somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্য আউটসাইডার

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাসেল এবং তিশা দুজনে আধুনিক উচ্চশিক্ষিত। দুজনেই উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে। একই ইউনিভার্সিটি থেকে দুজনে পড়ালেখা শেষ করেছে। ওরা চট্টগ্রামে বড় হয়েছে। রাসেলের বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। সে ওর খালার বাসায় থেকে চট্টগ্রামেই পড়ালিখা শেষ করেছে। ভার্সিটির অঙ্গনে কাছাকাছি-পাশাপাশি থাকবার সময়ে দুজনের ভিতরে বন্ধুত্ব হয়। একজন অন্যজনের কাছে আসে। ভালোলাগা থেকে ভালবাসার দিকে পথটি ঢালু হয়ে যায়। তবে এটা রাসেলের দিক থেকে একটু বেশী নিচুতে ধাবিত হবার মত হয়ে পড়ে। আর তিশা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না, সে কি রাসেলের একজন বেশ ভালো বন্ধু, না কি রাসেলকে সে চায়... অনেক কাছে পেতে চায়? না কি স্রেফ পাশাপাশি থাকতে চায়। কিন্তু রাসেলের কথা ভাবলে তিশার মনের কোথায় জানি এক সাথে অনেক পাখি ডেকে উঠে!

তিশার হৃদয়ে উদাসী ফাল্গুনী বাতাস, ঘুরে ঘুরে বয়- তার দিক ঠিক নেই।

এভাবে ভার্সিটির পড়ালেখাটা শেষ হয়ে যায়। এবারে জীবনের নতুন পথে পা বাড়ানোর সময় এসে যায়। কিন্তু রাসেলের বাবা চাইলেন রাসেল দেশের বাইরে চলে যাক। একটা নামকরা ভার্সিটি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের উপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের ব্যবসাটা দেখুক। তিশার বাবা চাইলেন নিজের একজন বন্ধুর ছেলের সাথে মেয়ের বিয়েটা দিতে। এভাবেই ওদের দুজনের জীবনটা শুরু হবার আগেই মসৃণ পথটি বন্ধুর হয়ে পড়ল। কিন্তু নিজেদের বাবাকে ওরা দুজনই খুবই ভালবাসত। তাই নিজেদের মনের কথাকে কিংবা হৃদয়ের গোপন ইচ্ছেটাকে ওরা দুজন প্রকাশ না করে অহর্নিশি একটা যন্ত্রনায় বিদীর্ণ হতে থাকলো।

রাসেল বাইরে যাওয়ার জন্য ওর সকল ফর্মালিটিজ পুরণ করতে ঢাকায় ওর বাবা-মার কাছে চলে এলো। আর তিশার বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেল। সকল আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। এর ভিতরেও রাসেল এবং তিশার মধ্যে প্রতিদিন মোবাইলে কথা হয়... রাসেল তিশাকে ওদের নিজেদের মত জীবন গড়ে নিতে ওর সাথে থাকার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিশা এভাবে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী বিয়ে করে ঘর বাধতে রাজী হয় না। আবার রাসেলকে ছেড়ে অন্য কাউকে নিয়ে ওকে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে সেটাও মেনে নিতে পারে না। এদিকে রাসেল ও অন্য কারো সাথে তিশার বিয়ের ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না। এভাবেই অতি ধীরে বইতে থাকে দুজনের হৃদয়ের টানাপোড়েন আর যন্ত্রণার এক একটা দীর্ঘ মূহুর্ত।

