কিন্ত এইবার হল না কেন ? কিছু মাথায় ডুুকছে না। তাহলে কি সৌদিআরব গাজা খেয়ে এইবার ঈদের চাঁদ দেখেছিল ?
নাকি আমরা গাজা খেয়ে চাঁদ দেখতে বসেছিলাম।
কেহ কেহ আবার বলছেন এই ঈদের চাঁদ দেখা বা কাল বাংলাদেশে যাতে ঈদ না হয় সে জন্য দেশের বড় ড়
ঈদ সামগ্রী ব্যবসাহীরা কুুটি কুুটি টাকা দিয়েছেন । কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে ।
তাহলে কি সৌদিআরবের আকাশে আমাদের দেশের দুইদিন আগে চাঁদ উঠে ?
আমাদের নিশ্চয় পবিত্র লাইলাতুল কদরের ইতিহাস জানা আছে ।
৬১০ সালে শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত ইসলামের ধর্মের মহানবী, হযরত মুহাম্মদের ( সঃ) নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। কোন কোন মুসলমানের ধারণা তার নিকট প্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। অনেকের মতে এই রাতে ফেরেশতা জীবরাইল এর নিকট সম্পূর্ন কোরআন অবতীর্ন হয় যা পরবর্তিতে ২৩ বছর ধরে ইসলামের নবী মুহাম্মদের নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়।মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মী গ্রন্থ আল কোরআনে সূরা ক্বদর নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।ইসলাম ধর্ম মতে, মুহাম্মদ এর পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারনে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কোরান ও হাদীসের বর্ননায় জানা যায়, ইসলামের চার জন নবী যথা আইয়ুব, জাকরিয়া , হিযকীল ও ইউশা ইবনে নূন প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি।কিন্তু মুহাম্মদ থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দুর করার জন্য সুরা ক্বদর নাজিল করা হয় বলে হাদিসের বর্ননায় জানা যায়।
নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)
আমি যতটুকো মনে করি বা বুঝি আমরা যদি পবিত্র কুরআনের ভাষ্য মতে এই পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাত্রিকে বিশ্বাস করি
তাহলে আমাদের উচিত যেদিন সৌদিআরব রোযা শুরু করবে আমাদেরও সেদিন শুরু করা । কেননা পৃথিবীতে চাঁদ কিন্তু একটাই
অর্থাৎ চাঁদের হিসেব অনুযায়ী রোযা ও লাইলাতুল কদর । ঠিক সে অনুযায়ী সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে একই দিনে আমাদের
ঈদ উদযাপন করা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ১০:১২