somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন "মহিলা"

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবশেষে গাড়িতে উঠে একটু স্বস্তি বোধ করছি । আর ২ ঘন্টার মধ্যেই পাপার কাছে পৌছে যাব আমি । যাক , শান্তি। সোনাদিঘী নাম টা যত সুন্দর , যত কাব্যিক , এখানের জলবায়ু ঠিক ততটাই বিষাক্ত । আর মানুষগুলো , বিশেষত জমিদারবাড়ির ঐ মহিলাটি !! ওনাকে তো , ওনাকে তো ডাইনী বললেও কম বলা হবে । আমার পুরো পরিবারের জীবনটা ধ্বংস করেছেন উনি , অথচ এ নিয়ে তার বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই । তাও এবার তার প্রতি বৈরীভাব দূর করার একটা প্রচেষ্টা নিয়ে এসেছিলাম । কিন্তু উনি ?? উনি এতগুলো বছর পরেও একটুও বদলান নি । আজও কি না আমার সামনে ঐ লোকটার সাথে ... ছি: ছি: , ভাবতেই গা টা রি রি করছে। আমাদের ড্রাইভার সুজন ভাই হঠাৎ পেছন ফিরে বললেন " ম্যাডাম , উনি যে পিছন পিছন আসছেন । গাড়িটা কী থামাবো ?" আমি যথেষ্ট কঠিন গলায় বললাম " পাপা আপনাকে বলে নাই সুজন ভাই যে আমি না বললে রাস্তায় কোথাও গাড়ি থামানো আমার পছন্দের নয় ??" সুজন ভাই ধমক খেয়ে বেশ থতমত হয়ে বললেন " না , মানে .... আচ্ছা , ঠিক আছে ।" সোনাদিঘী ছাড়ার সময় পেছন ফিরে দেখার মত রুচি নেই আমার। কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি , মহিলা বেশ চেঁচাচ্ছেন " মোহনা , মোহনা !! মা আমার , যেও না এভাবে ... সবটা না শুনে প্লিজ তুমি এভাবে চলে যেও না !" হাঁহ !! পারেনও ভদ্রমহিলা নাটক করতে ! আরে ভদ্র কাকে বলছি !! ছি: ছি: .... " সুজন ভাই , তাড়াতাড়ি গাড়িটা চালান তো ! আর এক মুহূর্তও এখানে নয় !"

প্রায় আড়াই ঘন্টা পর আমার কালো ল্যান্সারটা আমার বাড়ির নিচে এসে থামলো । " হোম , সুইট হোম " মৃদু স্বরে বললাম আমি , কিন্তু মাথার মধ্যে তখনও ঘূর্ণিঝড় চলছে , যা দেখেছি তা কিছুতেই চোখের সামনে থেকে সরছে না । প্রতিটা স্টেপে যেন ঐ রাগটাই পড়ছে বেশি করে .. হিল