এরপর আসে সেই রাত। রাসেল আকাশ পাতাল ভাবছে। আগামীকাল তিশার বিয়ে। কী হবে এরপর! তিশা রাসেলকে ফোন করে। দীর্ঘক্ষণ একে অন্যের মন ছুঁয়ে থাকে - কখনো কথায়, কখনো কথাহীন নিঝুম নৈ:শব্দে। কিছু কথোপকথন - জানা অজানা সত্যের লেনদেন। কখনো অতীতে ভেসে যাওয়া, কখনো কঠিন বর্তমানে ফেরা, কখনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অকূল অতল কল্পনা।
এক সময় রাসেলের মনটা শূন্যতায় ছেয়ে যায়। সে তিশার কাছে জানতে চায়, ' আমাকে যদি বিয়ে করতি কেমন সংসার হতো আমাদের? 'তিশার মন ব্যথা করে ওঠে। সে হাসে -' আর সবার যেমন হয়.. মাস শেষে তুই যা রোজগার করে আনতি, আমি সব এখানে ওখানে খরচ করতাম। তুই কলিগ আর বন্ধুদের আড্ডায় বলতি - পুরুষ মানুষ দুই প্রকার - জীবিত ও বিবাহিত '.. রাসেল প্রাণ খুলে হাসে... তিশা সন্তর্পণে রাসেলের শব্দের স্পর্শ নেয় সমস্ত প্রাণে। আদিগন্ত রাত জুড়ে গোলাপ রজনীগন্ধা সুবাস ছড়ায়। সেই সুবাস সে যত্নে তুলে রাখে সুবাসদানীতে। রাসেলকেও জানতে দেয় না। জীবনের বাকী পথে কোথাও রুক্ষ নি:সংগ দিনে লুকিয়ে তা অনুভবে নেবে। কে জানে কেমন হবে সামনের সময়! এ জীবনে যত মানুষ দেখেছে তাদের প্রত্যেকেরই মনের গভীরে কোথাও কাটা কাচা ক্ষত দেখেছে, যা কখনো ঠিকভাবে শুকায়নি। তিশাও মানুষ। যার কাছে যাবে সেও মানুষ। সব কাটা ছেঁড়া কে হয়তো লুকানো ও যাবে না। অজান্তে সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রাসেল তার আভাস পায়। কেন তার ভালো লাগে? তার কষ্টের একজন অংশীদার আছে জেনে? তিশা রাসেলের শব্দ পায়, বোঝে না। তবু অনুভব করে। সেই প্রথম দেখার আবছা স্মৃতি। একটু ভালোলাগা। কিছু দূরত্ব। মুক্ত কোন সম্পর্ক। কেমন এই সম্পর্ক! রাসেল হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতে চায় তিশার ভাবনাকে। নিজের মনের শান্ত দীঘির কালো স্বচ্ছ পানির বুকে তারার আলোর মত দেখে সত্যকে। রাসেলের মনেও একই ভাবনা সব আলোছায়া জুড়ে, চেনা অচেনা জুড়ে,স্মৃতি বিস্মৃতি জুড়ে -' কেমন এই সম্পর্ক! ' সে তিশাকে জিজ্ঞেস করে, ' কেমন এই সম্পর্ক আমাদের!'



রাসেল তার মন উজাড় করে যত ইচ্ছা, যত ভাবনা, অনুভুতি ইথারে ভাসিয়ে দেয়। তিশার বোধের ঘাটে তার কিছু পৌঁছায়, কিছু আঘাটে ডোবে। এই ছেলেটি ওকে কি পাগলের মত ভালোবাসে সেটা ভেবে তিশা অবাক হয়। তবু নিয়ে ফেলা অনিবার্য সিদ্ধান্তটার সম্মান নষ্ট করে না সে। রাসেল ও জানে সে ও তিশারই মত নিজের মানুষের সম্মানে নিজের ইচ্ছেঘুড়ির সুতো গুটিয়েছে। বাকী জীবনের জন্য তিশা এক স্বপ্নমাত্র। দূর অতীত স্মৃতি! সে তার নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। অনুভব করে - তিশার হাতটা তার হাত ছেড়ে যাচ্ছে! আর ধরা হবে না! কখনোই! আর কয়েকটা ঘন্টা মাত্র! সে পর হয়ে যাবে! সে মনে মনে প্রিয় হাতটা আঁকড়ে ধরে সবটা শক্তি দিয়ে.. অপার্থিব সুন্দর এক অনুভূতি সারা বোধে ছড়িয়ে যায়। কাটতে থাকে তার পৃথিবীর দীর্ঘতম সুখের রাত।

তিশাকে রাসেল নিজের মত করে না পাওয়াতে ঢাকায় চলে যাবার পরে দীর্ঘ এক মাস সময় পেয়েছিল ওরা দুজন। এই সময়টাতে রাসেলের ভালবাসার অদ্ভুত সব পাগলামোতে তিশা স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। রাসেল তিশাকে নিয়ে চিটাগং শহরে যে সব যায়গায় ঘুরে বেড়াতে চেয়েছে বিয়ের পরে, সেই পুরনো যায়গাগুলোতে তিশাকে যেতে হয়। সেখান থেকেই ফোনে রাসেল ও তিশা কাছাকাছি আসে। রাসেল ঢাকার সুউচ্চ বিল্ডিঙয়ের একেবারে টপফ্লোরে উঠলে তিশাকে সেই বাটালী পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় যেতে হয়। সেখানে ঘাসের উপরে শুয়ে থেকে তিশাকে আকাশ দেখতে হয়। আর মোবাইলের অদৃশ্য পথটি ধরে ঢাকার সুউচ্চ বিল্ডিঙয়ের ছাদে শুয়ে থেকে আকাশ দেখা রাসেল ওর কাছে চলে আসে। দুজনে ভিন্ন অবস্থানে থেকেও কিভাবে যেন কাছে চলে আসে। দীর্ঘ - দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে দুজনের নিঃশ্বাসের অনুভূতির অনুভবে দুটি মন এক বিচিত্রভাবে কিভাবে যেন তৃপ্তি পেতে চায়।

