আমি তাকে প্রথম টিভিতে দেখেছিলাম। দেখে মনে হলো তিনি আমাদের মতই একজন। আমি আমার সন্তান আর পরিচিতদের বললাম তাকে ভোট দিতে। আট বছর আগে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগের সময়ে ইরানের এক নাগরিক বলে ছিলেন কথাটি। সমসময় তিনি পশ্চিমাদের কাপিয়ে রাখতেন। বরাবরই ইসরাইলে সমালোচনা কঠোরভাবে করতেন তিনি। ইরানের এই নেতার জীবনে পড়ে খুব ভাল লাগলো। কিন্তু খারাব লাগলো এই জায়গায় যে আমাদের দেশের নেতাগন জনগনের টাকা লুটপাঠের জন্য খুন পর্যন্ত করে ফেলে। জানিনা এরকম নেতা সোনার বাংলায় জন্ম হবে কি না।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের আদি শহর মধ্যে গেলে অসহায় মানুষের দূরবস্থা থেকে কেদে ফেলন:
মানব জমিন অনলাইন সূত্র থেকে পাওয়া:
প্রেসিডেন্ট হয়েও আহমেদিনেজাদের জীবনধারণ ছিল একেবারেই সাধারণ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই প্রেসিডেন্ট ভবনের দামি কার্পেটগুলো তেহরাণের মসজিদে দান করে দেন। এরপরিবর্তে সাধারণ মানের কার্পেট বিছানো হয় প্রেসিডেন্ট ভবনে। প্রেসিডেন্ট ভবনের ভিআইপি অতিথিশালাও বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি সাধারণ ঘরেই ভিআইপিদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা রাখা হয়। রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতেন আরও সাধারণ। মেঝেতে বিছানো কমদামি কার্পেটেই ঘুমাতেন তিনি। সকালে অফিসে আসার সময় একটি সাধারণ ব্যাগে করে স্ত্রীর তৈরি করে দেয়া খাবার নিয়ে আসতেন আহমেদিনেজাদ। প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা বিমান পরিসেবার ব্যবস্থা থাকলেও তা তিনি পরিণত করেন সাধারণ কার্গো বিমানে।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেয়ার আগেও ইতিহাস তৈরি করে গেলেন আহমেদিনেজাদ। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক লারিজানির কাছে লেখা এক চিঠিতে আট বছরে অর্জিত সম্পদের হিসাব দিয়ে যান তিনি। যে হিসাবে দেখা যায়, ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সম্পদে যে পরিবর্তন এসেছে, তা হলো- তিনি তার পুরোনো বাড়িটি পুনর্নিমাণ করেছেন। তবে বাড়িটি পুনর্নিমাণের জন্য তিনি ব্যাংক ও প্রেসিডেন্ট দপ্তরের ফান্ড থেকে ঋণ নেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ফান্ড ও ব্যাংক থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য অসংখ্য মানুষ ঋণ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টও সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে সেই ঋণ নিয়েছেন। ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোন ধরনের প্রভাব খাটাননি। একইসঙ্গে বাড়ি পুনর্নিমাণের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনরাও সহযোগিতা করেছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



