- আপনি মাজহার মিথুন, রাইট?
- জী, আপনাকে তো। ।।
- আমি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের একজন।
- ও আচ্ছা।
- কোথায় যাচ্ছেন?
- চিটাগং। আপনি?
- আমিও।
- কি বেসম্ভব কাকতাল বলুন, দেখা হয়ে গেল
আপনার সাথে।
- পৃথিবী গোল তো,
দেখা হয়ে যাওয়াটা তাই অবাক করা কিছু
না।
- আপনার কথা তো আপনার স্ট্যাটাসের মত সুন্দর
- আপনিও তো মজার মানুষ বলেই মনে হচ্ছে, আর
প্রশংসা থামান। আমি এমন কেউ না।
- আপনি অবশ্যই এমন কেউ।
- তাই???
- হুম জানেন আমি আপনার কোন স্ট্যাটাস বাদ
দেই না, কবে বই বের করবেন বলুনতো?
- দেখি। তার আগে একটা বিয়ে করা দরকার,
- বিয়ে কেন?
- বই বের
করতে যে টাকা টা লাগবে সেটা শশুরের
পকেট থেকে গেলে ক্ষতি কি?
- হা হা হা। আপনি আসলেই মাজহার মিথুন
এবার কোন সন্দেহ নেই।
- এতক্ষণ সন্দেহ করছিলেন কেন?
- আরে ধুর এমনিতেই বললাম।
- ও আচ্ছা।
মিথুন ট্রেনে যায় না সচরাচর। নেহায়েত
অভিজ্ঞতার জন্য ওঠা।
ফেসবুকে ওকে অনেকে চেনে। মারাত্নক
লেখার হাত। কিন্তু শুধু স্ট্যাটাসই লেখে। আর
কিছু লেখে না কেন তা সে জানে আর মাবুদ
জানে। তবে এই স্ট্যাটাস দিয়েই ফেসবুক
ভক্তদের মাতিয়ে রাখে সে, এসব না বললেও
চলে।
- গান শুনবেন মিথুন সাহেব?
- জি না। আপনি শুনুন।
মেয়েটা অসম্ভব খুশি । মাজহার মিথুন তার
সামনে। এই জিনিস নিয়ে স্ট্যাটাস
না দেওয়ার লোভ সামলানো এত সহজ না।তাই
এই গান শোনার অভিনয়।
যাকে নিয়ে এত কিছু তার কোন ভাবাবেগ
নেই। সে তো লেখক মানুষ। স্ট্যাটাস লেখক
হলেও তার
আলাদা একটা ভাবমূর্তি আছে অবশ্যই। সেই ভাব
বজায় রেখেই মিথুন
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।
মনে মনে কিছু প্যাচ
লেগে গেছে সেটা খোলার চেষ্টা করছে।
- চলুন নেমে পড়ি
- হুম চলুন
- আমাদের আর দেখা হবার সম্ভাবনা নেই তাই
না?
- পৃথিবী গোল হলে অবশ্যই আছে,
- আপনি আসলেই মজার মানুষ।
- ভালো থাকবেন
যেতে যেতে পথে সেই হল যে দেখা
মনে নেই মনে নেই আমি যে একা
মাজহার মিথুনের কানে এই ছত্র বাজার কোন
মানে হয় না। এরকম অনেকের সাথেই দেখা হয়।
স্বাভাবিক।
রাতে নোটিফিকেশিন চেক
করতে করতে ট্যাগ রিভিউ পাওয়া গেল
কয়েকটা। তার মধ্যে সবই ছবি। শুধু
একটা স্ট্যাটাস ট্যাগ। তাতে লেখা -
আর দেখা না হওয়াই ভালো।
মায়া বেড়ে যেতে পারে।
মনে মনে মাজহার মিথুন -
মায়া কি আসলে বাড়েনি?
উতসর্গ : মাজহার মিথুন
১৪/১২/১৩