আবার একেবারে ভোরে টাইগার পাসের রাস্তা ধরে তিশাকে একা হেঁটে যেতে হয় কুয়াশা ভেদ করে, আর ওদিকে ঢাকার কোনো এক নির্জন রাস্তা ধরে রাসেল একাকী শীতের ভিতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে তিশার পাশাপাশি হেঁটে চলে অনুভবে কল্পনাতে। রাসেল শীতলক্ষ্যায় একাকী মাঝ নদীতে নৌকায় বসে থাকার সময়ে তিশাকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের এক নির্জনে থাকতে হয়। ওদের দুজনের সমুদ্রবিলাসের সামান্য কিছু মুহুর্ত হৃদয়ের টানাপোড়েনকে ছাড়িয়েও কিভাবে যেন মূর্ত হয়ে উঠে ভালোবাসায়-ভালোলাগায়। এভাবে কখনো কৈবাল্যধাম মন্দিরের সাথের সুউচ্চ কর্ণেল হাউসের পরিত্যক্ত জলসা ঘরটিতে একজন মেয়ে হয়ে তিশাকে উঠতে হয়। সেখানে বসে বঙ্গোপসাগরকে দৃষ্টির সামনে নিয়ে পাশে রাসেলকে অনুভব করে তিশা... কখনো ফয়েজ লেকে একাকী বোটের শান্ত লেকের গভীর জলের দিকে তাকিয়ে রাসেলকে পাশে পায়... চিটাগং কলেজের ক্যাম্পাসে একাকী হেঁটে চলে কভু... মিমি সুপার মার্কেটের মানুষের ভিড়ে রাসেলকে নিয়ে হারিয়ে যায়। এসবই ওদের হৃদয়কে কাছে পাবার ব্যকুলতায় হতে থাকে। কিন্তু দুজনেই জানে এভাবে বাস্তবতাকে ফাঁকি দিয়েই যাচ্ছে তারা। সেইসব স্মৃতি রাতের বুকে বইতে থাকে।

এক সময় কোন অযাচিত শব্দ কল্পনার পৃথিবী থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে রাসেল তিশাকে । তাদের শেষ রাতটা যাচ্ছে! রাসেলের গলার স্বর খুব ভারী লাগে তিশার কাছে। হৃদয়ের কথা মুখে এসেও কেন জানি বের হচ্ছিল না রাসেলের। মোবাইলের পাশে মাইলসের গান বাজিয়ে সে নিজের মনের কথাটা বলতে চায় – মাইলস এর শাফিন গেয়ে চলে-" বিস্ময় ছিলে তুমি স্বপ্ন আমার, কাছে পাবো না জানি তোমাকে তো আর, কাটতো সময় কত গল্প বলে, বলতে ভালোবাসি হাতটি ধরে, আমি ভুলবো না আমি ভুলবো না, আমি ভুলবো না তোমাকে, কেন থাকলে না কেন থাকলে না, কেন থাকলে না আমার হয়ে'!

গানটিকে আঁকড়ে মোবাইলের ভিতর দিয়ে দুটি একমুখী হৃদয় যা কিছু ঘন্টা পরে দিক হারিয়ে সম্পুর্ণ বিপরীত দিকে গতিলাভ করবে, কাছে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তিশা রাসেলকে জিজ্ঞেস করে, 'আমাকে ছেড়ে কিভাবে থাকবে তুমি?" এই কথায় রাসেলের হৃদয় পুড়ে যায় যেন, মোবাইলের ভিতর দিয়ে সেই জ্বলন্ত অঙ্গার এর আঁচ তিশার চোখেমুখে লাগে যেন। দীর্ঘক্ষণ ওপাশে কেউ আছে বলে ওর মনে হয় না। এরপর আজম খানের 'একটাই দুঃখ আমার, বোঝনি তুমি কখনো ' বাজে। তিশা গানের কথাগুলোর সাথে সাথে নিজেও কষ্টের গভীরে হারাতে থাকে। সে নিজেকে রাসেলের এই কষ্টের জন্য দায়ী করে। কিন্তু একদিকে পারিবারিক সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে ভালোলাগার মানুষটির বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকু শেষ হয়ে যাওয়াটা দেখে দেখে ভিতরে ভিতরে তিশাও শেষ হয়ে যায়।