জুতোর খটখট আওয়াজ থেকে লিফটের বোতাম টেপা সবকিছুতেই । বাড়িতে ঢুকেই ঢকঢক করে ডাইনিং টেবিলে রাখা বোতল থেকে পানি খেয়ে নিলাম অনেকটাই । পাপা ডিভানে বসে পেপার পড়ছিল । আমার আওয়াজ পেয়ে বললো " মাই প্রিন্সেস , আর ইউ হেয়ার ??" " ইয়া , আ'ম ব্যাক..." " সো আর্লি ? এনিওয়ে ইটজ গুড দ্যাট ইউ আর হেয়ার ফাইনালি ... আই ওয়াজ মিসিং ইউ আ লট " ," সেম হেয়ার পাপা .... " কথাটা শেষ না করতেই আমার ফিফি তরকারি হাতে ডাইনিং এ ঢুকলেন । আমার ফিফি হলেন আমার ফুপু ।পাপা বিজনেসের কাজে দেশের বাইরেই বেশী থাকেন তাই ফিফি আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী । আমার যাবতীয় আবদার , খুনসুটি সবই ওর সাথে।আমায় দেখে মনে হয় ফিফি আকাশ থেকে পড়লো । বললো " এই , তুই এখানে ক্যান মোহনা !!! কখন আসলি !!" ফিফিকে আমি কখনো কথায় ছাড় দেই নাই , এবারও দিলাম না । বললাম " আমি আসাতে কি তোমার প্রবলেম হইসে ফিফি ?? আর বাই দা ওয়ে , অনেকবার বারণ করসি আমাকে মোহনা না ডাকতে ! আমি মাহিয়া , মোহনা না !"ফিফি আমার কথা খুব একটা কানে তুললো বলে মনে হলো না । বললো " তোর তো এখন সোনাদিঘী থাকার কথা । হুট করে চলে এলি কেন ?" এবার পাপা বলল " আহ শানু ! তুই জানিস না আমার প্রিন্সেস এখানে কত সমাদরে থাকে ! নিশ্চয়ই ওখানে ওর কোনো অযত্ন হয়েছে !" ফিফি বেশ রাগী গলায় বললো " বাজে কথা বলো না ভাইয়া । ও বাড়িতে যে ওর অযত্ন হওয়ার কোনো সুযোগ ই নেই এটা তুমিও ভালো করে জানো , আমিও জানি , আর কেউ না জানুক !" আমার একে তো মাথা গরম , তার উপর এখানে যা একটা নাটক শুরু হয়েছে .... বিরক্ত হয়ে রীতিমত চিৎকার করেই বললাম ," থামবে তোমরা !!! আমার থাকতে অসহ্য লেগেছে তাই চলে এসেছি , কেস ডিসমিস ! " এই বলে ঝড়ের গতিতে আমার রুমে চলে এলাম । মাথার ভিতরে ঘূর্ণিঝড়টা আরো উত্তাল হয়েছে মনে হয় । রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম । শেষমেষ স্থির করলাম একটু ঘুমাবো । তাই করলাম


