বাংলাদেশে এখন নারী খাদকের দাপট বেড়েই চলেছে। নারীকে ধর্ষণ করা ধর্ষকদের কাছে ডাল ভাতের মতই। জাহেলী যুগে যেমন নারীর জন্য নিরাপত্তা ও মানবতা ছিল না, ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমানে সমাজের নারীর প্রতি মানবতা ও জীবনের নিরাপত্তা নাই। জাহেলী যুগের যেমন নারীকে কার মেয়ে, কার বোন, কার স্ত্রী, কার মা দেখা হতো না। এখন বর্তমান সমাজের নারীর প্রতিও এমনটি ভাবা হয়। শুধু রাস্তা ঘাটে নয় বরং বাথরুমের ভিতরেও নারী নিরাপদ নয়। সমাজের সবচেয়ে অনিরাপদের বস্তুটির নাম হচ্ছে নারী। যে গর্ভ থেকে সে তৈরী হয়েছে সে গর্ভকে আজ কলঙ্কিত করতেছে এই নারী খাদকেরা। বাংলাদেশে যে পরিমাণে নারী ধর্ষিত হচ্ছে তা যদি সঠিক ভাবে খবরের পাতায় আসে, তাহলে নারী ধর্ষণের খবর দিয়েই পত্রিকার সকল পাতা ভরে যাবে। তারা শুধু ধর্ষণ নয় বরং ধর্ষণের ভিডিও করে ইন্টারনেট এ আপলোড করে দেয় এবং গান লোডের কম্পিউটার দোকান গুলোতে বিক্রয় করে দেয়। দেশে এখন যে পরিমাণে নারী ধর্ষণের শিকার হয় তার ১০% খবরের কাগজে আসে কি না আমার সন্দেহ আছে। যেসব খবর পত্রিকার পাতায় আসে তারও কোন সঠিক বিচার হয় না। আমরা এখন এমন অস্বভ্য জাতীতে পরিণতি হচ্ছি যেখানে ধর্ষণের শাস্তি নয় বরং ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। কি বিচিত্র এই দেশ? কে বলরে এই দেশ সোনার চেয়ে খাটি, আমি তো দেখি এই দেশ ধর্ষকদের ঘাটি। দেশের জায়গায় জায়গায় ধর্ষক। যারা ধর্ষণের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে পোশাকের উপর দোষারূপ করে তারাও নারীকে ধর্ষণ করে।(যেমনঃ ওলামালীগ। মানুষ আদর করে তাদেরকে উ..লা..লা… লীগ বলে) যারা নারী ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিবে সেই তারাও নারীকে ধর্ষণ করে। যারা নারী ধর্ষণের বিচারের সহায়তা করবে সেই তারাও টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিক্রয় করে ধর্ষকের পক্ষে নিয়ে নারীকে ধর্ষণ করে। টাকা খেয়ে পুলিশেও ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। যৌন হয়রানীকে ছেলেদের দুষ্টামী বলে আখ্যায়িত করে। আমার জানবার মনচায় তারাও কি চুড়ান্ত পর্যায়ের দুষ্টামীর ফসল নাকী? কারণ প্রকাশ্যে মেয়েদের বুকে হাত দেওয়া যদি ছেলেদের দুষ্টামী হয় তাহলে ধর্ষণ করা হলো চূড়ান্ত পর্যায়ের দুষ্টামী। নারীদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো যে তারা নারী নেত্রী পেয়েছে ঠিকি, কিন্তু এই নেত্রী তাদেরকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে, তাদেরকে যৌন হয়রানী ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে সচেষ্ট নয়। এখানে আরেকটি বিষয় আমাকে মর্মাহত করে। সংখ্যালঘু কোন নারী ধর্ষণের শিকার হলে যেভাবে মিডিয়াতে হৈ চৈ হয় এবং রাজপথে আন্দোলন হয়, কোন মুসলিম নারীর বেলায় তা হয় না। আমরা সকল নারীর জীবনের ও সম্ভমের নিরাপত্তা চাই। ধর্ষকদের প্রকাশ্য ফাঁসি চাই। সোহাগী জাহান তনু’র বিচার চায়। আর যদি কেউ তাদেরকে রক্ষা করতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে পুরো ইউনিয়ন তার *** জামাই।
লেখাটি সোহাগী জাহান তনু’কে উৎসর্গ করা হলো। এই বোনটিকে নিয়ে
ফেসবুকে ইভেন্ট খুলা হয়েছে। আপনার সবাই যোগ দিন। অন্যদেরকে যুক্ত করুণ। প্রতিবাদে আপনিও সামিল হোন। নয়তো আরেক দিন বোনও ধর্ষিত হবে তখন কিছু করার থাকবে না।
-সৈয়দ রুবেল। প্রধান-
আমার বাংলা পোস্ট.কম
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