রাসেল হঠাৎ জিজ্ঞেস করে, ' এখন ক'টা বাজে?' তিশা ঘড়ি দেখে বলে,' রাত এগারোটা'। কেন সময় জিজ্ঞেস করলো জানতে চায় তিশা। রাসেল বলে, ' তোমার জীবনে একজন আউটসাইডার হয়ে থাকতে হবে আমাকে... যতদিন বাঁচব এভাবেই এই অনুভূতি নিয়ে আমাকে থাকতে হবে।' তাই শেষবার তোমার একটু কাছে আসতে চাই। তিশা অবাক হয়। তবে এই চিন্তাটা একটু কি ভালোলাগার আবেশে ওকেও শিহরিত করে না? একটু কি নিষেধের গোপন বেড়াজাল ডিঙিয়ে কিছু একটা পাবার ইচ্ছেটা মনে জাগে না? তাই রাসেল যখন ওকে বলে,' আমি আমার গাড়ি নিয়ে এখুনি রওয়ানা হচ্ছি। তুমিও তোমার গাড়ি নিয়ে ঢাকার দিকে আসতে থাকো। মোবাইল চালু রেখে দুজনে দুজনের কাছে আসতে থাকি। যেখানে এসে দুজনের দেখা হয় হোক। শেষবারের মত আমি তোমার একটু সময় কাছে থাকতে চাই। একজন কাছের মানুষ হিসেবে মুহুর্তগুলোকে উপভোগ করতে চাই। একজন আউটসাইডারের ভূমিকা নেবার আগে তোমাকে খুব নিবিড় ভাবে কাছে চাই।

সময় নষ্ট না করে তিশা নিজে ড্রাইভ করে ঢাকার পথে বের হয়ে যায়। একজন মেয়ে যার কাল বিয়ে, কাউকে কিছু না বলে রাতের আঁধারে হৃদয়ে এক সুর্য আলো নিয়ে অন্ধকার দূরীভূত করে কালো পিচঢাকা পথ বেয়ে দ্রুত ছুটে চলে। একজন রাসেলের জন্য। একজন আউটসাইডারের জন্য। যে আগামীকাল থেকে তার জীবনে একজন আউটসাইডার বই তো কিছুই থাকবে না।

আসলেই কি তাই? যতই সামাজিক সম্পর্কগুলোর নিগড়ে নিজেদেরকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, হৃদয়ের ভিতরের গোপন যায়গাটুকু থেকে ভালোলাগার মানুষেরা কি কেউ কখনো আউটসাইডার হয়?

রাসেলের মোবাইলে বাজছে সুমনের সেই কালজয়ী গান, ' নিঝুম অন্ধকারে তোমাকে চাই...
আর গাড়ির গ্লাস খোলা থাকায় দুরন্ত বাতাস তিশার চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিচ্ছে... কালো পীচঢালা রাস্তা ধরে দুর্ণিবার সাদা গাড়িটি ওকে নিয়ে ছুটে চলেছে... সামনের দিকে... জীবনের দিকে...। যে জীবনটার এই পর্বটুকু আর অল্প কিছু সময়কে ধারন করে আছে। গালের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোনা জলে বাতাসের মৃদু স্পর্শে শীলততার পরশ বইয়ে দিয়ে যাচ্ছে তিশার অনুভূতিতে। একপলক ওর মনে এই ভাবনাটার উদয় হয়,' কি হয় আর ফিরে না এলে? দুটি গাড়ি পাশাপাশি কেবলি সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ক্ষতিটা কোথায়? কিন্তু জীবন তো আর সাময়িক ইচ্ছের কাছে বিবশ অনুভূতিতে প্রলুব্ধ হওয়া কোনো অনুভূতি দ্বারা চালিত হয় না। জীবন কোনো সাদা গাড়ি নয় যা কেবলি সামনে এগিয়ে যাবে। মাঝে মাঝে সময়ের প্রয়োজনে তাকে ব্রেক করতে হয়... থামতে হয়... পথ হারিয়ে এঁকেবেঁকে চলতে হয়। একটা দীর্ঘশ্বাসের সাথে তিশার হৃদয় থেকে অস্ফুটে বের হয়ে আসে,' আহ! জীবন!!'
(শেষ)

৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×