somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুগ্ধ পাঠক - ৪ : রাগ ইমন এবং তার অযুত নিযুত পাগলামি (ছাগলামি নয়)

০২ রা মে, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাইয়াডা বদ্ধ পাগল! এক্কেবারে উন্মাদ!!!

দয়া মায়া, করুণা আমার খুব একটা আসে না। তাই, করুণা না কইরাই কই, এইরম বদ্ধ উন্মাদ আমি দ্বিতীয়ডা দেখি নাই। চিন্তা ভাবনা অসংলগ্ন। মাঝে মাঝে মনে হয়, নেশা টেশা করে মনে হয়। কখনও পুরোপুরি শিওর হয়ে যাই, নেশা না করলে এইরকম আউলা কেউ হইতে পারে না।

নেশা তো সে অবশ্যই করে, তয় কফসিরাপ, ডাইল, ফাইল খায় না, গাঞ্জাও খায় না।
কী বললেন, হেরোইন?
আমার মনে হয় না। আমার মনে হয়, মাইয়াডা কবিতার নেশা করে।

বিশ্বাস করলেন না তো?

জানি করবেন না। আপনারা চরম অবিশ্বাসী রে ভাই! প্রেমিকারে বিশ্বাস করেন না, গভমেন্টরে বিশ্বাস করেন না, জলপাই মামুগো বিশ্বাস করেন না, ঈশ্বর বিশ্বাস করেন না।
আপনাগো দিয়া কিছু হইব না!

আমি আবার সবকিছু বিশ্বাস করি এবং যা বিশ্বাস করি, মন থেকেই করি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাগ ইমনের মাথায় সমস্যা আছে। সমস্যাটা তৈরী হইছে কবিতার নেশায়।

নাইলে, জ্বরের ঘোরে স্বপ্নভূখ মাইনষের মত অমন রাত জাইগা কেউ লিখবার পারে, 'কামসূত্র শিখতে চাই?'

মেয়েটা আবার বিশ্বপ্রেমিক। অন্তত: অনেকে তাই মনে করে। আমি তো ব্যাপারটার মধ্যে খারাপ কিছু দেখি না। আমার মইধ্যে যেদিন প্রেম শেষ হইয়া যাইব, সেইদিন তো আমি শ্যাষ (হাসান ভাই আর মারজুক এর মত কইলাম)।

আর বিশ্বপ্রেমিক হইলে, 'আলিঙ্গনে এসো, বৃষ্টির ছাদে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমা দেখি' র মত কবিতা যদি লেখা যায় তাহলে আমি এই জনম, পরের জনম, তার পরের শত শত জনম বিশ্বপ্রেমিক হইয়াই থাকব। সমস্যার কিছু দেহি না।

ভাল লাগল না আমার কথা? ঠিক আছে, ঐ কবিতার কয়েকটা লাইন তুইলা দেই। ভাল লাগবোই। লাগবা বাজী?

'মহাকালের পাখা যখন নিরব সমাহিত,
ফোটা ফোটা আকাশ পীযূষ ঝরছে রাতের বুকে
তোমার অধর আমার ঠোঁটে রেখো সমর্পিত।'

ভয়ংকর কবিতাও আছে - 'এখনও তুমি পাড় মাতাল'।

তয় মাইয়াডা মাঝে মইধ্যে মনে হয়, মাথায় তেল দেয় । তখন কয়েকঘন্টা মাথাডা একটু ঠাণ্ডা থাকে। তখন সে লেখে - 'অরূপ ও মাশীদকে : ছন্দ যাদের সাতরায় রক্ত, আমিও ওদের ভক্ত।'

উথাল পাথাল প্রেমে মনে হয় একবার পড়ছিল। তখন একটা লেখা লিখছিল : 'ভালবাসার চাদর।'
লেখাটা পইড়া অনেকক্ষণ কাঠ হয়ে চেয়ারে বইসা ছিলাম। নড়তে চড়তে পারি নাই। কিছু ভাবতেও পারি নাই। এইরম কইরা কেমনে মাইনষে ল্যাখে - এইডা ভাবতে ভাবতেই দিন পার হইছিল।

সেই উথাল পাথাল প্রেম মনে হয় কয়দিন পরে ভাইঙ্গা যায়।
তখন কী কষ্ট নিয়া, চোখভর্তি জল নিয়া সে ল্যাখে : 'আমাকেই আমি ধারণ করি না।'

কবিতাডা পইড়া ইমনের জন্য একটুও কষ্ট হয় না। কষ্ট হয় পোলাডার জন্য। আহারে বেচারা! জানে না, কী জিনিস হারাইল!!!

তয় মাইয়াডা একেবারে পোলাপাইন। প্রোফাইলে যে বয়স সে লিখত, তার ধারেকাছেও বয়স না। নয়তো - 'আপনারাই কন, আমি কী মুখোশ খুলে দেব?' - এই লেখা লিখতে পারে? লিখলেও কমেন্ট করার সময় একটু বুঝে শুনে করবে না। ব্লগের যারা পুরনো- তাগো আজাইরা খ্যাপাইয়া দিল!!!

ইমনরে কী আর কমু? কিছুই বাকি রাখি নাই। ওর তারছিড়া, স্ক্রু ঢিলা। ও ফাউল, পুরা ফাউল।

'কী কইলেন?'
ও আচ্ছা, এই তারছিড়া মাইয়ডার মুগ্ধ পাঠক আমি ক্যামনে হইলাম, এইডাই তো আপনাগো প্রশ্ন।

আছে, কারণ আছে:

আমি পাগল হইয়া মাইনষের পায়ের কাছে বইসা থাকি, তাগো ভেতরের পাগলডারে দেখব বইলা , যখন দেখি তখন মুগ্ধ হই।

আমি এইরকম!!!

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০০৭ রাত ১০:২৬
২৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×