ফিফির সাথে আমার শান্তিতে জীবনযাপন নিয়ে একটা দ্বন্দ আছে । এই যেমন এখন আমি সারাদিন জার্নি করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছি জেনেও ফিফি আমায় ঘুম থেকে উঠানোর অনবরত চেষ্টা চালাচ্ছে । হুফফফ ! ফিফির ধৈর্য্যেরও বলিহারি ! হেভি নাছোড়বান্দা মাল ! অগত্যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বর্তমান প্রজন্ম হেরেই গেল ( এ্যাজ ইউজুয়াল )। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসলাম আমি । বিরক্ত হয়ে বললাম " তোমার মত অমানুষ ফিফি আর দুটো নাই ! কার ঘরে আগুন লেগেছে যে এভাবে টেনে তুললে !" ফিফি আরো ডাবল বিরক্তি নিয়ে বলল " ভরসন্ধ্যায় এ কী আকথা বলিস , হ্যা!! ওঠ জলদি , ফোন এসেছে তোর ল্যান্ডলাইনে , যা গিয়ে কথা বল !" উঠে গিয়ে ফোনে ঘুম জড়ানো গলায় আওয়াজ দিলাম ," হ্যালো ?" অপর প্রান্ত থেকে মুগ্ধ ভাইয়ার কন্ঠ ," মাহিয়া আমি ভাইয়া । "
-হুম বলো , কোনো দরকার ?
: আমি বুঝছি তুমি টায়ার্ড , কিন্তু আসলে আমি আজকে রাতে ইউএস আর্মি হেড কোয়ার্টারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবো । মাকেও নিয়ে যেতাম.... তো মা তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাইছেন ।
উফফফ ! এই মহিলা পারেনও ! আমার কথা বলার একেবারেই ইচ্ছে ছিল না , তারপরও সিন ক্রিয়েট করতে চাইলাম না । অনিচ্ছাসত্ত্বেও বললাম ," দাও , কথা বলছি " কিছুক্ষণ পর মহিলার আওয়াজ পেলাম ।
- হ্যালো মোহনা ?
: মোহনা নয় , মাহিয়া .... আপনার কি দরকার আমার সাথে ?
- মোহনা দেখো মা , তুমি আমায় ভুল বুঝেছ ।
: এটা ছাড়া আর কিছু ?
-মোহনা তুমি যেমন ভাবছ , বিষয়টা আসলে তেমন না
: আপনি কি এটা নিয়েই কথা বলার জন্য ফোন করেছেন ? তাহলে বলে দেই আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না ।
- কিন্তু মা আমার আসলেই বিষয়টা পরিষ্কার করা দরকার । নইলে তুমি আমায় সারাজীবন ভুল বুঝে যাবে ।
: আমি আপনার সাথে ভাল-মন্দ কোনো কথা বলতে চাইছিলাম না , কিন্তু আপনাকে সম্মান দেয়া আসলে আপনার ধাতে সয় না । সো ...।দেখুন আপনার তো ধারণা যে সবাই আপনাকে ভুল বোঝে । বাট দা থিং ইজ , আপনার মত দুশ্চরিত্রা মহিলাকে বুঝতে কারোর আসলে ভুল হয় না !
- কি .... কি বললে তুমি আমায় ?
: শুনেছেনই তো কি বলেছি ! আরো শুনবেন ? আপনি .... আপনি হলেন দ্বিচারিণী , শুনেছেন আপনি ?
বোধ হয় , মহিলার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়েছে মুগ্ধ ভাইয়া । প্রায় চিৎকার করেই বললেন -
" চুপ ! একদম চুপ ! আমি কখনোই মাকে তোমার সাথে কথা বলতে দিতাম । ঐ বাড়ির বিষাক্ত আবহাওয়া তোমায় শুধু অহংকার করা ছাড়া আর কিছুই শেখায়নি ! খুব ঘেন্না না মাকে ? এই শেষ বার , আর চাইলেও কোনোদিন কথা বলতে পারবে না ওনার সাথে !"
মাথায় রক্ত উঠে গেছে আমার ! আজ ঐ মা আর ছেলেকে বোঝাবো আমি ! এমন সময় ফিফি ফোন কেড়ে নিল আমার হাত থেকে । চিৎকার করে বললো " এই তোর শিক্ষা !!! এভাবে একজন মানুষের সাথে কথা বলা !" আমিও বেপরোয়া এখন , বললাম " উনি কোনো মানুষের পর্যায়ে পড়েন না !"এবার পাপা কথা বললো " শানু , ও হয়তো ছোটমানুষ , বেশি বড় বড় কথা বলেছে , কিন্তু ভুল তো কিছু বলেনি !" হাত দেখিয়ে ফিফি থামিয়ে দিল পাপাকে । বলল " আর নষ্ট কোরো না তুমি মেয়েটাকে । এত ঐশ্বর্যের মাঝে মেয়েকে বড় করেছ এই তো গর্ব না তোমার ? হ্যা , ঐ বড়ই করেছ , মানুষ করোনি !" এবার আমি বললাম " ফিফি তুমি পাপাকে এভাবে বলতে পারো না ! নেমকহারামির একটা লিমিট রাখো !" " নেমকহারামি তো তুই করছিস ! শোন , তুই এসবের কিছুই জানিস না , এখানে বড়রা কথা বলছে , তুই অযথা ফোড়ন দিবি না !যা এখান থেকে !" এমনিও আমি আর এখানে দাড়াতাম না ! দৌড়ে চলে গেলাম চিলেকোঠায় ।

