কাল সুতি বাধ্য হয়েই তার নিজের হাতে পেটের বাচ্চাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে এসেছে! :-(
কাঁদতে কাঁদতে যখন ঘটনাটি ফোনে বলছিলো তখন মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম!
সুতি পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে। ছেলেটি প্রভাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১ বছর ধরে একসাথে থেকেছে।
শেষমেশ সে বুঝতে পারলো সবই মিথ্যা। সুতি প্রেগন্যান্ট বুঝতে পেরে ছেলেটি লাপাত্তা। আর তাই বাধ্য হয়েই ওই কাজ করেছে সে.....
.
গত বছর ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিলো ইস্ট ওয়েস্ট ভার্সিটিতে পড়া অনন্যার সাথে।
.
ছেলেটি যখন জানতে পারে যে, অনন্যা প্রেগন্যান্ট তখনি সে তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে। এমনকি সম্প্রতি অন্যত্র বিয়েও করে নেয়।
.
অনন্যা শত আকুতি মিনতি করেও যখন তার গর্ভের বাচ্চার স্বীকৃতি আদায় করতে পারলো না, তখন বাধ্য হয়েই এবরোশন করে বাচ্চাটিকে মেরে ফেলে।
.
নিজের স্ব-ইচ্ছায় সন্তান হত্যার লজ্জা ঢাকতে বাসায় ফেরার সময় সে পয়জন কিনে নিয়ে গিয়েছিলো রাতে তা খাবে বলে....কিন্তু জীবনের মায়া ছাড়তে পারেনি বেচারি.....
.
একজন পুরুষ রুপী অমানুষের মাত্র '৫ মিনিটের' সুখের পরিনতি কত কঠিন সাজা!!
.
গত বছর ওই রাতে অনন্যা সুইসাইড করলে আমরা কিন্তু তাকেই বেহায়া ও পাপী বলতাম!
.
কণা, ঢাকার খিলগাঁও থাকে। ৪ বছর আগে পরিচয় হয় ২৯ তম BCS এর শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে। গোপনে বিয়েও করে কণাকে।
.
যখনি কণার গর্ভে বাচ্চা আছে বুঝতে পারে তখনি সে নানান তাল বাহানা করে। এক পর্যায়ে হারিয়ে যায় কণার জীবন থেকে। সামাজিক লজ্জাবোধের কথা ভেবে বুকে পাথর বেধে কণা নিজের সন্তান কে হত্যা করে।
.
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নুরুল ইসলাম এখন বগুড়ায় কোন একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে আছেন, অনেক মেয়ের সাথেই তার অবৈধ সম্পর্ক।
.
হয়তো আগামীর পরিমল হিসেবে এই কুৎসিত লোকটাও আত্মপ্রকাশ করবে....
.
এদিকে কণা প্রতিদিনই একবার করে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকায়, হয়তো একদিন তার আত্মহত্যার নিউজও পত্রিকায় ভাসবে....
.
এখানেও কি কণাকেই আমরা দায়ী বলবো!!??
.
দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিশি। এক
রাজনীতিবিদের চোখে পড়ে। পরবর্তীতে তার সাথে চলমান সম্পর্ক কিন্তু দুদিন পরেই মন ঘুরে গেল আর সে নতুন পাখি খুঁজতে লাগলো!
.
রাজনীতিবিদরা যে প্রেমের ক্ষেত্রেও দ্বিমুখী সেটাই প্রমাণ করলো...
.
এ অবস্থায় ছেলেটিকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট রাখতে মেয়েটা তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। ফলস্বরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্সির এবোরশন করাতে গিয়ে সারাজীবনের জন্য সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারিয়েছে নিশি। তার সেই প্রেমিকটিও অন্যকে বিয়ে করেছে তাকে ভুলে।
.
একই ঘটনা ঢাবি পড়ুয়া আফরিনের। বয়ফ্রেন্ড দেখতে হ্যান্ডসাম অনেকেই তাকে চায় ফলে কোন এক নির্জনতায় নিজের সর্বস্ব জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।
.
