ডেসটিনি গ্রুপ দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। সরকার প্রত্যেক পরিবারের একজনকে কাজ দেওয়ার যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণে ডেসটিনি বদ্ধপরিকর। লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ডেসটিনি-২০০০ লিঃ-এর সেলস টিম গ্লোরিয়াস অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে আয়োজিত এক্সক্লুসিভ গ্লোরিয়াস ট্রেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জে আলী। ট্রেনার ছিলেন ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ রাজীব মিত্র। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ আব্দুল করিম মুকুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেলিম আশরাফ।
দেশকে স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেটি অতুলনীয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতির জনককে সবকিছুর ঊধর্ে্ব রাখতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও ক্ষুধামুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ডেসটিনির প্রত্যেকটি ডিস্ট্রিবিউটর উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সেই অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে লড়াই করছেন। পত্রিকায় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হবে, ডিস্ট্রিবিউটররা ততই সংঘবদ্ধ হবেন।
পত্রিকায় মানিলন্ডারিংয়ের আষাঢ়ে গল্প লেখা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি কোনো মানিলন্ডারিং করেনি। কোম্পানি অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান থেকে বেস্ট এয়ার, আনন্দ সিনেমা হল, নাহার জুট মিল, রিয়েল স্টেটসহ অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কো-অপারেটিভের টাকা সুদের ওপর লাগিয়ে সুদ খাবে না। টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এখন বিনিয়োগ থেকে লাভ হবে কি হবে না; এটি দেখা তদন্ত সংস্থার কাজ নয়। তাদের কাজ দুর্নীতি তদন্ত করা। এটি দেখার জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত পরিষদ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ নাকোচ করে দিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, টাকা ঢাকার বাইরেই গেল না, তাহলে মানিলন্ডারিং হল কীভাবে?
সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে রফিকুল আমীন বলেন, জনস্বার্থবিরোধী কিছু লেখার আগে অনুসন্ধান করে যাচাই-বাছাই করুন। মনগড়া, বিভ্রান্তিকর তথ্য পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এতে সংবাদিকদের ওপর জনগণের বিরূপ মনোভাব হবে। তাছাড়া সমাজে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।