"ঠ্যাস,, ঠ্যাস,,
ঠ্যাস,,., মুড়িরটিন
মার্কা লোকাল বাসের
শব্দের মতো শব্দ
শুনলেই কলোনীর
কারো বুঝতে কষ্ট
হয়না, সুমন সাহেব
আশারাম বাপুর মতো
টয়লেটে ধ্যানমগ্ন!
কারণ ঠ্যাস... শব্দ
সুমন সাহেবের বায়ূর
শব্দছাড়া আর কারো
হতেই পারেনা! এই
জন্য অবশ্য কলোনীর
যুবতী//মহিলারা সুমন
সাহেবের প্ৰতি
প্ৰচণ্ড ক্ষুদ্ধ যেমনটা
মানুষ ক্ষুদ্ধ থাকে
লোকাল বাস
ড্ৰাইভারদের! ঊফ
হাগতে এত্ত সময়!!?
.
"কেউ রাগ করলো কে
ক্ষ্যাপলো তা দেখার
টাইম সুমন সাহেবের
নেই। উনি কি যা তা
মানুষ? টয়লেটে কি
উনি শুধু হাগতে যান
নাকি?! উনি টয়লেটে
ঢুকে বায়ূ ছেড়েই স্যার
হুমায়ুন আহমদের মতো,
"লিলুয়া বাতাসের মতো
সাহিত্য রচনা করেন"
হাগু বের হলে
আনস্টাইনের মতো খপ
কর ধরে, লম্বা, গোল,
দৈৰ্ঘ, প্ৰস্থ্য, মেপে
কালারটা দেখেই
তারপর কমোডে
ফেলেন!! এখনো স্পষ্ট
মনে আছে যেদিন সুমন
সাহেব প্ৰথম মাহমুদ
সাহেবের সাথে মিট
করতে যায়, লাঞ্চের
সময় দীৰ্ঘ ২০ মিনিট,
মাহমুদ সাহেব অপেক্ষা
করেছিল সুমন
সাহেবের জন্য।!! না
অন্য সবার মতো
মাহমুদ সাহেবের খোমা
মোবারকে বিন্দুমাত্ৰ
অসস্তির চিন্থও দেখা
যায়নি,হয়তো উনিও
দীৰ্ঘ সময় নিয়ে
টয়লেটে বসে সুমন
সাহেবের মতো
বিজ্ঞান ও সাহিত্য
চর্চায় ব্যাস্ত থাকে।।
আসলে সবারই উচিত
এমনটা করা! কারণ
আনস্টাইন যদি
প্ৰতিদিন আপেল
গাছের নিচে না হাগতো
মধ্যাকৰ্ষণ সুত্ৰ
সম্পর্ক কেঊ
জানতোনাই। কোষ্ঠ
কাঠিন্য রোগী, রবি
ঠাকুর বলতোনা, "বল
দাও মোরে বল দাও,
শরীরে দাও শক্তি
জোরে জোরে কুতানী
মারি তাড়াতাড়ি হাগু
করি! আহ কি অনবদ্য
সাহিত্য! রবি ঠাকুর
টয়লেটে না গেলে
জাতির ছা-বাচ্চারা
কোথায় পেতো এমন
ঐতিহাসিক সাহিত্য?
.
বাবা সুমন তোর পায়ে
ধরি ২টা মিনিটের
জন্য একটু বাইর হ"
মধ্যবয়সী নারীর
আকুল আবেদনে
ভাবনায় ছেদ পড়লো,
বিজ্ঞানী এবং
সাহিত্যিক সুমন
সাহেবের
মহিলাদের উত্পাতে
সুমন সাহেব দিনের-
বেলা খুব কমই হাগেন,
রাতে চলে যান পাশের
খালপাড়ে, ভরা
পুৰ্নিমায়, আহ কত্ত
মজার হাগু :-) :-) পানিও
গরম!,, আসলে খোলা
পরিবেশ ছাড়া,
সাহিত্য বলেন আর
বিজ্ঞান চর্চা বলেন
কোনোটাই ঠিকমত
হয়না! গবেষণগার
(টয়লেট)থেকে সুমন
সাহেব বের হওয়ার
সাথে সাথে মহিলা এমন
ভাবে তাকিয়েছে
যেমনটা রাজনৈতিক
নেতারা কুষ্ঠ রোগীর
মতো প্ৰতিপক্ষের
দিকে তাকায়//
.
"ভাগ্যিস সুমন সাহেব
রাজনীতি করেনা,
করলে হয়তো, উনার
বায়ূ,কে পারমানবিক
বোমা বানিয়ে
নাশকতার দ্বায়ে ধরে
নিয়ে জেলে ভরে
আণ্ডা থেরাপী দিতো!,
আর অভাগা এই
বাঙ্গালী জাতি
হারাতো সুমন সাহেবের
মতো ক্ষণজন্মা এক
ঊজ্জল নক্ষত্ৰকে!