আগে ছিল কি না সেটা আমার জানা নেই,তবে ২০১৩ থেকে ২০১৪ থেকে যা দেখে আসছি তাতে বলতে হয়,
বাংলাশের রাজনীতে কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নেই আছে যা শুধু ঘৃণ্য সমৃদ্ধ কাজ কর্ম। দেশ চলছে বড় বড় কিছু
রাগব বোয়াল আর শীর্ষ নেতা ও প্রধান মন্ত্রীদের ইচ্ছায় । আর তাদের বিরুদ্ধে কেও গেলেই হয়ত তাকে হতে
হচ্ছে খুন নয়ত ঘুম ।শুধু এখানেই শেষ নয় ২০১৩,বা ১৪ থেকে দেখে আসছি, হরতাল আর অবেরোধের নামে
সহিংস অপরাজনীতির শিকার দেশের আমরা সাধারণ মানুষেরা, এদের মধ্যে আমরা কেউ রাজনীতি করে আবার
কেউ রাজনীতি করি না এমনকি এর সুবিধাভোগীও নই। অথচ সেই অপরাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আজ
আমরা দেশের সাধারন মানুষেরা দিশেহারা,এমনকি নেই আমাডের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পযন্ত। সকালে কর্ম
জীবনের উদ্ধেশে ঘর বের হয়ে রাতে স্বাভাবিক ভাবে ঘরে ফিরতে পারবো কি না তার গ্যারান্টিও কেও দিতে পারছিনা।
দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত আমাদের এই ভূ-খণ্ড বা এইদেশ। বিশ্ব দরবারে গর্বিত ইতিহাসের
একটা নাম বাংলাদেশ। আর সেই মাটিতেই এখন রাজনৈতিক নামে দেশজুড়ে চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং কখনো
কখনো চোরাগোপ্তা পেট্রোল বোমা হামলা। এর জন্যই কী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর শহীদেরা।
রাজনীতির নামে মানুষকে জিম্মি করা ও হত্যা করাই যেন আমাদের জন্য এ সময়ের সেরা হাল ফ্যাশান হয়ে দাড়িয়েছে।
শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের জেদের বলি হবে আর কতো সাধারণ মানুষ? এটাও একটা অগণিত হিসাব।
একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পাকসেনাদের পরাজিত করেছিলো এদেশের মুক্তিপাগল বীর বাঙালি।
সেই দেশই আজ যেন ভুগছে যোগ্য নেতৃত্ব-সংকটে। জনগণের কথা বলে রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদরা পরিণত হয়েছে গণতন্ত্রের ব্যবসায়ীদের যা এখন খুবই ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে দেশের এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে কি না। তিনি চাইলেই দিতে পারেন দেশের এমন অবস্থা থেকে সাধারন মানুষদের রেহাই দিতে ।
তাই সকল রাজনীতি নেতা ও দেশের প্রধানদের কাছে আকুল আবেদন করছি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের লেবাসে অপ-রাজনীতির চর্চা বন্ধ
করে,দেশে সঠিক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