somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি-1

২২ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সময় বলা হতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। পরবতর্ীতে সে নাম বদলে হয়েছে ডাকাতদের গ্রাম, ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্য, আরো কত কী! কিন্তু আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এখানে পড়তে এসেছি কিংবা আসছি তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কখনোই নেতিবাচক বিশেষণে দেখতে চাইনি। তারপরও দেখতে হচ্ছে, শুনতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কে? দায়ী আমি, আমরা যারা এখানে পড়ছি কিংবা কিছুদিন আগে পড়েছি এবং বিশেষভাবে দায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। (কারনগুলো পরবতর্ীতে জানাবো)।

ইতিহাস সাক্ষী 1921 সালে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তারপর থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভুমিকা রেখে এসেছে। 1947-48, 1952, 1966, 1971, 1980-90 সালের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই দিয়েছে।
তারপরও কেন এ বিশ্ববিদ্যালয় এ নেতিবাচক নামে ভুষিত হলো বারবার এবং এখনো হচ্ছে? আজ রাস্তাঘাটে চলতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এ কথা শুনলে অনেকেই-ও তুমি শাস্তানদের আখড়ায় পড়, রাজণীতির আখড়ায় পড়, তো লেখাপড়া কিছু করতো নাকি?-এসব কথা বলে। এসব কথা আমার শুনতে ভাল লাগেনা। তারপরও শুনতে হয়। কিন্তু কেন গুটিকতক সন্ত্রাসী আর চাদাবাজির কারনে আমাকেও এ কথা শুনতে হবে? কেউ কি এর জবাব দিতে পারবেন? পারবেন না।
আমিতো কোন নেতিবাচক বিশেষণে পরিচিত কোন ক্যাম্পাসে পড়তে চাইনি কিংবা আসিনি। ভালো ফলাফল করেই একদিন এ ক্যাম্পাসে পা রেখেছিলাম। আজ প্রায় সাড়ে ছয় বছর অতিক্রান্ত হলেও এখান থেকে পাশ করে সামনে এগোতে পারিনি। গত জুন মাস পর্যন্ত কেন আমাকে এসএসসি এবং এইচএসসির সার্টিফিকেটগুলোই আগলে রাখতে হয়েছে? প্রায় দেড় বছর ধরে এমবিএ নামক একটি সার্টিফিকেটের জন্য কেন আমাকে এখনো এখানে পড়ে থাকতে হচ্ছে? প্রতিদিন কেন আমাকে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে? জানি কারো কোন জবাব নেই। তাই এবার আমিই আমার অভিজ্ঞতা থেকে জবাব দিয়ে যাব।
এখন যারা এখানে পড়ছি কিংবা ভবিষ্যতে যারা এখানে পড়তে আসবে তাদের জন্যই আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি নামক ধারাবাহিক এ আয়োজন। জানি অনেকেরই এ ব্যপারটা ভালো লাগবেনা, অনেকেরই ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগবে। তারপরও আমি সত্যটাই বলে যাব। বলে যাব কিভাবে আমাদেরকে পিটিয়ে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, বলে যাব কিভাবে আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে অন্যায় করতে বাধ্য করা হয়েছে, আমি বলে যাব শিক্ষকরা কিভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকে রাজণীতির ছত্রছায়ায়য় বাস করতে বাধ্য করেছে। আমি লিকতে চাই কিভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা গুটিকতক ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীর কাছে বারবার জিম্মি হয়ে থেকেছে কিংবা থাকছে।
যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি কোনদিন তাদেরকে আমি জানাতে চাই আমার তীক্ত অভিজ্ঞতার কিছু কাহিনী। আশা করি কেউ না কেউ আমার সাথে থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×