somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আপেক্ষিক মানুষ
লেখক হওয়ার ক্ষুদ্র ইচ্ছা মাঝে মাঝেই মনের ভিতর সুড়সুড়ি দেয়। তাই মাঝে মাঝে লিখতে চেষ্টা করি। তবে সামুতে লেখা বা মন্তব্য করায় বড়ই অনিয়মিত। তবে নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। পেশায় আমি একজন ছাত্র। দেশের কোন একটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মধ্যে আছি।

স্বপ্নেও সামুকে দেখি!

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নানুবাড়ির পাশে একটি বাড়িতে সামুর ব্লগারদের গেট টুগেদার হবে। আর আমি নানুবাড়িতেই ছিলাম, খুব বৃষ্টি হচ্ছে। আমার যাবার জন্যে মন আঁকুপাঁকু করছে। আম্মু আমাকে গেট টুগেদারে যেতে দিবে না। তার কথা, তুই সেখানে গিয়ে কি করবি। সামহোয়্যারইন ব্লগে অনেক বড় মাপের লেখকেরা আছেন জ্ঞানী মানুষেরা আছেন যাদের পায়ের কাছে যাবার যোগ্যতাও তোর নেই। তুই তো লিখতেই পারিস না ঠিক মত, বানান ভুল হয়। এমনিতে তোর বয়স কম, সবে মাত্র ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়িস, ব্লগের কেউ তোকে চিনে না। আর তুই তো ব্লগার না, আমাবশ্যার চাঁদ!

আমি বললাম দেখ আম্মু তুমি যাই বল আমি যাবই। আমি না লিখলেও, মন্তব্য না করলেও আমি লেখা পড়ি নিয়মিত। সামুর সব জনপ্রিয় ব্লগারদের নিক আমার নখদর্পণে।

আম্মু তাও যেতে দিবে না। কিন্তু আমিতো যাবই, যেতেই হবে। সামুর ব্লগারদের লেখা পড়ে তাদের নিয়ে কত কল্পনা করেছি, তাদের একবার হলেও সামনে থেকে দেখতে চাই, লুকিয়ে হলেও।

আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ছাদে গেলাম, তারপর ছাদের পাশের সুপারি গাছ বেয়ে নিচে নেমে গেলাম। আমি সুপারি গাছে চড়তে বা নামতে পারিনা। কিভাবে নামলাম কে জানে! গাছ থেকে নেমেই ঝুম বৃষ্টির ভিতর দিলাম এক দৌড়। চলে গেলাম খাল পারে। খাল পারে আসতেই বৃষ্টি নেই আর! ওখানে একটা পরিত্যক্ত ছোটখাট জমিদার বাড়ি আছে, সেখানেই গেট টুগেদার হবে। বাড়িটা সবুজে ঘেরা। আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারিকেল, জাম, জারুল সব ধরনের গাছের সমাহার। বাড়ির দুইপাশে জঙ্গল, সামনে খাল আর পিছনে একটা পুকুর, জমিদারদের পুকুর!

আমি খালের উপর বাশের পুল পার হয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে জঙ্গলের দিকটায় চলে গেলাম। যাবার সময় সামনে পড়ল পড়ল চাঁদ গাজী। তিনি এদিক ওদিক পায়চারি করছেন। আমার দিকে একবার তাকালেন আবার নিচে তাকিয়ে পায়চারি শুরু করলেন।কিন্তু বোধয় মনে মনে বললেন, এইসব প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের ডোডো গুলো এখানে কি করছে, এটা ব্লগারদের গেট টুগেদার, ছোকরা ইজ নট এলাউড।

আমি জঙ্গলের দিকটায় গিয়ে নিজেকে আড়াল করলাম। দেখতে পেলাম সামুর প্রতিষ্ঠাতা জানা আপুও এসেছেন। খুব ব্যস্ত। ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছেন।

একপাশে সনেট কবি, স্রাঞ্জি সে, সেলিম আনোয়ার, মনিরা সুলতানা, বিদ্রোহী ভৃগু, খায়রুল আহসান, জাহিদ অনিক এরা বসে কিসব কবিতা নিয়ে কথা বলছে। হঠাৎ হাসান কালবৈশাখি ভাইয়ের গলা শুনলাম, আরেহ আমাদের সরকার স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে, পদ্মা সেতু করেছে। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সাহেব বললেন মালয়েশিয়া দেখছো মিয়া? মাহাতির মোহাম্মদকে চিনো? হাঠাৎ চাঁদ গাজী সাহেব এসে বললেন এইসব ক্যান্টনমেন্টের পিগমীদের জন্য দেশের এই অবস্থা। তাদের পাশে বসে আছে আখেনাটেন, মা.হাসান, ডা: এম এ আলি, গিয়াস উদ্দীন লিটন, বিচার মানি তাল গাছ আমার, হাবিব স্যার, গড়ল, নতুন নকিব সহ আরো কয়েকজন।

ছবি তোলার দায়িত্ব পড়েছে কাজী ফাতেমা ছবি আপু আর ব্লগের নায়ক রাজিব নুর ভাইয়ের উপর।

সেই ওপার বাঙ্গলা থেকে এসেছে সাহিনুর, পদাতিক চৌধুরী ভাই।

গল্পের আসর জমেছে। দেখা যাচ্ছে ভুয়া মফিজ, কাওসার চৌধুরী, অপু তানভির, নীল আকাশ ভাই আরো কয়েকজন গুনি লেখক।

কাল্পনিক ভালবাসা আর আর্কিওপটেরিক্স ভাই কি যেন আলোচনা করছেন। পাশে গরম গরম মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাঠকের প্রতিক্রিয়া! ভাই। ব্লগের ফ্লাডিং টাইপ ক্যাচাল হয়েছে হয়ত।

আরেক পাশে ওমেরা, জুন, রিম সাবরিনা জাহান সরকার আর শায়মা আপু বসে আছেন। রেসিপি নিয়ে আলোচনা হয়ত।

হঠাৎ জঙ্গল থেকে এক ছোকরা বের হয়ে এল। কাচুমাচু হয়ে বলে, অতি প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা আমাকে কি একটু ব্লগারের আসনে জায়গা দেয়া যায়? আমি কথা দিচ্ছি এখন থেকে সামুর নিয়মিত হবার চেষ্টা করব। হঠাৎ সবাই বলে উঠল এই এই ছোকরা তোমার পরিচয় বল।

ছোকরা অর্থাৎ আমি বলতে শুরু করলাম, জ্বী আসলে হয়েছে কি, ইয়ে মানে আমার নিক আপেক্ষিক মানুষ, যার বয়স তিন বছর এক সপ্তাহ। কিন্তু আমি সামুর প্রেমে পড়েছি সেই ২০১৫ সাল থেকে। আমার আসল নাম হচ্ছে গিয়ে রবিউল হাসান। বয়স খুবি কম, ছোট ভাই/ছোকরা যা খুশি ডাকতে পারেন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর বাড়ি হচ্ছে গিয়ে মানিকগঞ্জ। আমাকে কি একটু বসতে দিবেন? বিরক্ত করব না, একটু আপনাদের কথা শুনব এই আরকি।

হঠাৎ ঘুম ভাঙল। ধুর! আরেকটু পরে ভাঙ্গলে কি হত?



সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৮
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×