আমরা সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। সামুও কোন এক অসাধু লোকের কারণে সমস্যায় জর্জরিত। আমরা কোথায় যাব? আমাদের যাবার জায়গা নেই।
আমাদের ছোটবেলা আজকাল আর খেলার মাঠে কাটছে না, বর্ষাকালে শাপলা তুলে কাটছে না, আমরা আর আম গাছে চড়তে পারছি না, জাম খেয়ে মুখ রাঙ্গাতে পারছি না। আমাদের ছোটবেলা এখন ভিডিও গেমে আবদ্ধ। আমার বাচ্চাটি কান্না করছে তার হাতে ইউটিউব ধরিয়ে দিচ্ছি। আমার বাচ্চা মোবাইল ছাড়া খাবেই না। আহ! বাচ্চা গুলোর শৈশব চার দেয়ালে বন্দি।
আমরা নিরাপদ নই। আমরা নিরাপদ নই আমাদের প্রতিবেশীর থেকে, আমরা নিরাপদ নই নিজের পরিবার থেকে, আমরা নিরাপদ নই তাদের থেকে যাদের আমরা সব থেকে নিরাপদ ভাবি। আপনি ধার্মিক, আপনার আদরের ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরে দিতে চান? সেখানে তারা নিরাপদ নয়। আপনার ফুটফুটে সুন্দর মেয়েটিকে ছাড়বে না। আপনার ছেলেটিকেও ছাড়বে না। স্কুলে পাঠাবেন? ছেলে-মেয়েকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী করতে চান? পারবেন না। ওরা কেড়ে নিবে আপনার ফুটফুটে সন্তানের শৈশব।
আমরা ছোট ছোট জিনিসে বড় নজর দিতে শুরু করেছি। কিন্তু আমাদের চোখের আড়াল হয়ে যাচ্ছে বৃহৎ জিনিসগুলো। আমরা রক্তের নেশায় জর্জরিত। দেশে দেশে যুদ্ধ, হাহাকার। হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া, কিন্তু আমরা পরে আছি কে কে ইহুদি-নাসারাদের দালাল তাদের খুজতে।
স্কুল-কলেজে আজকাল পড়াশুনা হচ্ছে না। প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, ছাত্ররা গার্ডিয়েনরা তা লুফে নিচ্ছে। ছাত্ররা রাজনীতিতে জড়িয়ে পরছে। অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের নামে স্লোগান দিচ্ছে। যাদের হাতে কলম থাকবার কথা তাদের হাতে অস্ত্র দেখা যাচ্ছে।
হাসপাতাল গুলো দুর্নীতি গ্রস্থ, আমাদের অফিস গুলো দুর্নীতি গ্রস্থ, আমাদের আদালত গুলো দুর্নীতি গ্রস্থ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দুর্নীতি গ্রস্থ। কিন্তু আবার আমরা ফিরব কবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