পরে প্রেগন্যান্সির খবর তার বয়ফ্রেন্ড মেনে না
নিয়ে উল্টা তাকে অন্য এক ক্লাসমেট কে বিয়ে করতে বলে। বাসা থেকেও ভাইয়েরা বের করে দিলে এক বান্ধবীর সহায়তায় সে যাত্রায় বেঁচে যায়, কিন্তু আজো আফরিন ঘরছাড়া!
.
(উপরের দেওয়া ৫ টি ঘটনা-ই সত্যি)
.
এখন আমার প্রশ্ন হল দুটো-
১. মানুষ যদি ভালোবেসে সারাজীবন একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখে, তো কেন সেক্ষেত্রে কেউ কারো প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল হয়ে থাকেনা???
.
২. ভালবাসা টা কি কেবল শারীরিক হয়, মনের মধ্যে হয়না?
.
আধুনিক নাটক কিংবা মুভি গুলো নিয়মিতই সেক্সিজমকে প্রমোট করে যাচ্ছ। কিছু নামি দামি কথিত ফিল্ম ত্রাণকর্তাগণ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে....
.
যাহোক, প্রেম করার আগে মানুষকে চিনতে শিখুন....
.
আরে, কিছুদিন চললেই বুঝা যায় যে মানুষ টা কি চায়!!! সেখানে মনের যে আবেগই কাজ করুক না কেন নিজের সর্বস্ব দিয়ে কাউকে আটকে রাখার কোণমানেই হয় না!
.
আমাদের সমাজে এখন সম্পর্ক মানে হল লিভ টু-গেদার। কোন ভালোবাসা নেই, বরং মেয়েরা এখন একটা সেক্স টয় আর ছেলেরা প্লেবয়!
.
তাই বেশিদিন এক খেলনা দিয়ে খেলতে ভাল লাগেনা কিছু কিছু ছেলের। তাদের নিত্যনতুন খেলনা চাই।
.
এসব ছেলেরা আমার ভাষায় একধরণের "মেইল
প্রস্টিটিউট"
.
এরা নিজেদের রেট তুলে ধরে মেয়েদের সার্ভিস দেয় বাট কাজের স্বীকৃতি টা অন্যভাবে আদায় করে।
.
এরা বিকৃত রুচির মানুষ যাদের কাছে নিষ্পাপ শিশুরাও নিরাপদ না। শুকর প্রজাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এরা, যারা মনে করে তাদের জন্মই হয়েছে পুরুষত্বকে কাজে লাগানোর জন্য।
.
আমার কথা হলো- যদি পরিণতি না দিতে পারেন তবে সে সম্পর্ক শুধু শুধু নোংরা করবেন না। আজ আপনি একটা মেয়ের জীবন ধ্বংস করবেন, কাল আপনার স্ত্রী হিসেবে হয়তো এমন কোন মেয়ে আসবে আপনি জেনেও কিছু করতে পারবেন না।
.
কিংবা আপনারই বোনের সাথে একই ঘটনা ঘটতে পারে তখন শুধু মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকবেন!
.
আর আপুরা....সেন্টিমেন্টাল হয়ে নিজের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা স্বেচ্ছায় অপাত্রে দান না করে নিজের মূল্যায়ন করতে শিখুন। যা হারাবেন তা হারিয়ে যেন পস্তাতে না হয়।
.
আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত শুধু নিজের জীবনটা ধ্বংসের কারণ হবে তা নয় আরো অনেকগুলো জীবনকে শেষ করে দিবে।
.
নিজের সাথে পরিবারের কথা ভাবুন। আপনি নারী বা পুরুষ যাই হোন না কেন, যে কোন দুর্ঘটনা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য অসম্মান, বিড়ম্বনা আর বিকারগ্রস্ততা নিয়ে আসবে।
.
প্রতিটি মানুষের জীবন তার নিজের হলেও তার সাথে যারা জড়িয়ে আছে তাদের কষ্ট দেয়ার অধিকার কারো নেই।
.
অন্যথায়,
একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না.