"নগর বাউল জেমসের
একটা গাঁন আছে। পথের
বাপই বাপরে মনা, পথের
মা-ই মা, এই পথের
ভীড়ে খুজে পাবি আপন
ঠিকানা। দীর্ঘ
দেড়মাস ঠিক এমন
সময়(রাতে) নীরবে
জেমসের গাঁনটা
শুনতাম আর একা একা
কাঁদতাম। কারণ
কাজের শেষে এমন
রাতেই "বেলায়েত
ভাইকে ফোন দিয়ে
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা
বলতাম। দীর্ঘ দেড়মাস
যতবারই ফোন
দিয়েছি, ওপারপ্ৰান্ত
থেকে শুধু বলেছে
দুঃখিত এই মুহুর্তে
সংযোগ দেওয়া সম্ভব
না। সম্ভব হবেই কি
করে, দীর্ঘ দেড়মাস
ভাই আমার জেলে
ছিলো, তবোও মনকে
শান্তনা দিতে কল
দিতাম। যে লোকটা
সিগারেটই খায়না,
তাকেই মাদক মামলা
দিয়ে দেড়মাস আটকে
রেখেছিল অনেক
কাটখড় পুড়িয়ে কষ্টের
পর বেলায়েত ভাই
জামিনে মুক্তি
পেয়েছে। ২৯ তারিখ
সকাল থেকেই খুব
এক্সাইটেড ছিলাম,
ছাড়া পাবে কি পাবেনা,
বিকাল বেলা ফেবুতে
ঢুকে প্ৰথমে মিৰ্জা
সোহান ভাইয়ের
স্ট্যটাসে দেখে মুখ
থেকে উচ্চারণ করলাম
আলহামদুল্লিল্লাহ,, ঐ
স্ট্যাটাস থেকে
নিশ্চিত হলাম
বেলায়েত ভাইয়ের
জামিন হয়েছে!
বেলায়েত ভাইয়ের
মুক্তির জন্য মির্জা
সোহান ভাইয়ের
অবধান চিরস্বরণীয়
হয়ে থাকবে, আমার মা
মারা যাওয়ার পর পথের
মানুষের আদরে বড়
হয়েছি দেখেছি,
চিনেছি, কে কত্ত
আপন, এইপথ যে
ভাইদের পেয়েছি
জীবনে তাইইই অনেক
কিছু!!
.
"জীবনের স্ৰোতে
ভেসে ভেসে,
ফেসবুকের হাজারো
স্ট্যাটাসের মতো
হারিয়ে যাবো সবাই,
তবে ভালোবাসাটা
টিকে থাকবে ব্লগের
প্ৰিয়পোষ্টের মতোই
হৃদয়ের গহীনে, আপনার
অনুপস্থিতে কেউ
আপনাকে মিস করছে
তা হয়তো আপনি
বুঝবেন না, কিন্তু
এটাই সত্য একদিন
ভালোবাসা প্ৰকাশ
পাবে গুগলের সাৰ্চিং
রেজাল্টের মতোই//
.
"সকলের কাছে
বেলায়েত ভাইয়ের
জন্য দোয়াপ্ৰাৰ্থী,
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