তাতে। মনেপরে জীবন কত সংক্ষিপ্ত। সাথী কে আছে। সে ভাবে আর ভাবে।
কে বলেছে সাথী নেই, ওই যে যুক্তি আর যুক্তি। সময় যায় , সব কিছু কে কেমন যেন মনে হয়। আবার রাতে, ভবের সাগর। তাতে স্লান, আর শুদ্ধ।মানবতা সত্যি অদ্ভুত।
(আমি দুঃখিত তাদের কাছে।আমার কাছে এইটাই মনে হয়, তাই লিখছি_)
আমার লিখা পড়ার সময় এই মিউজিক টা শুনতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=AiC5hNTVyOI
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৮