দুনিয়াটা চুরমার করতে ইচ্ছে করছে আমার ! বাস্কেটবলটা পুরোনো আলমারিটার উপরে ছুড়ে মারলাম । রাগ নামলো না , কিন্তু একটা ধুলোভরা ঝুড়ি নিচে পড়ে গেল । হঠাৎ কি আগ্রহ হলো জানি না , ঝুড়িটা ঘাটাঘাটি শুরু করলাম । কি কি বের হল ?? একটা পুরানো বাচ্চাদের জামা , ২ জোড়া ছোট ছোট জুতা , মাফলার , কান টুপি , আরো কত কি !! পুতুল , টেডি বিয়ার ইত্যাদির ফাকে দেখলাম একটা পুরাতন ডায়েরী মতন । কৌতুহলবশত খুলতেই একটা পুরানো ছবি নিচে পড়লো , এক মহিলার কোলে একটা বাচ্চা মাড়ি বের করে হাসছে , মহিলার মুখেও একটা প্রাণোচ্ছোল হাসি । ডায়েরী টার মাঝখান থেকেই পড়া শুরু করলাম ।

২৫ ডিসেম্বর , ১৯৯৬
আজকে রাত ৩:৫৫ তে মোহনা প্রথম পৃথিবীতে শ্বাস নিল । ওকে পৃথিবীতে আনতে খুব কষ্ট হয়েছে , কিন্তু ওর মুখটা দেখেই সব কষ্ট ঘুচে গেল আমার । ইশশ , কি পবিত্র মুখ , যেন স্বর্গের একটা ফুল আমার কোলে গড়িয়ে পড়েছে । ছোটবেলায় একটা পুতুল পেয়ে খুব আনন্দ হয়েছিল , আজ আবার সেই নির্মল আনন্দ আমার মনে । আমার সবটুকু দিয়ে ওকে বড় করবো । কক্ষনো বকবো না , কেবল আদর করবো । খুব দুরন্ত হবে ও । আমার মোহনা ....

হুহ !! মহিলার আদিখ্যতা দেখে বিরক্ত লাগছে আমার । তবুও পড়ছি , নেই কাজ তো খৈ ভাজ আর কি ! এরপরের দেড়মাস শুধু আমি কবে হাত নেড়েছি , নাকি বমি করেছি ইত্যাদি লেখা । ঢং ও ! এরপর ....


২৮শে নভেম্বর , ১৯৯৭
পৃথিবীটা এত নিষ্ঠুর কেন ? আমায় মোহনার বাবা দুশ্চরিত্রা , অসতী বলছে ! আমি অসতী ?? কেন ? মোহনার কাপড় এক পুরানো কলেজ বন্ধুকে সাথে নিয়ে কিনেছি বলে , আর সেই বন্ধুটি ছেলে বলে ! তাহলে চরিত্রবান কে ? উনি কি তবে মহাপুরূষ ?? ওনার সেক্রেটারি লিনা তখন প্রেগনেন্ট , আমায় এসে বলল যে ও আমার স্বামীর বাচ্চা ক্যারি করছে। মেয়েটা কাদছিল । বলছিল ওর এই সন্তান চাই না , আমার স্বামীর নামে কোর্ট কেস করবে , ওনার রেপুটেশন বরবাদ করে ছাড়বে । তখন স্বামীর সম্মান রাখতে ওকে প্রেগনেন্সিতে সিংগাপুর আমি পাঠাইনি ? সিংগাপুরে ওর কোল আলো করে ১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর ছেলে , মেয়েটা সন্তান চায়নি বলে ছেলেটাকে এডোপ্ট করলাম আমি । সেই থেকে ও আমার ছেলে , মুগ্ধ । আর আজ আমি দ্বিচারিণী ?? এমনকি আমার মোহনার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ঐ হারামি! সব ছেড়ে চলে যাব আমি । আমার মোহনা আর মুগ্ধ কে এই বাড়ির দূষিত পরিবেশে বড় হতে দেব না !

৩০শে ডিসেম্বর , ১৯৯৭
আর কিছুই করার রইল না আমার । কোর্ট মুগ্ধর কাস্টডি আমায় দিয়েছে , কিন্তু মোহনাটার কপালে ঐ জাহান্নামই রইলো ! হায় ! মেয়ে হওয়া কি এত বড় অভিশাপ ! আজ ওকে যখন আমার কোল থেকে কেড়ে নিল , চিৎকার করে কাদছিল ও ! এ কেমন বিধান তোমার ! আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিল ।
জানি , ও সারাজীবন ঘেন্না করবে মাকে । তবুও ভালো থাকিস তুই মোহনা , সুখে থাকিস , খুব সুখে .....



আর কিছু লেখা আছে কি না জানি না অপর পাতায় , পাতা উল্টানোর মত শক্তি নেই আমার । ডায়েরি খুলে স্থির বসে আছি আমি । নিজের অজান্তেই চোখ থেকে এক বিন্দু লোনা পানি গড়িয়ে ঠোটের কোণে জমেছে , স্বাদ পেলাম তার , যখন নিজের অজান্তেই মুখ থেকে অস্ফুট অথচ স্বত:স্ফূর্ত ধ্বনি বেরিয়ে এলো " মা " ......
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×